alt

মতামত » চিঠিপত্র

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

: সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় নতুন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কেউ হারাচ্ছেন প্রিয়জনকে, কেউ আবার লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। একসময় যে মশাকে তুচ্ছ মনে করা হতো, এখন সেই মশাই যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুদূতে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো সচেতনতা। প্রতিটি নাগরিক যদি নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে, তবে ডেঙ্গুর বিস্তার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। আমাদের বাসা-বাড়ি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিক বোতল, ডাবের খোসা, চায়ের পাত্র বা ছাদে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা জরুরি। সবাইকে ফুলহাতা পোশাক পরতে হবে।

সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মশা নিধন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে নিয়মিত সচেতনতা প্রচার চালানো প্রয়োজন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের একার পক্ষে এই মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন, দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল এই ভয়াবহ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।

তানভীর রহমান

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

বাউফল থেকে লোহালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা

পরিবেশ বিপর্যয়ের অজানা মুখ

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের শেষ কোথায়?

টেকসই উন্নয়ন ও আদিবাসীদের অধিকার

শব্দদূষণ বন্ধ হবে কবে?

চট্টগ্রাম দোহাজারী অংশে রেল চালু হোক

দেশের প্রথম শহীদ মিনারের উপেক্ষিত ইতিহাস

তরুণদের হীনমন্যতা ও মত প্রকাশে অনীহা

বন সংরক্ষণ ও উন্নয়ন

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় নতুন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কেউ হারাচ্ছেন প্রিয়জনকে, কেউ আবার লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। একসময় যে মশাকে তুচ্ছ মনে করা হতো, এখন সেই মশাই যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুদূতে। যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো সচেতনতা। প্রতিটি নাগরিক যদি নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে, তবে ডেঙ্গুর বিস্তার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। আমাদের বাসা-বাড়ি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিক বোতল, ডাবের খোসা, চায়ের পাত্র বা ছাদে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা জরুরি। সবাইকে ফুলহাতা পোশাক পরতে হবে।

সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে মশা নিধন কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে নিয়মিত সচেতনতা প্রচার চালানো প্রয়োজন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের একার পক্ষে এই মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন, দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল এই ভয়াবহ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।

তানভীর রহমান

back to top