মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
কথায় আছে, কর্মই ধর্ম, কর্মেই মুক্তি। কিন্তু সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য এই কথাটি যেনো পুরোই উল্টো। এখানে, কর্মে ভোগান্তি, আন্দোলন ও মামলাতেই মুক্তি, কথাটি যেনো যথার্থ উপযুক্ত। সেজন্যই সরকারি কর্মচারীদের যথাযথ মাধ্যমে যেকোন দাবি আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনকে দাবী আদায়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায় এবং এতেই সাফল্য আসে। ফলশ্রুতিতে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হন, কর্মে নয়, আন্দোলনে! গণতান্ত্রিক দেশে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন নিশ্চয় দোষের কিছু নয়, কিন্তু একজন রাজনীতিবিদের আন্দোলন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আওতাভুক্ত একজন সরকারি কর্মচারীর আন্দোলন কি একই কায়দায় হওয়া উচিত ? যে সরকারি চাকুরিজীবীরা জনগণের সেবায়, দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকার কথা তাঁরা আন্দোলনের নামে রাস্তায় নেমে পথচারীদের ভোগান্তির সৃষ্টি করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও বেশ কিছু আন্দোলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি। ১৫তম গ্রেডে যে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে যোগদান করলেন তারাই এখন গ্রেড আপগ্রেডের জন্য আন্দোলন করছেন। প্রথম দফায় তাদের গ্রেড আপগ্রেড করে ১৩তম গ্রেড করা হলো এবং এর অন্যতম যৌক্তিকতা হলো প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এখন যোগ্যতা হিসেবে গ্রেজুয়েট চাওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সরকারি সকল ডিপার্টমেন্টেই গ্রেজুয়েশন পাস যোগ্যতাসম্পন্ন সকল পোস্টের চাকুরিই কি ন্যূনতম ১৩তম গ্রেড করা হয়েছে ? যদি না করা হয়ে থাকে তাহলে অন্যদের প্রতি সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে কি বৈষম্যমূলক আচরণ করলো না ? রাষ্ট্র যদি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, গ্রেজুয়েশন যোগ্যতাসম্পন্ন পদগুলো ন্যূনতম ১৩তম গ্রেডের হওয়া উচিত, তাহলে এই সুবিধা কি সকল সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয় ? একই সময়ে প্রাইমারি স্কুলের ১৫তম গ্রেডের চাকুরি ছেড়ে যিনি অধিকতর যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ১৪তম গ্রেডের অন্য কোনো জবে যোগদান করেছেন তার গ্রেড আপগ্রেড করা হয়নি, এটা কি রাষ্ট্রের পক্ষ হতে একজন মেধাবীর প্রতি অন্যায় করা হলো না ? এ বিষয়টিতে রাষ্ট্রের অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত অন্যথায় সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত মেধাবীরা কাজের প্রতি আগ্রহ হারাবে।
এতদপরেও যদি প্রশ্ন করা হয়, অন্যান্যদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে শুধু প্রাইমারি স্কুলের টিচারদের গ্রেড আপগ্রেড করে রাষ্ট্রের কি লাভ হলো ? উত্তর হলো, লাভের চেয়ে বরং সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড আপডেট করার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের গ্রেড আপগ্রেড করে ১০ম গ্রেড করার মাধ্যমে একটি জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ উপজেলা বা থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর গ্রেডও দশম। যা আপগ্রেড করা হয়নি। আবার উপজেলা বা থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর গ্রেড আপডেট করলে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর গ্রেডও আপগ্রেড করার প্রয়োজন হবে সেটা সমাধানেরও কোনো সিদ্ধান্ত নেই। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড আপডেটের সঙ্গে সঙ্গেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অসন্তেুাষ সৃষ্টি হয়েছে। শীঘ্রই তারাও আন্দোলনে নামবেন। নামতেই হবে, কেননা এদেশে আন্দোলনেই মুক্তি!
প্রাইমারি শিক্ষক ইস্যূতে গ্রেড আপগ্রেড ছাড়া অন্য কোনো সমাধান কি ছিলো না ? উত্তম সমাধান ছিলো- যথাযথ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। কাজে প্রণোদিত করার অন্যতম মাধ্যম হলো কর্মচারীকে যথাসময়ে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রদোন্নতি প্রদান করা। প্রাইমারি স্কুলে যোগদানকারীদের প্রাথমিক গ্রেড ১৫ রেখেও চার বা পাঁচ বছর পরেই পদোন্নতির মাধ্যমে ১৩ বা ১৪তম গ্রেডে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (পদ সৃজনপূর্বক) পদে, এর চার কিংবা পাঁচ বছর পর পদোন্নতির মাধ্যমে ১২তম গ্রেডের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এবং পাঁচ বা ছয় বছর পর আবারো পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে যা ১১তম গ্রেডে, প্রধান শিক্ষক থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি পেয়ে ১০ম গ্রেডের এটিইও হবেন এবং সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি পাবেন। বিষয়টা এমনভাবে সমাধান করলে অন্যদের প্রতিও বৈষম্য সৃষ্টি করা হতো না এবং দীর্ঘস্থায়ী একটি সামাধান হতো। গ্রেড আপগ্রেডই যদি কাজে প্রণোদনা সৃষ্টি করতে পারতো এবং স্থায়ী সমাধান হতো তাহলে বারবার গ্রেড আপগ্রেডের আন্দোলন হতো না। মদ্দা কথা, গ্রেড ভিত্তিক প্রাপ্য বেতন যেকোন কর্মচারীর কাছে ন্যায্য পাওনা হিসেবে বিবেচিত, যা তাকে কাজে প্রণোদিত করে না। একজন কর্মচারীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ কাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত ধারায় সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো কর্মচারীকে যথা সময়ে যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদানের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেটা না করে গ্রেড সঙ্কোচন অথবা গ্রেড আপগ্রেডের মাধ্যমে পদোন্নতি বাঁধাগ্রস্ত করে চাকুরিজীবীদেরকে কাজে সাময়িক সন্তুষ্ট করা গেলেও দীর্ঘমেয়াদী সন্তুষ্ট রাখা সম্ভব নয়। নতুন পে-স্কেলের প্রাককালে বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনার এখনই সময়।
মাহদী হাসান লিখন
সরকারি চাকুরিজীবী,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
কথায় আছে, কর্মই ধর্ম, কর্মেই মুক্তি। কিন্তু সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য এই কথাটি যেনো পুরোই উল্টো। এখানে, কর্মে ভোগান্তি, আন্দোলন ও মামলাতেই মুক্তি, কথাটি যেনো যথার্থ উপযুক্ত। সেজন্যই সরকারি কর্মচারীদের যথাযথ মাধ্যমে যেকোন দাবি আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনকে দাবী আদায়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায় এবং এতেই সাফল্য আসে। ফলশ্রুতিতে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হন, কর্মে নয়, আন্দোলনে! গণতান্ত্রিক দেশে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন নিশ্চয় দোষের কিছু নয়, কিন্তু একজন রাজনীতিবিদের আন্দোলন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার আওতাভুক্ত একজন সরকারি কর্মচারীর আন্দোলন কি একই কায়দায় হওয়া উচিত ? যে সরকারি চাকুরিজীবীরা জনগণের সেবায়, দেশের কল্যাণে নিয়োজিত থাকার কথা তাঁরা আন্দোলনের নামে রাস্তায় নেমে পথচারীদের ভোগান্তির সৃষ্টি করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও বেশ কিছু আন্দোলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি। ১৫তম গ্রেডে যে সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে যোগদান করলেন তারাই এখন গ্রেড আপগ্রেডের জন্য আন্দোলন করছেন। প্রথম দফায় তাদের গ্রেড আপগ্রেড করে ১৩তম গ্রেড করা হলো এবং এর অন্যতম যৌক্তিকতা হলো প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এখন যোগ্যতা হিসেবে গ্রেজুয়েট চাওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সরকারি সকল ডিপার্টমেন্টেই গ্রেজুয়েশন পাস যোগ্যতাসম্পন্ন সকল পোস্টের চাকুরিই কি ন্যূনতম ১৩তম গ্রেড করা হয়েছে ? যদি না করা হয়ে থাকে তাহলে অন্যদের প্রতি সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে কি বৈষম্যমূলক আচরণ করলো না ? রাষ্ট্র যদি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, গ্রেজুয়েশন যোগ্যতাসম্পন্ন পদগুলো ন্যূনতম ১৩তম গ্রেডের হওয়া উচিত, তাহলে এই সুবিধা কি সকল সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয় ? একই সময়ে প্রাইমারি স্কুলের ১৫তম গ্রেডের চাকুরি ছেড়ে যিনি অধিকতর যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ১৪তম গ্রেডের অন্য কোনো জবে যোগদান করেছেন তার গ্রেড আপগ্রেড করা হয়নি, এটা কি রাষ্ট্রের পক্ষ হতে একজন মেধাবীর প্রতি অন্যায় করা হলো না ? এ বিষয়টিতে রাষ্ট্রের অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত অন্যথায় সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত মেধাবীরা কাজের প্রতি আগ্রহ হারাবে।
এতদপরেও যদি প্রশ্ন করা হয়, অন্যান্যদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে শুধু প্রাইমারি স্কুলের টিচারদের গ্রেড আপগ্রেড করে রাষ্ট্রের কি লাভ হলো ? উত্তর হলো, লাভের চেয়ে বরং সহকারী শিক্ষকদের গ্রেড আপডেট করার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের গ্রেড আপগ্রেড করে ১০ম গ্রেড করার মাধ্যমে একটি জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষ উপজেলা বা থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর গ্রেডও দশম। যা আপগ্রেড করা হয়নি। আবার উপজেলা বা থানা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর গ্রেড আপডেট করলে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর গ্রেডও আপগ্রেড করার প্রয়োজন হবে সেটা সমাধানেরও কোনো সিদ্ধান্ত নেই। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড আপডেটের সঙ্গে সঙ্গেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অসন্তেুাষ সৃষ্টি হয়েছে। শীঘ্রই তারাও আন্দোলনে নামবেন। নামতেই হবে, কেননা এদেশে আন্দোলনেই মুক্তি!
প্রাইমারি শিক্ষক ইস্যূতে গ্রেড আপগ্রেড ছাড়া অন্য কোনো সমাধান কি ছিলো না ? উত্তম সমাধান ছিলো- যথাযথ পদোন্নতির ব্যবস্থা করা। কাজে প্রণোদিত করার অন্যতম মাধ্যম হলো কর্মচারীকে যথাসময়ে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রদোন্নতি প্রদান করা। প্রাইমারি স্কুলে যোগদানকারীদের প্রাথমিক গ্রেড ১৫ রেখেও চার বা পাঁচ বছর পরেই পদোন্নতির মাধ্যমে ১৩ বা ১৪তম গ্রেডে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (পদ সৃজনপূর্বক) পদে, এর চার কিংবা পাঁচ বছর পর পদোন্নতির মাধ্যমে ১২তম গ্রেডের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এবং পাঁচ বা ছয় বছর পর আবারো পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে যা ১১তম গ্রেডে, প্রধান শিক্ষক থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি পেয়ে ১০ম গ্রেডের এটিইও হবেন এবং সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি পাবেন। বিষয়টা এমনভাবে সমাধান করলে অন্যদের প্রতিও বৈষম্য সৃষ্টি করা হতো না এবং দীর্ঘস্থায়ী একটি সামাধান হতো। গ্রেড আপগ্রেডই যদি কাজে প্রণোদনা সৃষ্টি করতে পারতো এবং স্থায়ী সমাধান হতো তাহলে বারবার গ্রেড আপগ্রেডের আন্দোলন হতো না। মদ্দা কথা, গ্রেড ভিত্তিক প্রাপ্য বেতন যেকোন কর্মচারীর কাছে ন্যায্য পাওনা হিসেবে বিবেচিত, যা তাকে কাজে প্রণোদিত করে না। একজন কর্মচারীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ কাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত ধারায় সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো কর্মচারীকে যথা সময়ে যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদানের ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেটা না করে গ্রেড সঙ্কোচন অথবা গ্রেড আপগ্রেডের মাধ্যমে পদোন্নতি বাঁধাগ্রস্ত করে চাকুরিজীবীদেরকে কাজে সাময়িক সন্তুষ্ট করা গেলেও দীর্ঘমেয়াদী সন্তুষ্ট রাখা সম্ভব নয়। নতুন পে-স্কেলের প্রাককালে বিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনার এখনই সময়।
মাহদী হাসান লিখন
সরকারি চাকুরিজীবী,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর