alt

মতামত » চিঠিপত্র

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

: শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশের অর্থনীতির গভীর শিকড়ে যে শক্তি বহু দশক ধরে নীরবে অপেক্ষা করছিল, আজ তা নতুন করে জেগে উঠছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণে। দেশের হাজারো গ্রামীণ বাড়ির আঙিনা, মাটির চুলার পাশের ছোট্ট কর্মশালা, বাঁশ-নকশার ঝুড়ি বানানো অভিজ্ঞ হাত, কিংবা স্বনির্ভর হয়ে ওঠার স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে চলা নারীর অনড় দৃঢ়তা সবকিছু মিলেই এখন তৈরি হচ্ছে এক নতুন অর্থনৈতিক স্রোত। একসময় ঘরোয়া চাহিদা মেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকা এই শিল্প এখন স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ‘ভ্যালুচেইন’-এ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে শুরু করেছে। মানুষের রুচি বদলেছে, দেশীয় পণ্যের প্রতি আস্থা বেড়েছে, আর বাড়ছে ‘নিজস্ব’ সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি গর্ব এই তিন শক্তিই আজ পুনরুজ্জীবনকে আরও ত্বরান্বিত করছে।

এই পুনর্জাগরণের পেছনে আছে এক সুস্পষ্ট পরিবর্তন প্রযুক্তির বিস্তার ও ডিজিটাল যোগাযোগ। মোবাইল ফোনে ছবি তুলে অনলাইন পেজে পোস্ট করা থেকে শুরু করে অনলাইন পেমেন্ট, হোম ডেলিভারি, ডিজিটাল মার্কেটিং সবকিছু মিলে ছোট উদ্যোক্তাদের জীবনে তৈরি হয়েছে নতুন দিগন্ত। আগে যেখানে বাজার সীমাবদ্ধ ছিল কোনো একটি হাট বা এলাকার মধ্যে, সেখানে এখন একজন কারিগরের তৈরি পণ্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৌঁছে যাচ্ছে। এভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে যুক্ত হচ্ছেন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা; তারা ঐতিহ্যবাহী নৈপুণ্যকে আধুনিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছেন সৃজনশীল নতুনত্বের স্পর্শে।

হাতে তৈরি শাড়ি, নকশিকাঁথা, মাটির পণ্য, কাঠের কারুকাজ, বেত-পাতার নৈপুণ্য, ঘরোয়া খাদ্যপণ্য এসব পণ্য শুধু একটি অর্থনৈতিক উৎপাদন নয়; এগুলো আমাদের সংস্কৃতি, পরিচয় ও ঐতিহ্যের অংশ। তাই এই শিল্পের পুনর্জাগরণ মানে কেবল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নয়, বরং সাংস্কৃতিক জাগরণেরও এক নতুন অধ্যায়। অর্থনীতিবিদদের মতে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণের হার এই খাতে অনেক বেশি। এতে পরিবারের আয় বাড়ে, নারীর সামাজিক মর্যাদা শক্ত হয়, এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি হয়।

কৃষি নির্ভর গ্রামে যেখানে কাজ প্রায়ই মৌসুমি, সেখানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সারা বছর আয়-রোজগারের সুযোগ তৈরি করে। অনেক পরিবারের জন্য এটি হয়ে উঠেছে প্রধান আয়ের উৎস। কম পুঁজি, কম ঝুঁকি, সহজ কাঁচামাল প্রাপ্যতা এসব কারণে ছোট পরিসরে শুরু করেও বড় স্বপ্ন দেখা যায়, বড় অর্জন করা যায়। একসময় যারা নিজের প্রতিভা বা দক্ষতাকে শুধুই ‘শখ’ হিসেবে দেখতেন, আজ তারা নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছেন উদ্যোক্তা হিসেবে।

তবে উন্নতির এই পথে কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া, বাজারে প্রতিযোগিতা, মান নিয়ন্ত্রণের অভাব, ব্র্যান্ডিং বিষয়ে অজ্ঞতা, এবং পুঁজির সীমাবদ্ধতা সবই বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক উদ্যোক্তা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বা বাজারজাতকরণ কৌশলের অভাবে ব্যবসা বড় করতে পারেন না। আবার গ্রামীণ কোনো কারিগর তার শ্রমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় নিরুৎসাহিত হন। তাই এখন প্রয়োজন একটি আরও শক্তিশালী সমর্থন কাঠামো যেখানে থাকবে সহজ ঋণ, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, সরকারি সহায়তা, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ।

তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সত্য একটাই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের শক্তি থামিয়ে রাখা যায় না। এই শিল্প মানুষের হাতে হাতে সৃষ্টি হয়, মানুষের স্বপ্নে রঙ পায়, আর মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যায়। তাই এর বৃদ্ধি মানে শুধু এউচ বাড়া নয়, বরং মানুষের জীবনে আস্থা, আত্মসম্মান এবং পরিবর্তনের উৎস তৈরি হওয়া। এই শিল্প আমাদের শেখায় একটি ছোট উদ্যোগও বড় প্রভাব ফেলতে পারে, একটি কারিগরের হাতে তৈরি পণ্যও দেশের অর্থনৈতিক অভ্যুত্থানের অংশ হতে পারে।

আজ জাতির অর্থনীতির ভেতরে জন্ম নিচ্ছে এক নীরব কিন্তু শক্তিশালী বিপ্লব যেখানে প্রতিটি সুঁই-সুতো, প্রতিটি বতের বাঁক, প্রতিটি মাটির শিল্পকর্ম আর প্রতিটি ঘরোয়া খাদ্যপণ্য এ দেশকে নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন পথের দিকে। স্বনির্ভরতার পথ, সাংস্কৃতিক গৌরবের পথ, এবং টেকসই অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পথ যার কেন্দ্রে রয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মানুষেরা। তাদের হাতেই গড়ে উঠছে বাংলাদেশের আগামী দিনের সৃজনশীল, মানবিক ও শক্তিশালী অর্থনীতি।

তহমিনা ইয়াসমিন

নৃবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

ধূমপানের প্রভাব

ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সার্ভিস রুল অনুযায়ী নিয়োগ

শিশুর হাতে মোবাইল নয়, চাই জীবনের মাঠে ফেরার ডাক

মতিঝিল-গুলিস্তান রুটে চক্রাকার বাস সার্ভিস : শৃঙ্খল ও স্বস্তির সম্ভাবনা

ভাঙ্গা-খুলনা সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করুন

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের অর্থনীতির গভীর শিকড়ে যে শক্তি বহু দশক ধরে নীরবে অপেক্ষা করছিল, আজ তা নতুন করে জেগে উঠছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণে। দেশের হাজারো গ্রামীণ বাড়ির আঙিনা, মাটির চুলার পাশের ছোট্ট কর্মশালা, বাঁশ-নকশার ঝুড়ি বানানো অভিজ্ঞ হাত, কিংবা স্বনির্ভর হয়ে ওঠার স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে চলা নারীর অনড় দৃঢ়তা সবকিছু মিলেই এখন তৈরি হচ্ছে এক নতুন অর্থনৈতিক স্রোত। একসময় ঘরোয়া চাহিদা মেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকা এই শিল্প এখন স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ‘ভ্যালুচেইন’-এ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে শুরু করেছে। মানুষের রুচি বদলেছে, দেশীয় পণ্যের প্রতি আস্থা বেড়েছে, আর বাড়ছে ‘নিজস্ব’ সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি গর্ব এই তিন শক্তিই আজ পুনরুজ্জীবনকে আরও ত্বরান্বিত করছে।

এই পুনর্জাগরণের পেছনে আছে এক সুস্পষ্ট পরিবর্তন প্রযুক্তির বিস্তার ও ডিজিটাল যোগাযোগ। মোবাইল ফোনে ছবি তুলে অনলাইন পেজে পোস্ট করা থেকে শুরু করে অনলাইন পেমেন্ট, হোম ডেলিভারি, ডিজিটাল মার্কেটিং সবকিছু মিলে ছোট উদ্যোক্তাদের জীবনে তৈরি হয়েছে নতুন দিগন্ত। আগে যেখানে বাজার সীমাবদ্ধ ছিল কোনো একটি হাট বা এলাকার মধ্যে, সেখানে এখন একজন কারিগরের তৈরি পণ্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৌঁছে যাচ্ছে। এভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে যুক্ত হচ্ছেন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা; তারা ঐতিহ্যবাহী নৈপুণ্যকে আধুনিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছেন সৃজনশীল নতুনত্বের স্পর্শে।

হাতে তৈরি শাড়ি, নকশিকাঁথা, মাটির পণ্য, কাঠের কারুকাজ, বেত-পাতার নৈপুণ্য, ঘরোয়া খাদ্যপণ্য এসব পণ্য শুধু একটি অর্থনৈতিক উৎপাদন নয়; এগুলো আমাদের সংস্কৃতি, পরিচয় ও ঐতিহ্যের অংশ। তাই এই শিল্পের পুনর্জাগরণ মানে কেবল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নয়, বরং সাংস্কৃতিক জাগরণেরও এক নতুন অধ্যায়। অর্থনীতিবিদদের মতে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণের হার এই খাতে অনেক বেশি। এতে পরিবারের আয় বাড়ে, নারীর সামাজিক মর্যাদা শক্ত হয়, এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি হয়।

কৃষি নির্ভর গ্রামে যেখানে কাজ প্রায়ই মৌসুমি, সেখানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সারা বছর আয়-রোজগারের সুযোগ তৈরি করে। অনেক পরিবারের জন্য এটি হয়ে উঠেছে প্রধান আয়ের উৎস। কম পুঁজি, কম ঝুঁকি, সহজ কাঁচামাল প্রাপ্যতা এসব কারণে ছোট পরিসরে শুরু করেও বড় স্বপ্ন দেখা যায়, বড় অর্জন করা যায়। একসময় যারা নিজের প্রতিভা বা দক্ষতাকে শুধুই ‘শখ’ হিসেবে দেখতেন, আজ তারা নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছেন উদ্যোক্তা হিসেবে।

তবে উন্নতির এই পথে কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া, বাজারে প্রতিযোগিতা, মান নিয়ন্ত্রণের অভাব, ব্র্যান্ডিং বিষয়ে অজ্ঞতা, এবং পুঁজির সীমাবদ্ধতা সবই বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক উদ্যোক্তা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ বা বাজারজাতকরণ কৌশলের অভাবে ব্যবসা বড় করতে পারেন না। আবার গ্রামীণ কোনো কারিগর তার শ্রমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় নিরুৎসাহিত হন। তাই এখন প্রয়োজন একটি আরও শক্তিশালী সমর্থন কাঠামো যেখানে থাকবে সহজ ঋণ, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, সরকারি সহায়তা, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ।

তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সত্য একটাই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের শক্তি থামিয়ে রাখা যায় না। এই শিল্প মানুষের হাতে হাতে সৃষ্টি হয়, মানুষের স্বপ্নে রঙ পায়, আর মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যায়। তাই এর বৃদ্ধি মানে শুধু এউচ বাড়া নয়, বরং মানুষের জীবনে আস্থা, আত্মসম্মান এবং পরিবর্তনের উৎস তৈরি হওয়া। এই শিল্প আমাদের শেখায় একটি ছোট উদ্যোগও বড় প্রভাব ফেলতে পারে, একটি কারিগরের হাতে তৈরি পণ্যও দেশের অর্থনৈতিক অভ্যুত্থানের অংশ হতে পারে।

আজ জাতির অর্থনীতির ভেতরে জন্ম নিচ্ছে এক নীরব কিন্তু শক্তিশালী বিপ্লব যেখানে প্রতিটি সুঁই-সুতো, প্রতিটি বতের বাঁক, প্রতিটি মাটির শিল্পকর্ম আর প্রতিটি ঘরোয়া খাদ্যপণ্য এ দেশকে নিয়ে যাচ্ছে এক নতুন পথের দিকে। স্বনির্ভরতার পথ, সাংস্কৃতিক গৌরবের পথ, এবং টেকসই অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পথ যার কেন্দ্রে রয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মানুষেরা। তাদের হাতেই গড়ে উঠছে বাংলাদেশের আগামী দিনের সৃজনশীল, মানবিক ও শক্তিশালী অর্থনীতি।

তহমিনা ইয়াসমিন

নৃবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

back to top