alt

মতামত » চিঠিপত্র

ধূমপানের প্রভাব

: শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

ধূমপান একটি বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংকট, যার শিকার কেবল ধূমপায়ী ব্যক্তি নয়, বরং সমাজ ও পরিবেশও। এটি একটি নেশা সংক্রান্ত অভ্যাস, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। ধূমপানজনিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।

তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের ফলে জন্ম নেয় এমন সব জটিলতা, যা শুধু স্বাস্থ্য খাতেই নয়, বরং অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই আলোচনায় ধূমপানের বৈজ্ঞানিক প্রভাব এবং এর সমাজতাত্ত্বিক দিকগুলোর একটি বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হবে, সমসাময়িক গবেষণা ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ ধূমপানের কারণে মৃত্যুবরণ করে, যার মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ প্যাসিভ স্মোক বা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগসহ বহু অসুস্থতা সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় দেখা যায়, ধূমপানে ব্যবহৃত তামাক পাতায় প্রায় ৭০০০ রাসায়নিক উপাদান থাকে, যার মধ্যে ৭০টিরও বেশি উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।

ধূমপানের ফলে ফুসফুসের কোষে জিনগত পরিবর্তন ঘটে, যা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। নিয়মিত ধূমপান রক্তনালির সংকোচন ঘটায়, ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভবতী নারীরা যদি ধূমপান করেন বা পরোক্ষ ধূমপানের পরিবেশে থাকেন, তাহলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি, কম ওজন এবং এমনকি মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। শিশুরা যদি ধূমপানের পরিবেশে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা, হাঁপানি এবং ভবিষ্যতে ধূমপানের প্রবণতা দেখা যায়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ তামাক ব্যবহারের উচ্চ হারের একটি দেশ হিসেবে পরিচিত। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৩৫.৩% কোনো না কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৩৭.৫% পুরুষ এবং ২৪.৮% নারী তামাক ব্যবহার করে।

প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়। ধূমপান কেবল শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়; গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতেও এর বিস্তার লক্ষণীয় এবং তরুণদের মধ্যেও ধূমপানের হার বেড়েই চলেছে।

সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ধূমপান একটি সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক চর্চায় পরিণত হয়েছে। অনেক তরুণ ধূমপানকে প্রভাব, আধুনিকতা কিংবা মানসিক চাপ থেকে মুক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে। মিডিয়া, বন্ধু-প্রভাব এবং সহজলভ্যতা ধূমপানকে তরুণদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

কিছু সমাজে এটি একটি রীতিমতো পুরুষত্বের প্রতীক বলেও দেখা হয়, যার ফলে সামাজিকভাবে এর প্রতি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অনেকে এর প্রতি আকৃষ্ট হয়।

তবে ধূমপানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব অনস্বীকার্য। নিম্ন আয়ের মানুষের একটি বড় অংশ তামাকজাত দ্রব্যের পেছনে অর্থ ব্যয় করে প্রয়োজনীয় খাদ্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার পেছনে ব্যয়ের পরিবর্তে। ফলে একটি পরিবার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দারিদ্র্য চক্রে আটকে যায়। পাশাপাশি, ধূমপানের কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং স্বাস্থ্য সেবার ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা সামগ্রিকভাবে জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সরকার ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেমন পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ, তামাকজাত পণ্যে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ চিত্রের ব্যবহার, বিজ্ঞাপনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবতায় অনেক ক্ষেত্রেই এসব আইনের প্রয়োগ দুর্বল, এবং জনগণের সচেতনতার অভাবে এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

সার্বিকভাবে দেখা যায়, ধূমপান একটি বহুমাত্রিক সমস্যা, যা কেবল স্বাস্থ্যগত নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এই সমস্যা মোকাবেলায় কেবল আইনি পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন শিক্ষা, সচেতনতা, এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন।

তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত করে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় উদ্বুদ্ধ করাই হতে পারে একটি ধূমপানমুক্ত সমাজ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ।

একটি সুস্থ, সচেতন ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে ধূমপানের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। গবেষণাভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, আইনের বাস্তবসম্মত প্রয়োগ এবং শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে।

ইরফান ইবনে আমিন পাটোয়ারী

শিক্ষার্থী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ধূমপানের প্রভাব

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ধূমপান একটি বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংকট, যার শিকার কেবল ধূমপায়ী ব্যক্তি নয়, বরং সমাজ ও পরিবেশও। এটি একটি নেশা সংক্রান্ত অভ্যাস, যা দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। ধূমপানজনিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়।

তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের ফলে জন্ম নেয় এমন সব জটিলতা, যা শুধু স্বাস্থ্য খাতেই নয়, বরং অর্থনীতি ও সামাজিক কাঠামোতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই আলোচনায় ধূমপানের বৈজ্ঞানিক প্রভাব এবং এর সমাজতাত্ত্বিক দিকগুলোর একটি বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হবে, সমসাময়িক গবেষণা ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ ধূমপানের কারণে মৃত্যুবরণ করে, যার মধ্যে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ প্যাসিভ স্মোক বা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসের রোগসহ বহু অসুস্থতা সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় দেখা যায়, ধূমপানে ব্যবহৃত তামাক পাতায় প্রায় ৭০০০ রাসায়নিক উপাদান থাকে, যার মধ্যে ৭০টিরও বেশি উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।

ধূমপানের ফলে ফুসফুসের কোষে জিনগত পরিবর্তন ঘটে, যা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। নিয়মিত ধূমপান রক্তনালির সংকোচন ঘটায়, ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভবতী নারীরা যদি ধূমপান করেন বা পরোক্ষ ধূমপানের পরিবেশে থাকেন, তাহলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি, কম ওজন এবং এমনকি মৃত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। শিশুরা যদি ধূমপানের পরিবেশে বেড়ে ওঠে, তবে তাদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা, হাঁপানি এবং ভবিষ্যতে ধূমপানের প্রবণতা দেখা যায়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ তামাক ব্যবহারের উচ্চ হারের একটি দেশ হিসেবে পরিচিত। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০১৭ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রায় ৩৫.৩% কোনো না কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৩৭.৫% পুরুষ এবং ২৪.৮% নারী তামাক ব্যবহার করে।

প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়। ধূমপান কেবল শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়; গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতেও এর বিস্তার লক্ষণীয় এবং তরুণদের মধ্যেও ধূমপানের হার বেড়েই চলেছে।

সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ধূমপান একটি সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক চর্চায় পরিণত হয়েছে। অনেক তরুণ ধূমপানকে প্রভাব, আধুনিকতা কিংবা মানসিক চাপ থেকে মুক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে। মিডিয়া, বন্ধু-প্রভাব এবং সহজলভ্যতা ধূমপানকে তরুণদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

কিছু সমাজে এটি একটি রীতিমতো পুরুষত্বের প্রতীক বলেও দেখা হয়, যার ফলে সামাজিকভাবে এর প্রতি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অনেকে এর প্রতি আকৃষ্ট হয়।

তবে ধূমপানের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব অনস্বীকার্য। নিম্ন আয়ের মানুষের একটি বড় অংশ তামাকজাত দ্রব্যের পেছনে অর্থ ব্যয় করে প্রয়োজনীয় খাদ্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার পেছনে ব্যয়ের পরিবর্তে। ফলে একটি পরিবার অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দারিদ্র্য চক্রে আটকে যায়। পাশাপাশি, ধূমপানের কারণে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং স্বাস্থ্য সেবার ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা সামগ্রিকভাবে জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সরকার ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেমন পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ, তামাকজাত পণ্যে স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ চিত্রের ব্যবহার, বিজ্ঞাপনে নিয়ন্ত্রণ আরোপ ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তবতায় অনেক ক্ষেত্রেই এসব আইনের প্রয়োগ দুর্বল, এবং জনগণের সচেতনতার অভাবে এই পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

সার্বিকভাবে দেখা যায়, ধূমপান একটি বহুমাত্রিক সমস্যা, যা কেবল স্বাস্থ্যগত নয়, বরং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এই সমস্যা মোকাবেলায় কেবল আইনি পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন শিক্ষা, সচেতনতা, এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন।

তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত করে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় উদ্বুদ্ধ করাই হতে পারে একটি ধূমপানমুক্ত সমাজ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ।

একটি সুস্থ, সচেতন ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে ধূমপানের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। গবেষণাভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, আইনের বাস্তবসম্মত প্রয়োগ এবং শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে।

ইরফান ইবনে আমিন পাটোয়ারী

শিক্ষার্থী, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

back to top