alt

মতামত » চিঠিপত্র

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তামাকজাত পণ্য। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই মরণফাঁদ। তবু কোনোভাবেই এর কার্যকর সমাধান মিলছে না। অধিকাংশ মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবেই জড়িয়ে পড়ছে এই ভয়াবহ আসক্তিতে। ধূমপান, চিবানো, গিলানো-বিভিন্ন উপায়ে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, সাদাপাতা প্রভৃতি তামাকজাত পণ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বে ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ তামাকজাত পণ্যের কারণে মারা যায়। তামাকে রয়েছে প্রায় সাত হাজার রাসায়নিক উপাদান, যার মধ্যে অন্তত সত্তরটি ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এর মধ্যে নিকোটিন নামের উপাদানটি ক্যান্সার সৃষ্টির পাশাপাশি মস্তিষ্কে উত্তেজনা বাড়ায়। এছাড়াও কার্বন মনোক্সাইড, সীসা ও আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকর উপাদান ফুসফুস, গলা, পাকস্থলি, লিভার ও কিডনিতে সংক্রমণ ঘটায়। এতে রক্তে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

বেশিরভাগ মানুষ এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানলেও অভ্যাসের দাস হয়ে পড়েছে। তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ভয়াবহ ক্ষতির দৃশ্যমান ছবি দেখেও অনেকে নিজেদের জীবনকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে। এ আসক্তি শুধু একজন মানুষকেই ধ্বংস করে না, বরং পুরো পরিবেশকেও বিপর্যস্ত করে। ধূমপানের ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে শিশু, বৃদ্ধসহ আশপাশের মানুষকেও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে।

তামাকজাত পণ্যের কারণে দেশের চিকিৎসা খাতও বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে। একদিকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যয়ও বেড়ে চলেছে। ফলে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে।

এই নীরব ঘাতক থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত ইচ্ছাশক্তি, জনসচেতনতা, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সরকার ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ। তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই সম্ভব হবে তামাকমুক্ত, সুন্দর ও স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা।

শীলা আখতার

কুষ্টিয়

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

শুধু ফেব্রুয়ারিতে ভাষার দরদ?

ভাষা ও সাহিত্যের মিলনমেলা

জমি দখলের ক্ষতিপূরণ চাই

tab

মতামত » চিঠিপত্র

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তামাকজাত পণ্য। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই মরণফাঁদ। তবু কোনোভাবেই এর কার্যকর সমাধান মিলছে না। অধিকাংশ মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবেই জড়িয়ে পড়ছে এই ভয়াবহ আসক্তিতে। ধূমপান, চিবানো, গিলানো-বিভিন্ন উপায়ে প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত হচ্ছে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, সাদাপাতা প্রভৃতি তামাকজাত পণ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বে ৮০ লক্ষেরও বেশি মানুষ তামাকজাত পণ্যের কারণে মারা যায়। তামাকে রয়েছে প্রায় সাত হাজার রাসায়নিক উপাদান, যার মধ্যে অন্তত সত্তরটি ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এর মধ্যে নিকোটিন নামের উপাদানটি ক্যান্সার সৃষ্টির পাশাপাশি মস্তিষ্কে উত্তেজনা বাড়ায়। এছাড়াও কার্বন মনোক্সাইড, সীসা ও আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকর উপাদান ফুসফুস, গলা, পাকস্থলি, লিভার ও কিডনিতে সংক্রমণ ঘটায়। এতে রক্তে ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

বেশিরভাগ মানুষ এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানলেও অভ্যাসের দাস হয়ে পড়েছে। তামাকজাত পণ্যের মোড়কে ভয়াবহ ক্ষতির দৃশ্যমান ছবি দেখেও অনেকে নিজেদের জীবনকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে। এ আসক্তি শুধু একজন মানুষকেই ধ্বংস করে না, বরং পুরো পরিবেশকেও বিপর্যস্ত করে। ধূমপানের ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে শিশু, বৃদ্ধসহ আশপাশের মানুষকেও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে।

তামাকজাত পণ্যের কারণে দেশের চিকিৎসা খাতও বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে। একদিকে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যয়ও বেড়ে চলেছে। ফলে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে।

এই নীরব ঘাতক থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত ইচ্ছাশক্তি, জনসচেতনতা, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সরকার ও সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ। তামাকজাত পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তবেই সম্ভব হবে তামাকমুক্ত, সুন্দর ও স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা।

শীলা আখতার

কুষ্টিয়

back to top