মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পাশে বয়ে চলা করতোয়া নদী সাম্প্রতিক বন্যায় পুরো গ্রামকে বিধ্বস্ত করেছে। নদীর প্রবল স্রোতে বহু ঘরবাড়ি, উঠোন, গাছপালা এবং ফসলি জমি মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দীর্ঘ বছরের পরিশ্রম, স্বপ্ন এবং সমৃদ্ধি এক ঝটকায় শেষ হয়ে গেছে। মূলত নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের বসবাস এই গ্রামে। তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ঘরবাড়ি, যা এখন নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু পরিবার প্রাণে বাঁচলেও শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
নদীভাঙনের কারণে শুধু ঘরবাড়ি নয়, ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে। আগামি মৌসুমে চাষাবাদের সম্ভাবনা নেই, ফলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও জীবিকার সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তর পাশে আংশিক বাঁধ নির্মাণ হলেও তা ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত পুনর্বাসন, ঘর ও ফসলের ক্ষতিপূরণ এবং কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছেন। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতি বছর মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে।
সুলতানপুরের এই বিপর্যয় শুধু একটি গ্রামের নয়, পুরো দেশের সচেতন মানুষের জন্য সতর্কবার্তা। সরকারের, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে নদীভাঙনের দুঃস্বপ্ন আর ফিরে না আসে এবং সুলতানপুরের মানুষ নিরাপদ জীবন ফিরে পায়।
রনি মিয়া
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পাশে বয়ে চলা করতোয়া নদী সাম্প্রতিক বন্যায় পুরো গ্রামকে বিধ্বস্ত করেছে। নদীর প্রবল স্রোতে বহু ঘরবাড়ি, উঠোন, গাছপালা এবং ফসলি জমি মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দীর্ঘ বছরের পরিশ্রম, স্বপ্ন এবং সমৃদ্ধি এক ঝটকায় শেষ হয়ে গেছে। মূলত নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের বসবাস এই গ্রামে। তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ঘরবাড়ি, যা এখন নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু পরিবার প্রাণে বাঁচলেও শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
নদীভাঙনের কারণে শুধু ঘরবাড়ি নয়, ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে। আগামি মৌসুমে চাষাবাদের সম্ভাবনা নেই, ফলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও জীবিকার সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তর পাশে আংশিক বাঁধ নির্মাণ হলেও তা ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত পুনর্বাসন, ঘর ও ফসলের ক্ষতিপূরণ এবং কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছেন। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতি বছর মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে।
সুলতানপুরের এই বিপর্যয় শুধু একটি গ্রামের নয়, পুরো দেশের সচেতন মানুষের জন্য সতর্কবার্তা। সরকারের, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে নদীভাঙনের দুঃস্বপ্ন আর ফিরে না আসে এবং সুলতানপুরের মানুষ নিরাপদ জীবন ফিরে পায়।
রনি মিয়া