মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিটি জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশের আনুমানিক ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা ৫০টি জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী এসব জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত না হলে টেকসই উন্নয়ন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
আদিবাসীরা এখনও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ভূমি অধিকারের ক্ষেত্রে মারাত্মক বৈষম্যের শিকার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আদিবাসীদের শিক্ষার হার মাত্র ৫৪%, যেখানে জাতীয় গড় প্রায় ৭৫%। সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় পাঁচটি আদিবাসী ভাষায় বই চালু করলেও এই উদ্যোগ এখনও কার্যকর হয়নি।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনুকূল নয়। পার্বত্য অঞ্চলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অভাব এবং প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার উদ্বেগজনক।
ভূমি অধিকার আদিবাসীদের জীবিকার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলেও দখলদারিত্ব ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি তাদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন অনুযায়ী আদিবাসীদের ভূমি, ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাংলাদেশে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনও হয়নি।
টেকসই উন্নয়নের জন্য আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। মাতৃভাষায় শিক্ষা সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবার সহজপ্রাপ্যতা এবং ভূমি অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ব্যবস্থা কেবল আদিবাসীদের জন্য নয়, সমগ্রিক ভাবে জাতির সমৃদ্ধির পথকে ত্বরান্বিত করবে। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের মূল চাবিকাঠি।
মালিহা মেহনাজ
শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিটি জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশের আনুমানিক ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা ৫০টি জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলে বসবাসকারী এসব জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত না হলে টেকসই উন্নয়ন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
আদিবাসীরা এখনও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং ভূমি অধিকারের ক্ষেত্রে মারাত্মক বৈষম্যের শিকার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আদিবাসীদের শিক্ষার হার মাত্র ৫৪%, যেখানে জাতীয় গড় প্রায় ৭৫%। সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় পাঁচটি আদিবাসী ভাষায় বই চালু করলেও এই উদ্যোগ এখনও কার্যকর হয়নি।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনুকূল নয়। পার্বত্য অঞ্চলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অভাব এবং প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থান স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার উদ্বেগজনক।
ভূমি অধিকার আদিবাসীদের জীবিকার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হলেও দখলদারিত্ব ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি তাদের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন অনুযায়ী আদিবাসীদের ভূমি, ভাষা এবং সংস্কৃতি রক্ষার প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাংলাদেশে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনও হয়নি।
টেকসই উন্নয়নের জন্য আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। মাতৃভাষায় শিক্ষা সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবার সহজপ্রাপ্যতা এবং ভূমি অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ব্যবস্থা কেবল আদিবাসীদের জন্য নয়, সমগ্রিক ভাবে জাতির সমৃদ্ধির পথকে ত্বরান্বিত করবে। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের মূল চাবিকাঠি।
মালিহা মেহনাজ
শিক্ষার্থী
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা