মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
ময়মনসিংহের অলিগলিতে দেখা যায় পথশিশুদের। মানুষের থেকে টাকা চেয়ে, আবর্জনা স্তূপ থেকে বোতল কুড়িয়ে কিংবা পানি, পপকর্ন বিক্রি করে দিন কাটে এ সমস্ত পথশিশুদের। তবে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বেশিরভাগ শিশুই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৮০% পথশিশুই নেশায় আসক্ত। জয়নুল আবেদীন পার্ক, টাউন হল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রকাশ্যে নেশা করতে দেখা যায়। খেয়াল করলে দেখা যায়, পলিথিনের ভিতরে থাকা এক ধরনের তরল দ্রব্যের ঘ্রাণ নিচ্ছে পথশিশুরা। এটি এক ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য, যা ড্যান্ডি নামে পরিচিত। ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ডি নামক বস্তুটি আঠা জাতীয় এবং ঘ্রানযুক্ত। এটি পথশিশুরা অল্প দামে জুতার, কাঠের কিংবা গ্যারেজের দোকান থেকে কিনে সেবন করে। প্রতিনিয়ত ড্যান্ডি সেবনের ফলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাওয়া, দেহের কোষ নষ্ট হওয়া কিংবা শরীরে ঘা সহ মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি শিশুরই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পথশিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সমাজের এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য। সামাজিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে নেশার জগত থেকে পথশিশুদের ফিরিয়ে আনা যায়। কাদের কাছ থেকে শিশুরা নেশা জাতীয় দ্রব্য কিনে থাকে তা কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নেশাদ্রব্যটি কিনতে না পারে। এ সমস্ত শিশুদের পথশিশু হিসেবে না দেখে শিশু হিসেবে দেখতে হবে এবং রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলে সুন্দর সমাজ এবং দেশ তৈরি করতে হবে।
রিকমা আক্তার
শিক্ষার্থী, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ।
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ময়মনসিংহের অলিগলিতে দেখা যায় পথশিশুদের। মানুষের থেকে টাকা চেয়ে, আবর্জনা স্তূপ থেকে বোতল কুড়িয়ে কিংবা পানি, পপকর্ন বিক্রি করে দিন কাটে এ সমস্ত পথশিশুদের। তবে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বেশিরভাগ শিশুই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং প্রায় ৮০% পথশিশুই নেশায় আসক্ত। জয়নুল আবেদীন পার্ক, টাউন হল মোড়, গাঙ্গিনারপাড় সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রকাশ্যে নেশা করতে দেখা যায়। খেয়াল করলে দেখা যায়, পলিথিনের ভিতরে থাকা এক ধরনের তরল দ্রব্যের ঘ্রাণ নিচ্ছে পথশিশুরা। এটি এক ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য, যা ড্যান্ডি নামে পরিচিত। ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যান্ডি নামক বস্তুটি আঠা জাতীয় এবং ঘ্রানযুক্ত। এটি পথশিশুরা অল্প দামে জুতার, কাঠের কিংবা গ্যারেজের দোকান থেকে কিনে সেবন করে। প্রতিনিয়ত ড্যান্ডি সেবনের ফলে মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাওয়া, দেহের কোষ নষ্ট হওয়া কিংবা শরীরে ঘা সহ মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি শিশুরই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পথশিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সমাজের এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য। সামাজিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে যাতে নেশার জগত থেকে পথশিশুদের ফিরিয়ে আনা যায়। কাদের কাছ থেকে শিশুরা নেশা জাতীয় দ্রব্য কিনে থাকে তা কর্তৃপক্ষের চিহ্নিত করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই নেশাদ্রব্যটি কিনতে না পারে। এ সমস্ত শিশুদের পথশিশু হিসেবে না দেখে শিশু হিসেবে দেখতে হবে এবং রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলে সুন্দর সমাজ এবং দেশ তৈরি করতে হবে।
রিকমা আক্তার
শিক্ষার্থী, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ।