alt

মতামত » চিঠিপত্র

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

: শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পাশে বয়ে চলা করতোয়া নদী সাম্প্রতিক বন্যায় পুরো গ্রামকে বিধ্বস্ত করেছে। নদীর প্রবল স্রোতে বহু ঘরবাড়ি, উঠোন, গাছপালা এবং ফসলি জমি মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দীর্ঘ বছরের পরিশ্রম, স্বপ্ন এবং সমৃদ্ধি এক ঝটকায় শেষ হয়ে গেছে। মূলত নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের বসবাস এই গ্রামে। তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ঘরবাড়ি, যা এখন নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু পরিবার প্রাণে বাঁচলেও শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

নদীভাঙনের কারণে শুধু ঘরবাড়ি নয়, ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে। আগামি মৌসুমে চাষাবাদের সম্ভাবনা নেই, ফলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও জীবিকার সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তর পাশে আংশিক বাঁধ নির্মাণ হলেও তা ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত পুনর্বাসন, ঘর ও ফসলের ক্ষতিপূরণ এবং কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছেন। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতি বছর মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে।

সুলতানপুরের এই বিপর্যয় শুধু একটি গ্রামের নয়, পুরো দেশের সচেতন মানুষের জন্য সতর্কবার্তা। সরকারের, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে নদীভাঙনের দুঃস্বপ্ন আর ফিরে না আসে এবং সুলতানপুরের মানুষ নিরাপদ জীবন ফিরে পায়।

রনি মিয়া

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা

পানি সংকট: জীবন ও সভ্যতার জন্য বিরাট হুমকি

ই-লার্নিং: সীমান্তহীন শিক্ষার নতুন দিগন্ত

আজিমপুর কলোনির অব্যবস্থাপনা

জনস্বাস্থ্যের নীরব ঘাতক : তামাকজাত পণ্য

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: অবস্থান, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

ইন্দো-প্যাসিফিক রাজনীতি ও বাংলাদেশের সমুদ্রকৌশল

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট: দীর্ঘসূত্রতা ও ভোগান্তির শেষ কোথায়?

পুরান ঢাকার রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা

নিরাপদ শিশু খাদ্য: জাতির ভবিষ্যতের প্রশ্ন

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়: প্রতিদিনের দুঃস্বপ্ন

tab

মতামত » চিঠিপত্র

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পাশে বয়ে চলা করতোয়া নদী সাম্প্রতিক বন্যায় পুরো গ্রামকে বিধ্বস্ত করেছে। নদীর প্রবল স্রোতে বহু ঘরবাড়ি, উঠোন, গাছপালা এবং ফসলি জমি মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। দীর্ঘ বছরের পরিশ্রম, স্বপ্ন এবং সমৃদ্ধি এক ঝটকায় শেষ হয়ে গেছে। মূলত নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষদের বসবাস এই গ্রামে। তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল ঘরবাড়ি, যা এখন নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু পরিবার প্রাণে বাঁচলেও শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।

নদীভাঙনের কারণে শুধু ঘরবাড়ি নয়, ফসলি জমিও নষ্ট হয়েছে। আগামি মৌসুমে চাষাবাদের সম্ভাবনা নেই, ফলে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য ও জীবিকার সংকট তৈরি হয়েছে। উত্তর পাশে আংশিক বাঁধ নির্মাণ হলেও তা ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দ্রুত পুনর্বাসন, ঘর ও ফসলের ক্ষতিপূরণ এবং কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছেন। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতি বছর মানুষকে ঘরছাড়া হতে হবে।

সুলতানপুরের এই বিপর্যয় শুধু একটি গ্রামের নয়, পুরো দেশের সচেতন মানুষের জন্য সতর্কবার্তা। সরকারের, বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও নাগরিকদের সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, যাতে নদীভাঙনের দুঃস্বপ্ন আর ফিরে না আসে এবং সুলতানপুরের মানুষ নিরাপদ জীবন ফিরে পায়।

রনি মিয়া

back to top