মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখল করা অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর এই ধারণা পালটে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কারণ, ভর্তি হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীরা আবসন সংকটের যে সমস্যায় পড়ে তাতে মনে হয় ভর্তি হওয়ার চেয়ে হলে সিট পাওয়া আরও বেশি কষ্টসাধ্য। প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। অথচ তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ টি হল। যেখানে ছেলেদের হল মোট ১৪ টি। ভর্তির সময় মেয়েদের ৫টি হলে যতগুলো শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দ দেয়া হয় ততগুলো সিট থাকেই না। যার ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারী শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পারিবার থেকে আসে। আবার হলে এসে অধিক সময় ধরে থাকতে হয় তাদের গণরুমে।
সম্প্রতি ছেলেদের হলগুলো থেকে গণরুম প্রথার বিলুপ্তি ঘটলেও মেয়েরা এখন পর্যন্ত গণরুমের নোংরা পরিবেশে দিনাতিপাত করছে। রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হল থেকে গণরুমের বিলুপ্তি ঘটেছে কেননা সেখানে বরাদ্দকৃত ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সিট রয়েছে। অথচ বঙ্গমাতা ও কুয়েত মৈত্রী হলে গণরুম সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, এ হলগুলোতে বরাদ্দ শিক্ষার্থীরা অনার্স শেষ বর্ষে এসেও সিট পায় না। তাই এদের আবাসনের কথা চিন্তা করে প্রশাসন গণরুম বাড়িয়েছে এবং বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে।
আর শামসুন্নাহার হলেও আবাসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গণরুমগুলোতে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অথচ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় গণরুম গুলোর পরিবেশ এতই নিম্নমানের যে একেকটা রুমে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী শুধু মাথা গুজে ঠাঁই নিয়েছে। প্রশাসন তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করলেও প্রয়েজনীয় অনেক জিনিসেরই ব্যবস্থা করে নি। গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই পড়ার পরিবেশ। এমতবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক এবং মানসিক চাপে পতিত হচ্ছে। তাহলে এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষার্থীদের অবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনকে চিন্তার অনুরোধ। সেই সঙ্গে প্রশ্ন গণরুমের বিলুপ্তি কবে?
নুসরাত জাহান আয়েশা
শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন দখল করা অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর এই ধারণা পালটে যায়। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে। কারণ, ভর্তি হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীরা আবসন সংকটের যে সমস্যায় পড়ে তাতে মনে হয় ভর্তি হওয়ার চেয়ে হলে সিট পাওয়া আরও বেশি কষ্টসাধ্য। প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেকের বেশি নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। অথচ তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ টি হল। যেখানে ছেলেদের হল মোট ১৪ টি। ভর্তির সময় মেয়েদের ৫টি হলে যতগুলো শিক্ষার্থীকে সিট বরাদ্দ দেয়া হয় ততগুলো সিট থাকেই না। যার ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় নারী শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পারিবার থেকে আসে। আবার হলে এসে অধিক সময় ধরে থাকতে হয় তাদের গণরুমে।
সম্প্রতি ছেলেদের হলগুলো থেকে গণরুম প্রথার বিলুপ্তি ঘটলেও মেয়েরা এখন পর্যন্ত গণরুমের নোংরা পরিবেশে দিনাতিপাত করছে। রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল হল থেকে গণরুমের বিলুপ্তি ঘটেছে কেননা সেখানে বরাদ্দকৃত ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সিট রয়েছে। অথচ বঙ্গমাতা ও কুয়েত মৈত্রী হলে গণরুম সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ, এ হলগুলোতে বরাদ্দ শিক্ষার্থীরা অনার্স শেষ বর্ষে এসেও সিট পায় না। তাই এদের আবাসনের কথা চিন্তা করে প্রশাসন গণরুম বাড়িয়েছে এবং বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে।
আর শামসুন্নাহার হলেও আবাসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গণরুমগুলোতে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। অথচ অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় গণরুম গুলোর পরিবেশ এতই নিম্নমানের যে একেকটা রুমে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী শুধু মাথা গুজে ঠাঁই নিয়েছে। প্রশাসন তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করলেও প্রয়েজনীয় অনেক জিনিসেরই ব্যবস্থা করে নি। গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য নেই শৌচাগারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই পড়ার পরিবেশ। এমতবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক এবং মানসিক চাপে পতিত হচ্ছে। তাহলে এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শিক্ষার্থীদের অবস্থা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনকে চিন্তার অনুরোধ। সেই সঙ্গে প্রশ্ন গণরুমের বিলুপ্তি কবে?
নুসরাত জাহান আয়েশা
শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়