alt

চিঠিপত্র

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

: সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শীত মৌসুম শুরুর আগে বিভিন্ন ফসল রোপনে মনোযোগী হন আমাদের দেশের কৃষকেরা। টাটকা তরকারি, পুষ্টিযুক্ত সবজিতে ভরে উঠে গ্রাম থেকে শহরের বাজারগুলো।

সম্প্রতি ফসল রোপনের এই শুরুর সময়ে ফুলকপি, বেগুন, সিম, মূলা, বাঁধাকপি, টমেটো, গাজর, পালংশাক, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চারা রোপন করা হয়েছে। কিন্তু শামুকের তান্ডবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজিগুলো।

ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বালিয়ে রাতের বেলায় চারা পাহারা দিচ্ছেন কৃষক। ছোট পাঁচন ও লাঠি দিয়ে শামুক তাড়াচ্ছেন। সবজির চারার উপরে বসে শামুক তার সরু লম্বা মুখ দিয়ে পাতা মুড়িয়ে গিলে খাচ্ছে। রাত হলেই বাড়ে এর ব্যাপকতা, বিভিন্ন গর্ত বা ছায়াযুক্ত স্থান থেকে বের হয়ে আসে এগুলো। প্রথমে চারাগাছের নরম অংশ বা কচিপাতা এরপর তান্ডব চালায় মূলে। এ অবস্থায় কৃষকের কপালে হতাশার ছাপ, কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

বাধ্য হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকরা শামুক নিধনের কাজ করছেন। মানিকগঞ্জ এলাকার কৃষক জয়নাল মিয়া এ বছর ১০৫ শতক জমিতে ১৪ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত কয়েক দিনে তার পাঁচ শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এতে নতুন করে আবার চার টাকা দরে প্রতিটি চারা রোপণ করতে হয়েছে তাকে। এতে কৃষক জয়নালের লাভের মুখ দেখার আগেই অতিরিক্ত খরচে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সাভার এলাকার কৃষক সুমন। তিনি ২ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। প্রতিদিন সকাল এবং রাতে ১৫-১৬ দিন ধরে শামুক নিধন করলেও দুই শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। নাইলনের জাল দিয়ে বেড়া দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারছেন না। কৃষিবিভাগকে দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে সামনে ভুট্টার মৌসুমেও কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবে।

নাঈম ইবনে সালাম

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

স্যানিটেশন সংকটে দুর্ভোগের শিকার বেশী নারীরা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

প্রযুক্তির যুগে পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই

গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ হোক

দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি

বন্ধ হোক অনলাইন ইলিশ প্রতারণা

লক্ষ্মীপুরে হিমাগারের অভাবে কৃষকের মুখে হাসি নেই

দুর্ঘটনা রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চাই

tab

চিঠিপত্র

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

শীত মৌসুম শুরুর আগে বিভিন্ন ফসল রোপনে মনোযোগী হন আমাদের দেশের কৃষকেরা। টাটকা তরকারি, পুষ্টিযুক্ত সবজিতে ভরে উঠে গ্রাম থেকে শহরের বাজারগুলো।

সম্প্রতি ফসল রোপনের এই শুরুর সময়ে ফুলকপি, বেগুন, সিম, মূলা, বাঁধাকপি, টমেটো, গাজর, পালংশাক, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চারা রোপন করা হয়েছে। কিন্তু শামুকের তান্ডবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজিগুলো।

ইলেকট্রিক বাল্ব জ্বালিয়ে রাতের বেলায় চারা পাহারা দিচ্ছেন কৃষক। ছোট পাঁচন ও লাঠি দিয়ে শামুক তাড়াচ্ছেন। সবজির চারার উপরে বসে শামুক তার সরু লম্বা মুখ দিয়ে পাতা মুড়িয়ে গিলে খাচ্ছে। রাত হলেই বাড়ে এর ব্যাপকতা, বিভিন্ন গর্ত বা ছায়াযুক্ত স্থান থেকে বের হয়ে আসে এগুলো। প্রথমে চারাগাছের নরম অংশ বা কচিপাতা এরপর তান্ডব চালায় মূলে। এ অবস্থায় কৃষকের কপালে হতাশার ছাপ, কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না।

বাধ্য হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকরা শামুক নিধনের কাজ করছেন। মানিকগঞ্জ এলাকার কৃষক জয়নাল মিয়া এ বছর ১০৫ শতক জমিতে ১৪ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত কয়েক দিনে তার পাঁচ শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এতে নতুন করে আবার চার টাকা দরে প্রতিটি চারা রোপণ করতে হয়েছে তাকে। এতে কৃষক জয়নালের লাভের মুখ দেখার আগেই অতিরিক্ত খরচে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সাভার এলাকার কৃষক সুমন। তিনি ২ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। প্রতিদিন সকাল এবং রাতে ১৫-১৬ দিন ধরে শামুক নিধন করলেও দুই শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। নাইলনের জাল দিয়ে বেড়া দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারছেন না। কৃষিবিভাগকে দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে সামনে ভুট্টার মৌসুমেও কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবে।

নাঈম ইবনে সালাম

back to top