মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শীতের আগমনে গ্রামে পিঠাপুলি ও শহরে পিঠার দোকান সাজতে শুরু করেছে। এই পিঠার স্বাদ ও ঘ্রাণের অন্যতম উপাদান হলো খেজুর গুড়। খেজুরগুড় বাংলার খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ভেজাল খেজুরগুড়ের প্রাচুর্য দেখা দিয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে খেজুরগুড়ের সঙ্গে কৃত্রিম চিনি, রঙ, ময়দা, চিটাগুড়, থিকনার, সেকারিন, ফ্লেভার, ইউরিয়া ও ক্ষতিকর লবণ মিশিয়ে বানানো হচ্ছে। এমনকি কখনো খেজুর রসের অস্তিত্ব পর্যন্ত থাকে না। এই ভেজাল খেজুরগুড়ের নিয়মিত ব্যবহার কিডনি, লিভার, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। পেটের সমস্যা, বমি ইত্যাদিও এর সাধারণ প্রভাব।
খেজুরগুড়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনকে বাজার থেকে ভেজাল খেজুরগুড় অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও খেজুর রস দ্বারা তৈরি খেজুরগুড়ের উৎপাদন সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিকীকরণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসংস্কৃতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।
রিয়াদ হোসেন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতের আগমনে গ্রামে পিঠাপুলি ও শহরে পিঠার দোকান সাজতে শুরু করেছে। এই পিঠার স্বাদ ও ঘ্রাণের অন্যতম উপাদান হলো খেজুর গুড়। খেজুরগুড় বাংলার খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ভেজাল খেজুরগুড়ের প্রাচুর্য দেখা দিয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে খেজুরগুড়ের সঙ্গে কৃত্রিম চিনি, রঙ, ময়দা, চিটাগুড়, থিকনার, সেকারিন, ফ্লেভার, ইউরিয়া ও ক্ষতিকর লবণ মিশিয়ে বানানো হচ্ছে। এমনকি কখনো খেজুর রসের অস্তিত্ব পর্যন্ত থাকে না। এই ভেজাল খেজুরগুড়ের নিয়মিত ব্যবহার কিডনি, লিভার, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। পেটের সমস্যা, বমি ইত্যাদিও এর সাধারণ প্রভাব।
খেজুরগুড়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনকে বাজার থেকে ভেজাল খেজুরগুড় অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও খেজুর রস দ্বারা তৈরি খেজুরগুড়ের উৎপাদন সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিকীকরণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসংস্কৃতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।
রিয়াদ হোসেন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ