alt

মতামত » চিঠিপত্র

বিষণœতার নীরব ছোবল

: শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ডিপ্রেশন বা বিষণœতা বর্তমান সমাজে একটি নীরব মহামারী আকার ধারণ করেছে। যা ধীরে ধীরে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের জীবনেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। এই মানসিক অসুস্থতা এমন একটি অবস্থা, যেখানে একজন মানুষ ধীরে ধীরে ক্রমাগতভাবে হতাশা, একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্নতার গভীরে তলিয়ে যায়। এটি এমন একটি বিষয় যা শুধু ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে না; বরং সামগ্রিকভাবে সমাজ ও পরিবারের উপরেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

ডিপ্রেশন একটি ব্যক্তিগত সমস্যা হলেও এর প্রভাব পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। ডিপ্রেশন আক্রান্ত মানুষদের কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, যা অর্থনৈতিক দিক থেকে সমাজের ওপর প্রভাব ফেলে। সমাজের সদস্যরা যখন বিষণ্ণতার শিকার হয়, তখন তারা তাদের কাজ এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন। কর্মজীবনে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়ার ফলে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা সমাজের মধ্যে একটি অস্থিরতা এবং বিশৃৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি, বিষণœতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা একটি পরিবারকে মানসিকভাবে এবং আর্থিকভাবে ভেঙে দিতে পারে। বিষণœতা মোকাবিলায় প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার এবং পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। এটি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে সমস্যার সমাধান করবে না বরং এটি পরিবার এবং সমাজের উন্নয়নে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। প্রথমেই পরিবারে সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন, যেন প্রতিটি সদস্য তার মানসিক অবস্থা খোলাখুলিভাবে পরিবারের কাছে প্রকাশ করতে পারে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মশালা এবং কাউন্সেলিং সেশন আয়োজন করা দরকার। শিশু এবং তরুণদের জন্য মানসিক প্রশিক্ষণ ও সুস্থ মানসিক বিকাশের কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের মানসিক সহায়তার জন্য একে অপরের কাছে অবাধে কথা বলার সুযোগ থাকা উচিত।

একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আমাদের সমাজকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন মানুষ মানসিক সমস্যাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য গ্রহণ করতে দ্বিধা না করে। সমাজের প্রত্যেক সদস্যের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করে একটি সুস্থ, সুখী এবং সক্রিয় সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই একটি রঙিন সমাজ গঙ তোলার জন্য ডিপ্রেশন বাদ দিয়ে সহানুভূতিশীল হওয়া অনেক দরকার।

হালিমা আক্তার হানি

দর্শন বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

বিষণœতার নীরব ছোবল

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিপ্রেশন বা বিষণœতা বর্তমান সমাজে একটি নীরব মহামারী আকার ধারণ করেছে। যা ধীরে ধীরে শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধদের জীবনেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। এই মানসিক অসুস্থতা এমন একটি অবস্থা, যেখানে একজন মানুষ ধীরে ধীরে ক্রমাগতভাবে হতাশা, একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্নতার গভীরে তলিয়ে যায়। এটি এমন একটি বিষয় যা শুধু ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে না; বরং সামগ্রিকভাবে সমাজ ও পরিবারের উপরেও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

ডিপ্রেশন একটি ব্যক্তিগত সমস্যা হলেও এর প্রভাব পুরো সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। ডিপ্রেশন আক্রান্ত মানুষদের কর্মক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, যা অর্থনৈতিক দিক থেকে সমাজের ওপর প্রভাব ফেলে। সমাজের সদস্যরা যখন বিষণ্ণতার শিকার হয়, তখন তারা তাদের কাজ এবং দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন। কর্মজীবনে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাওয়ার ফলে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা সমাজের মধ্যে একটি অস্থিরতা এবং বিশৃৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি, বিষণœতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা একটি পরিবারকে মানসিকভাবে এবং আর্থিকভাবে ভেঙে দিতে পারে। বিষণœতা মোকাবিলায় প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার এবং পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। এটি শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে সমস্যার সমাধান করবে না বরং এটি পরিবার এবং সমাজের উন্নয়নে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। প্রথমেই পরিবারে সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন, যেন প্রতিটি সদস্য তার মানসিক অবস্থা খোলাখুলিভাবে পরিবারের কাছে প্রকাশ করতে পারে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন কর্মশালা এবং কাউন্সেলিং সেশন আয়োজন করা দরকার। শিশু এবং তরুণদের জন্য মানসিক প্রশিক্ষণ ও সুস্থ মানসিক বিকাশের কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের মানসিক সহায়তার জন্য একে অপরের কাছে অবাধে কথা বলার সুযোগ থাকা উচিত।

একটি সহানুভূতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। আমাদের সমাজকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন মানুষ মানসিক সমস্যাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য গ্রহণ করতে দ্বিধা না করে। সমাজের প্রত্যেক সদস্যের জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করে একটি সুস্থ, সুখী এবং সক্রিয় সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই একটি রঙিন সমাজ গঙ তোলার জন্য ডিপ্রেশন বাদ দিয়ে সহানুভূতিশীল হওয়া অনেক দরকার।

হালিমা আক্তার হানি

দর্শন বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।

back to top