মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর তীরে গড়ে ওঠা জনজীবন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। নদী আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শুধু খাদ্য ও জীবিকার উৎস নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে গভীরভাবে মিশে রয়েছে। কৃষি, মৎস্যশিকার ও নৌকা নির্মাণ এসব জীবিকার সঙ্গে নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নদীর তীরবর্তী উর্বর মাটিতে ধান, সবজি ও ফলমূল চাষ করে। একইভাবে, নদী তীরে বসবাসকারী মানুষ মৎস্যশিকারকে জীবিকার প্রধান উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যা তাদের জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
তবে, বর্তমান সময়ে নদী তীরবর্তী জনগণের জীবন নানা সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর প্রবাহে পরিবর্তন, বন্যা এবং নদীভাঙন বেড়ে গেছে। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্য এবং জীবিকার জন্য মারাত্মক হুমকি দেখা দিয়েছে। নদী দুষণের কারণে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কৃষক এবং মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন।
এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত কার্যকর নীতি প্রণয়ন করা এবং নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের নদী সুরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নদীকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
এজন্য স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। নদী তীরবর্তী জীবনের টেকসই উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সুরক্ষা করতে সক্ষম হব।
হৃদয় পান্ডে
শিক্ষার্থী; মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর তীরে গড়ে ওঠা জনজীবন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। নদী আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শুধু খাদ্য ও জীবিকার উৎস নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে গভীরভাবে মিশে রয়েছে। কৃষি, মৎস্যশিকার ও নৌকা নির্মাণ এসব জীবিকার সঙ্গে নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নদীর তীরবর্তী উর্বর মাটিতে ধান, সবজি ও ফলমূল চাষ করে। একইভাবে, নদী তীরে বসবাসকারী মানুষ মৎস্যশিকারকে জীবিকার প্রধান উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যা তাদের জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
তবে, বর্তমান সময়ে নদী তীরবর্তী জনগণের জীবন নানা সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর প্রবাহে পরিবর্তন, বন্যা এবং নদীভাঙন বেড়ে গেছে। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্য এবং জীবিকার জন্য মারাত্মক হুমকি দেখা দিয়েছে। নদী দুষণের কারণে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কৃষক এবং মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন।
এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত কার্যকর নীতি প্রণয়ন করা এবং নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের নদী সুরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নদীকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।
এজন্য স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। নদী তীরবর্তী জীবনের টেকসই উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সুরক্ষা করতে সক্ষম হব।
হৃদয় পান্ডে
শিক্ষার্থী; মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।