মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ঢাকা শহরের সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে ট্রাফিক জ্যাম। গত বছরের সার্বিয়াভিত্তিক ‘নামবিওর’ নামের এক গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে যানজটে ঢাকার অবস্থান ৫ম। দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ায় দেশের বিপুল পরিমাণ জনগণ ঢাকায় বসবাস করে। আর প্রতিদিন প্রায় সব মানুষের ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবহার করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে, ভেতরে রোগীরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে। এ যেন এক অমানবিক শহরে পরিণত হয়েছে। কর্মজীবী মানুষরা তাদের কর্মস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারে না। যানজটের কারণে ঢাকার গতি কমে ৪.৮ কিলোমিটারে নেমেছে। যে স্থানে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট সেই স্থানে যেতে সময় লাগছে ঘণ্টার বেশি। ফলে প্রতিদিন ঢাকার মানুষদের বিরক্তিকর সময় পার করতে হচ্ছে। ঢাকা শহরকে তার পূর্বের সৌন্দর্যে ফিরিয়ে আনতে হলে যানজট নামক এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে দ্রুত কাজ করতে হবে।
ঢাকায় সমস্যার যেন কোনো শেষ নেই। বলতে গেলে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেও ঢাকা এখন প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সহিংসতা, মারামারি, উগ্রবাদী মিটিং মিছিল, রাস্তা বন্ধ করে রাজনৈতিক মিটিং মিছিল ঢাকার জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। যে যেভাবে পারছে রাস্তা আটকিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে নানা আন্দোলন করছে। এতে ঢাকা এক নন্দিত নরকে পরিণত হয়েছে। সবকিছু মিলে ঢাকা হয়ে উঠেছে যানজটের শহর, ছিনতাইয়ের শহর, সড়ক দুর্ঘটনার শহর, পরিবেশ দূষণের শহর এবং রাজনৈতিক সহিংসতার শহর। সুতরাং ঢাকাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সচেতন হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করে নিরাপদ ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে রাজধানীর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে বা অঞ্চলভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তবেই ঢাকা ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য এবং নগরবাসী পাবে এক নিরাপদ সুন্দর ঢাকা।
শেখ ফরিদ মিয়া
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা শহরের সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক রূপ ধারণ করেছে ট্রাফিক জ্যাম। গত বছরের সার্বিয়াভিত্তিক ‘নামবিওর’ নামের এক গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে যানজটে ঢাকার অবস্থান ৫ম। দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ায় দেশের বিপুল পরিমাণ জনগণ ঢাকায় বসবাস করে। আর প্রতিদিন প্রায় সব মানুষের ঢাকায় গণপরিবহন ব্যবহার করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে, ভেতরে রোগীরা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে। এ যেন এক অমানবিক শহরে পরিণত হয়েছে। কর্মজীবী মানুষরা তাদের কর্মস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারে না। যানজটের কারণে ঢাকার গতি কমে ৪.৮ কিলোমিটারে নেমেছে। যে স্থানে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট সেই স্থানে যেতে সময় লাগছে ঘণ্টার বেশি। ফলে প্রতিদিন ঢাকার মানুষদের বিরক্তিকর সময় পার করতে হচ্ছে। ঢাকা শহরকে তার পূর্বের সৌন্দর্যে ফিরিয়ে আনতে হলে যানজট নামক এই অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে দ্রুত কাজ করতে হবে।
ঢাকায় সমস্যার যেন কোনো শেষ নেই। বলতে গেলে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবেও ঢাকা এখন প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সহিংসতা, মারামারি, উগ্রবাদী মিটিং মিছিল, রাস্তা বন্ধ করে রাজনৈতিক মিটিং মিছিল ঢাকার জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। যে যেভাবে পারছে রাস্তা আটকিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে নানা আন্দোলন করছে। এতে ঢাকা এক নন্দিত নরকে পরিণত হয়েছে। সবকিছু মিলে ঢাকা হয়ে উঠেছে যানজটের শহর, ছিনতাইয়ের শহর, সড়ক দুর্ঘটনার শহর, পরিবেশ দূষণের শহর এবং রাজনৈতিক সহিংসতার শহর। সুতরাং ঢাকাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে সচেতন হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করে নিরাপদ ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে রাজধানীর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে বা অঞ্চলভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঢাকার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তবেই ঢাকা ফিরে পাবে তার হারানো ঐতিহ্য এবং নগরবাসী পাবে এক নিরাপদ সুন্দর ঢাকা।
শেখ ফরিদ মিয়া
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।