alt

মতামত » চিঠিপত্র

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

আজকাল ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেম-সবকিছুই আমাদের হাতে। তবে এই ডিজিটাল সুবিধার পাশাপাশি লুকিয়ে আছে এক অদৃশ্য জগত, যেখানে সাইবার বুলিং এবং নানা ধরনের ভার্চুয়াল অপরাধ ঘটছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়–য়া তরুণেরা এই বিপদের মুখোমুখি।

সাইবার বুলিং হলো ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইলের মাধ্যমে কাউকে হয়রানি, অপমান বা ক্ষতি করা। এটি হতে পারে বাজে বার্তা পাঠানো, মিথ্যা গুজব ছড়ানো, ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করা বা হুমকি দেওয়া। সাধারণ বুলিং থেকে ভয়ংকর কারণ এখানে শারীরিক আঘাতের দরকার নেই; শুধু স্ক্রিনের আড়াল থেকেও কারো জীবন দুর্বিষহ করা সম্ভব। এছাড়া হ্যাকিং, অনলাইন প্রতারণা, ফিশিংও ভার্চুয়াল অপরাধের বড় উদাহরণ।

এই ধরনের হয়রানি শুধু মোবাইলেই থেমে থাকে না; এর প্রভাব মানসিক এবং সামাজিকভাবে দীর্ঘস্থায়ী। ভুক্তভোগীরা হতাশ, ভয়, আত্মবিশ্বাসহীনতা, পড়াশোনায় মন না বসা এবং বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব অনুভব করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, তারা আত্মহত্যার পথও ভাবতে পারে।

এই বিপদের প্রধান কারণ হলো নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের অভাব, পরিচয় লুকানো সহজ হওয়া, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব এবং সমাজের মনোভাব অনলাইনে যা ঘটে সেটা ‘বাস্তব নয়’এমন ভুল ধারণা।

সাইবার ঝুঁকি কমাতে সতর্কতা অপরিহার্য। ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, অজানা কারো লিংকে ক্লিক না করা, এবং অনলাইন অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত রাখা জরুরি। এছাড়া যেকোনো হয়রানির শিকার হলে বাবা-মা, শিক্ষক বা বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে তা শেয়ার করতে হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, থানার অভিযোগ বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করা যায়।

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ একটি অদৃশ্য শত্রু, কিন্তু সচেতনতা, সতর্কতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে এটি মোকাবেলা সম্ভব। ইন্টারনেট সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে এটি জ্ঞান, বন্ধুত্ব এবং সৃজনশীলতার মাধ্যম হতে পারে, অপরাধের হাতিয়ার নয়।

তামান্না ইসলাম

শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

ডিজিটাল উপনিবেশ : অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসন

tab

মতামত » চিঠিপত্র

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

আজকাল ইন্টারনেট আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেম-সবকিছুই আমাদের হাতে। তবে এই ডিজিটাল সুবিধার পাশাপাশি লুকিয়ে আছে এক অদৃশ্য জগত, যেখানে সাইবার বুলিং এবং নানা ধরনের ভার্চুয়াল অপরাধ ঘটছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়–য়া তরুণেরা এই বিপদের মুখোমুখি।

সাইবার বুলিং হলো ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইলের মাধ্যমে কাউকে হয়রানি, অপমান বা ক্ষতি করা। এটি হতে পারে বাজে বার্তা পাঠানো, মিথ্যা গুজব ছড়ানো, ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করা বা হুমকি দেওয়া। সাধারণ বুলিং থেকে ভয়ংকর কারণ এখানে শারীরিক আঘাতের দরকার নেই; শুধু স্ক্রিনের আড়াল থেকেও কারো জীবন দুর্বিষহ করা সম্ভব। এছাড়া হ্যাকিং, অনলাইন প্রতারণা, ফিশিংও ভার্চুয়াল অপরাধের বড় উদাহরণ।

এই ধরনের হয়রানি শুধু মোবাইলেই থেমে থাকে না; এর প্রভাব মানসিক এবং সামাজিকভাবে দীর্ঘস্থায়ী। ভুক্তভোগীরা হতাশ, ভয়, আত্মবিশ্বাসহীনতা, পড়াশোনায় মন না বসা এবং বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব অনুভব করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, তারা আত্মহত্যার পথও ভাবতে পারে।

এই বিপদের প্রধান কারণ হলো নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের অভাব, পরিচয় লুকানো সহজ হওয়া, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব এবং সমাজের মনোভাব অনলাইনে যা ঘটে সেটা ‘বাস্তব নয়’এমন ভুল ধারণা।

সাইবার ঝুঁকি কমাতে সতর্কতা অপরিহার্য। ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, অজানা কারো লিংকে ক্লিক না করা, এবং অনলাইন অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত রাখা জরুরি। এছাড়া যেকোনো হয়রানির শিকার হলে বাবা-মা, শিক্ষক বা বিশ্বস্ত কারো সঙ্গে তা শেয়ার করতে হবে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, থানার অভিযোগ বা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করা যায়।

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ একটি অদৃশ্য শত্রু, কিন্তু সচেতনতা, সতর্কতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে এটি মোকাবেলা সম্ভব। ইন্টারনেট সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে এটি জ্ঞান, বন্ধুত্ব এবং সৃজনশীলতার মাধ্যম হতে পারে, অপরাধের হাতিয়ার নয়।

তামান্না ইসলাম

শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top