alt

মতামত » চিঠিপত্র

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

: রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বাংলাদেশের নগরায়ণ আজ এক অদ্ভুত দ্বৈততায় দাঁড়িয়ে। একদিকে উন্নয়নের দৌড়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক জলাধারের বিনাশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় নদী-নালা ভরাট করে দখল, বাণিজ্যিক প্লট তৈরি ও অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ যেন নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছে। এ অব্যবস্থা প্রমাণ করে নগর পরিকল্পনা কতটা দুর্বল ও বাস্তবহীন।

মূল সংকট হলো জলাধারের গুরুত্বকে পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে না নেওয়া। নদী-নালার স্বাভাবিক প্রবাহ ও জলধারণ ক্ষমতা উপেক্ষা করে ভবন, সড়ক ও আবাসিক প্রকল্প বিস্তৃত করা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম মিলছে না। কোথাও খাল উদ্ধার হলেও পাশেই অন্য সংস্থা তা সংকুচিত করে, ফলে দখলদারি বেড়ে যাচ্ছে।

এর প্রভাব শহরের জলাবদ্ধতা ও বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। ঢাকার অধিকাংশ খাল ভরাট, প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। আইন থাকলেও প্রয়োগ হয় না; প্রভাবশালী দখলদার শাস্তি এড়িয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ নদী-নালা ধ্বংসকে উপেক্ষা করে।

সমাধান হলো নগর পরিকল্পনায় নদী-নালা-জলাধারকে কেন্দ্র করে ব্লু নেটওয়ার্কভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ, খাল পুনঃখনন, দখলমুক্তকরণ ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি। সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পকে জলাধারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুমোদন ও বহু সংস্থার কাজ একক কর্তৃপক্ষের অধীনে সমন্বয় করা জরুরি। প্রকৃতিকে প্রতিপক্ষ নয়, অংশীদার হিসেবে না দেখলে নগরায়ণ টেকসই হবে না। নদী-নালা রক্ষা না করলে শহর কংক্রিটের জলাবদ্ধ মরুভূমিতে পরিণত হবে।

শায়লা নাজনীন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

সব হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেবা চালু করা হোক

tab

মতামত » চিঠিপত্র

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের নগরায়ণ আজ এক অদ্ভুত দ্বৈততায় দাঁড়িয়ে। একদিকে উন্নয়নের দৌড়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক জলাধারের বিনাশ। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় নদী-নালা ভরাট করে দখল, বাণিজ্যিক প্লট তৈরি ও অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ যেন নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছে। এ অব্যবস্থা প্রমাণ করে নগর পরিকল্পনা কতটা দুর্বল ও বাস্তবহীন।

মূল সংকট হলো জলাধারের গুরুত্বকে পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে না নেওয়া। নদী-নালার স্বাভাবিক প্রবাহ ও জলধারণ ক্ষমতা উপেক্ষা করে ভবন, সড়ক ও আবাসিক প্রকল্প বিস্তৃত করা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম মিলছে না। কোথাও খাল উদ্ধার হলেও পাশেই অন্য সংস্থা তা সংকুচিত করে, ফলে দখলদারি বেড়ে যাচ্ছে।

এর প্রভাব শহরের জলাবদ্ধতা ও বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। ঢাকার অধিকাংশ খাল ভরাট, প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। আইন থাকলেও প্রয়োগ হয় না; প্রভাবশালী দখলদার শাস্তি এড়িয়ে যায় এবং সাধারণ মানুষ নদী-নালা ধ্বংসকে উপেক্ষা করে।

সমাধান হলো নগর পরিকল্পনায় নদী-নালা-জলাধারকে কেন্দ্র করে ব্লু নেটওয়ার্কভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ, খাল পুনঃখনন, দখলমুক্তকরণ ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি। সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পকে জলাধারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুমোদন ও বহু সংস্থার কাজ একক কর্তৃপক্ষের অধীনে সমন্বয় করা জরুরি। প্রকৃতিকে প্রতিপক্ষ নয়, অংশীদার হিসেবে না দেখলে নগরায়ণ টেকসই হবে না। নদী-নালা রক্ষা না করলে শহর কংক্রিটের জলাবদ্ধ মরুভূমিতে পরিণত হবে।

শায়লা নাজনীন

back to top