alt

মতামত » চিঠিপত্র

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

: বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শীতের আগমনে গ্রামে পিঠাপুলি ও শহরে পিঠার দোকান সাজতে শুরু করেছে। এই পিঠার স্বাদ ও ঘ্রাণের অন্যতম উপাদান হলো খেজুর গুড়। খেজুরগুড় বাংলার খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ভেজাল খেজুরগুড়ের প্রাচুর্য দেখা দিয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে খেজুরগুড়ের সঙ্গে কৃত্রিম চিনি, রঙ, ময়দা, চিটাগুড়, থিকনার, সেকারিন, ফ্লেভার, ইউরিয়া ও ক্ষতিকর লবণ মিশিয়ে বানানো হচ্ছে। এমনকি কখনো খেজুর রসের অস্তিত্ব পর্যন্ত থাকে না। এই ভেজাল খেজুরগুড়ের নিয়মিত ব্যবহার কিডনি, লিভার, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। পেটের সমস্যা, বমি ইত্যাদিও এর সাধারণ প্রভাব।

খেজুরগুড়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনকে বাজার থেকে ভেজাল খেজুরগুড় অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও খেজুর রস দ্বারা তৈরি খেজুরগুড়ের উৎপাদন সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিকীকরণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসংস্কৃতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।

রিয়াদ হোসেন

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

সুন্দরবনে টেকসই পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ও করণীয়

প্রথার নামে প্রথাগত শোষণ: উচ্চ কাবিনের ফাঁদ

শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের মাস্টার প্ল্যান

গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু কেন কেবলই সংখ্যা?

বাল্যবিয়ে: সমাজের এক নীরব অভিশাপ

মনোস্বাস্থ্যের সংকটে তরুণরা: নীরবতার আড়ালে এক ভয়াবহ বাস্তবতা

tab

মতামত » চিঠিপত্র

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতের আগমনে গ্রামে পিঠাপুলি ও শহরে পিঠার দোকান সাজতে শুরু করেছে। এই পিঠার স্বাদ ও ঘ্রাণের অন্যতম উপাদান হলো খেজুর গুড়। খেজুরগুড় বাংলার খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ভেজাল খেজুরগুড়ের প্রাচুর্য দেখা দিয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে খেজুরগুড়ের সঙ্গে কৃত্রিম চিনি, রঙ, ময়দা, চিটাগুড়, থিকনার, সেকারিন, ফ্লেভার, ইউরিয়া ও ক্ষতিকর লবণ মিশিয়ে বানানো হচ্ছে। এমনকি কখনো খেজুর রসের অস্তিত্ব পর্যন্ত থাকে না। এই ভেজাল খেজুরগুড়ের নিয়মিত ব্যবহার কিডনি, লিভার, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। পেটের সমস্যা, বমি ইত্যাদিও এর সাধারণ প্রভাব।

খেজুরগুড়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। প্রশাসনকে বাজার থেকে ভেজাল খেজুরগুড় অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও খেজুর রস দ্বারা তৈরি খেজুরগুড়ের উৎপাদন সম্প্রসারণ ও বাণিজ্যিকীকরণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে এবং বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসংস্কৃতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।

রিয়াদ হোসেন

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

back to top