মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সকালের প্রথম আলো সুন্দরবনের পাতায় পড়লে বন ধীরে ধীরে জেগে ওঠে। হরিণের ক্ষুদ্র পদধ্বনি, বুনো পাখির ডানা ঝাপটানো-সব মিলিয়ে তৈরি হয় হাজার বছরের ছন্দ, যার গভীরে লুকিয়ে থাকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের রাজকীয় উপস্থিতি। সুন্দরবনের বাঘ শুধু প্রাণী নয়; এটি বনের স্পন্দন ও রহস্যের মূর্তি।
কিন্তু আজ এই ছন্দ ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণভাগ পানির নিচে চলে যাচ্ছে, লবণাক্ততা বেড়ে গাছের শিকড় দুর্বল করছে। শুকিয়ে যাওয়া বনের ভেতর বাঘ হাঁটে, কিন্তু আগেকার নিশ্চিন্ততার ছায়া নেই। মিঠা পানির খাল, যা বাঘের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, এখন লবণাক্ত হয়ে যায়, ফলে শাবকদের বাঁচানো কঠিন হয়। গাছ কমে গেলে হরিণ ও বুনো শূকরও কমে, বাঘ মানুষের বসতিগুলোর দিকে চলে আসে, যা গ্রামীণ জীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
সমাধান সহজ নয়, কিন্তু প্রয়োজনীয়। লবণসহনশীল গাছপালা দিয়ে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চালাতে হবে, মিঠাপানির রিজার্ভ ও খাল–বিল পুনর্জীবিত করতে হবে, বাঘের আন্দোলনপথ ও বাসস্থান রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়াতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-মানুষের চাপ কমানো। যদি এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়, তবে বাঘের ভবিষ্যত রক্ষা সম্ভব। সুন্দরবনের বাঘ আমাদের সতর্কবার্তা, যা প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার আহ্বান জানায়।
শায়লা নাজনীন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
সকালের প্রথম আলো সুন্দরবনের পাতায় পড়লে বন ধীরে ধীরে জেগে ওঠে। হরিণের ক্ষুদ্র পদধ্বনি, বুনো পাখির ডানা ঝাপটানো-সব মিলিয়ে তৈরি হয় হাজার বছরের ছন্দ, যার গভীরে লুকিয়ে থাকে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের রাজকীয় উপস্থিতি। সুন্দরবনের বাঘ শুধু প্রাণী নয়; এটি বনের স্পন্দন ও রহস্যের মূর্তি।
কিন্তু আজ এই ছন্দ ধীরে ধীরে ভেঙে যাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণভাগ পানির নিচে চলে যাচ্ছে, লবণাক্ততা বেড়ে গাছের শিকড় দুর্বল করছে। শুকিয়ে যাওয়া বনের ভেতর বাঘ হাঁটে, কিন্তু আগেকার নিশ্চিন্ততার ছায়া নেই। মিঠা পানির খাল, যা বাঘের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য, এখন লবণাক্ত হয়ে যায়, ফলে শাবকদের বাঁচানো কঠিন হয়। গাছ কমে গেলে হরিণ ও বুনো শূকরও কমে, বাঘ মানুষের বসতিগুলোর দিকে চলে আসে, যা গ্রামীণ জীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
সমাধান সহজ নয়, কিন্তু প্রয়োজনীয়। লবণসহনশীল গাছপালা দিয়ে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম চালাতে হবে, মিঠাপানির রিজার্ভ ও খাল–বিল পুনর্জীবিত করতে হবে, বাঘের আন্দোলনপথ ও বাসস্থান রক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বাড়াতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ-মানুষের চাপ কমানো। যদি এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়, তবে বাঘের ভবিষ্যত রক্ষা সম্ভব। সুন্দরবনের বাঘ আমাদের সতর্কবার্তা, যা প্রকৃতির সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার আহ্বান জানায়।
শায়লা নাজনীন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়