alt

চিঠিপত্র

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাহাদুর শাহ পার্ক (ভিক্টোরিয়া পার্ক) ঢাকার অন্যতম প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট এলাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। পার্কটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। পার্কের মাঝখানে আছে একটি জলহীন ফোয়ারা। সেটির বেহাল দশা। চারদিকের দেয়ালের নিচের মাটি সরে গেছে। ভেতরে আছে একটি টয়লেট, পরিচ্ছন্নতার লেশমাত্র নেই তাতে। ট্যাঙ্ক থেকে পানি নিচ্ছেন হকার-দোকানদাররা। স্মৃতিস্তম্ভের ওপর জুতা পায়ে বসে আছেন দর্শনার্থীরা। রাতে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। তাছাড়া পার্কের চারপাশে সবসময় ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদের নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করতে দেখা যায়। এভাবেই পার্কটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

ঐতিহাসিক এই স্থানটিতে খাবারের দোকান চালু করার জন্য ডিএসসিসির কাছ থেকে ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকায় ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্কটি ইজারা নেয় ডিএআর হোল্ডিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চুক্তিতে সংস্থাটিকে এক বছর পার্কে একটি ফুড কোর্ট চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই চুক্তি ভঙ্গ করে ফুড কোর্টগুলো ব্যবসা চালিয়ে গেছে বহুদিন। পার্কে স্থাপিত ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে শহীদদের স্মৃতি সম্বলিত সৌধের ঠিক পেছনেই নির্মাণ করা হয়েছিলো খাবারের দোকানগুলো। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ঐতিহাসিক এই পার্কে খাবারের দোকান বসিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নষ্ট হয়েছে পার্কের স্বাভাবিক পরিবেশ।

পরবর্তীতে সচেতন নাগরিক ও পুরান ঢাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে ফুড কোর্টগুলো সরানো হয় এবং পার্কটির চারপাশে নতুন করে লোহার রেলিং এবং গেট স্থাপন করা হয়। বাহাদুর শাহ পার্কে ফুটভ্যান-ক্যান্টিন ইজারা বাতিলের দাবিতে ৫ নভেম্বর ‘মুক্ত থাকুক বাহাদুর শাহ পার্ক : গানে কথায় দখলদারিত্বের প্রতিবাদ’ শিরোনামে একটি সমাবেশ পরিচালিত হয় যেখানে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ পার্কটি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করে।

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৬১ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিবেচনায় বাহাদুর শাহ পার্ককে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়; কিন্তু পার্কের উত্তরের রাস্তায় ডাস্টবিন, ময়লার ছড়াছড়ি। উত্তর-দক্ষিণের ফুটপাতে দোকান এবং রিকশার জট। নষ্ট হচ্ছে পার্কের সৌন্দর্য।

হেনা শিকদার

শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সাত কলেজের পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলা

ফান পোস্টে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান

পরিবর্তনের শুরুটা হোক এই মুহূর্ত থেকেই

আলুর বীজ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে হতাশ কৃষক

চরাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রয়োজন

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রকল্পে উপেক্ষিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

মৌসুমি ফসলে শামুকের উপদ্রব

সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী

কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর

চট্টগ্রাম কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলুন

পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেই কি জীবন বৃথা?

স্যানিটেশন সংকটে দুর্ভোগের শিকার বেশী নারীরা

অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হোক

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

চামড়া শিল্পের বেহাল দশা কি ঘুচবে

সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য

পাট শিল্পের সম্ভাবনা

চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি : বাড়তে পারে দীর্ঘকালীন বেকারত্ব চক্র

সুবর্ণচরের রাস্তাগুলো সংস্কার করুন

নদী : জীবন ও সাহিত্যের ধারক

প্রযুক্তির যুগে পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তন ও দারিদ্র্য

বিশ্ববিদ্যালয় হোক উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র

আমাদের কেন একজন রতন টাটা নেই

চাকরির আবেদন ফি হ্রাস : শিক্ষিত বেকারদের প্রত্যাশা

দেশ গড়ার আগে নিজেকে গড়ুন

এসআই নিয়োগে বয়স বৈষম্য দূর করা হোক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সংস্কার চাই

গণরুম সংস্কৃতি বন্ধ হোক

দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন

মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন

প্রক্রিয়াজাত খাবারে শিশুর বিপদ

tab

চিঠিপত্র

অবহেলায় গৌরব হারিয়েছে বাহাদুর শাহ পার্ক

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বাহাদুর শাহ পার্ক (ভিক্টোরিয়া পার্ক) ঢাকার অন্যতম প্রধান নৌবন্দর সদরঘাট এলাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। পার্কটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। পার্কের মাঝখানে আছে একটি জলহীন ফোয়ারা। সেটির বেহাল দশা। চারদিকের দেয়ালের নিচের মাটি সরে গেছে। ভেতরে আছে একটি টয়লেট, পরিচ্ছন্নতার লেশমাত্র নেই তাতে। ট্যাঙ্ক থেকে পানি নিচ্ছেন হকার-দোকানদাররা। স্মৃতিস্তম্ভের ওপর জুতা পায়ে বসে আছেন দর্শনার্থীরা। রাতে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। তাছাড়া পার্কের চারপাশে সবসময় ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদের নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করতে দেখা যায়। এভাবেই পার্কটির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

ঐতিহাসিক এই স্থানটিতে খাবারের দোকান চালু করার জন্য ডিএসসিসির কাছ থেকে ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকায় ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্কটি ইজারা নেয় ডিএআর হোল্ডিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চুক্তিতে সংস্থাটিকে এক বছর পার্কে একটি ফুড কোর্ট চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই চুক্তি ভঙ্গ করে ফুড কোর্টগুলো ব্যবসা চালিয়ে গেছে বহুদিন। পার্কে স্থাপিত ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে শহীদদের স্মৃতি সম্বলিত সৌধের ঠিক পেছনেই নির্মাণ করা হয়েছিলো খাবারের দোকানগুলো। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ঐতিহাসিক এই পার্কে খাবারের দোকান বসিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নষ্ট হয়েছে পার্কের স্বাভাবিক পরিবেশ।

পরবর্তীতে সচেতন নাগরিক ও পুরান ঢাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে ফুড কোর্টগুলো সরানো হয় এবং পার্কটির চারপাশে নতুন করে লোহার রেলিং এবং গেট স্থাপন করা হয়। বাহাদুর শাহ পার্কে ফুটভ্যান-ক্যান্টিন ইজারা বাতিলের দাবিতে ৫ নভেম্বর ‘মুক্ত থাকুক বাহাদুর শাহ পার্ক : গানে কথায় দখলদারিত্বের প্রতিবাদ’ শিরোনামে একটি সমাবেশ পরিচালিত হয় যেখানে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ পার্কটি ভবিষ্যতে ইজারা দেওয়ার বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করে।

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৬১ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনাভুক্ত স্থাপনা হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্বের বিবেচনায় বাহাদুর শাহ পার্ককে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়; কিন্তু পার্কের উত্তরের রাস্তায় ডাস্টবিন, ময়লার ছড়াছড়ি। উত্তর-দক্ষিণের ফুটপাতে দোকান এবং রিকশার জট। নষ্ট হচ্ছে পার্কের সৌন্দর্য।

হেনা শিকদার

শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top