alt

মতামত » চিঠিপত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

: শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর তীরে গড়ে ওঠা জনজীবন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। নদী আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শুধু খাদ্য ও জীবিকার উৎস নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে গভীরভাবে মিশে রয়েছে। কৃষি, মৎস্যশিকার ও নৌকা নির্মাণ এসব জীবিকার সঙ্গে নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নদীর তীরবর্তী উর্বর মাটিতে ধান, সবজি ও ফলমূল চাষ করে। একইভাবে, নদী তীরে বসবাসকারী মানুষ মৎস্যশিকারকে জীবিকার প্রধান উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যা তাদের জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে।

তবে, বর্তমান সময়ে নদী তীরবর্তী জনগণের জীবন নানা সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর প্রবাহে পরিবর্তন, বন্যা এবং নদীভাঙন বেড়ে গেছে। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্য এবং জীবিকার জন্য মারাত্মক হুমকি দেখা দিয়েছে। নদী দুষণের কারণে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কৃষক এবং মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন।

এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত কার্যকর নীতি প্রণয়ন করা এবং নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের নদী সুরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নদীকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

এজন্য স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। নদী তীরবর্তী জীবনের টেকসই উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সুরক্ষা করতে সক্ষম হব।

হৃদয় পান্ডে

শিক্ষার্থী; মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

নদী তীরবর্তী মানুষ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর তীরে গড়ে ওঠা জনজীবন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক। নদী আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা শুধু খাদ্য ও জীবিকার উৎস নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে গভীরভাবে মিশে রয়েছে। কৃষি, মৎস্যশিকার ও নৌকা নির্মাণ এসব জীবিকার সঙ্গে নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নদীর তীরবর্তী উর্বর মাটিতে ধান, সবজি ও ফলমূল চাষ করে। একইভাবে, নদী তীরে বসবাসকারী মানুষ মৎস্যশিকারকে জীবিকার প্রধান উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন, যা তাদের জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করে।

তবে, বর্তমান সময়ে নদী তীরবর্তী জনগণের জীবন নানা সংকটের সম্মুখীন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর প্রবাহে পরিবর্তন, বন্যা এবং নদীভাঙন বেড়ে গেছে। এর ফলে আমাদের ঐতিহ্য এবং জীবিকার জন্য মারাত্মক হুমকি দেখা দিয়েছে। নদী দুষণের কারণে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কৃষক এবং মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন।

এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত কার্যকর নীতি প্রণয়ন করা এবং নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের নদী সুরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নদীকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

এজন্য স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। নদী তীরবর্তী জীবনের টেকসই উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও জীবিকার সুরক্ষা করতে সক্ষম হব।

হৃদয় পান্ডে

শিক্ষার্থী; মনোবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা কলেজ।

back to top