alt

মতামত » চিঠিপত্র

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

: সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পলিথিন ও পলিভিনাইলের ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি তৈরি করছে। মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, জলাবদ্ধতা বাড়ছে এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় পলিভিনাইল দিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরি হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উদ্বেগজনক। পলিভিনাইল উৎপাদনের সময় বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত হয় এবং পরে ব্যবহারের সময়ও এটি পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।

পরিত্যক্ত পলিভিনাইল ব্যানার মাটিতে জমে ফসলের উৎপাদন হ্রাস করে, পুড়িয়ে ফেললে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড ও ডাইঅক্সিন তৈরি হয় যা ফুসফুস, ত্বক ও চোখে ক্ষতি করে। শহরে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধির পেছনেও এই ব্যানারের ভূমিকা রয়েছে। ব্যানারে থাকা কালি ও রঙের ভারী ধাতু মানুষের স্নায়ু, কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। একবার ব্যবহৃত পলিভিনাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়, তাই এটি পরিত্যক্ত হয়ে পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।

এই ক্ষতির পরও পলিভিনাইল ব্যবহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। নির্বাচনী প্রচারণায় কাগজ, ক্যানভাস, ডিজিটাল ব্যানার ও ভিডিওর মতো পরিবেশবান্ধব মাধ্যম ব্যবহার করা উচিত। প্রতিটি প্রচেষ্টা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি কমাতে সহায়ক হবে।

নুসরাত জাহান জেরিন

শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা

হেমন্ত আসে হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে

জীবনের অভিধানে প্রবীণদের স্থান কোথায়?

নীরবতা নয়, বলতে শেখ

tab

মতামত » চিঠিপত্র

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

পলিথিন ও পলিভিনাইলের ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি তৈরি করছে। মাটির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, জলাবদ্ধতা বাড়ছে এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় পলিভিনাইল দিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন তৈরি হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উদ্বেগজনক। পলিভিনাইল উৎপাদনের সময় বিষাক্ত গ্যাস নিঃসৃত হয় এবং পরে ব্যবহারের সময়ও এটি পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।

পরিত্যক্ত পলিভিনাইল ব্যানার মাটিতে জমে ফসলের উৎপাদন হ্রাস করে, পুড়িয়ে ফেললে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড ও ডাইঅক্সিন তৈরি হয় যা ফুসফুস, ত্বক ও চোখে ক্ষতি করে। শহরে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধির পেছনেও এই ব্যানারের ভূমিকা রয়েছে। ব্যানারে থাকা কালি ও রঙের ভারী ধাতু মানুষের স্নায়ু, কিডনি ও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। একবার ব্যবহৃত পলিভিনাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়, তাই এটি পরিত্যক্ত হয়ে পরিবেশের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।

এই ক্ষতির পরও পলিভিনাইল ব্যবহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। নির্বাচনী প্রচারণায় কাগজ, ক্যানভাস, ডিজিটাল ব্যানার ও ভিডিওর মতো পরিবেশবান্ধব মাধ্যম ব্যবহার করা উচিত। প্রতিটি প্রচেষ্টা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি কমাতে সহায়ক হবে।

নুসরাত জাহান জেরিন

শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজ

back to top