মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।আমাদের দেশের গ্রামগুলোর বেশিরভাগ মানুষ আজও কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবন চালায়। কেউ চাষাবাদ করে, কেউ মাছ ধরে, কেউ গবাদিপশু পালন করে আবার কেউ কৃষিপণ্য কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত থাকে। তাই কৃষিকে বলা যায় গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
কৃষির মাধ্যমে গ্রামে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। জমি প্রস্তুত করা, বীজ বোনা, ফসলের যত্ন নেওয়া, ফসল কাটা-এই প্রতিটি ধাপে বহু মানুষের কাজ জোটে। শুধু তাই নয়, ফসল কাটার পর তা সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাত করার কাজেও অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এসব কাজ ঘিরেই গ্রামে হাট-বাজার গড়ে ওঠে এবং ছোট ছোট ব্যবসার সৃষ্টি হয়, যা পুরো গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখে।
কৃষি গ্রামবাসীর খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রামের মানুষ নিজের এলাকায় উৎপাদিত ধান, শাকসবজি, মাছ, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে দৈনন্দিন খাদ্য জোগাড় করতে পারে। এতে শহরের ওপর নির্ভরতা কমে এবং খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। একই সঙ্গে গ্রামের মানুষ তুলনামূলক কম খরচে পুষ্টিকর খাবার পায়।
কৃষি থেকে পাওয়া আয় গ্রামীণ পরিবারের জীবনমান উন্নত করতেও সাহায্য করে। কৃষকেরা ফসল বিক্রি করে যে আয় পায়, তা দিয়ে সন্তানের পড়ালেখা, চিকিৎসা, ঘরবাড়ি মেরামতসহ নানা প্রয়োজন মেটায়। ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষের সচেতনতা বাড়ে এবং সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন আসে।
সবশেষে বলা যায়, কৃষি ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি অচল। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, আধুনিক চাষপদ্ধতির প্রসার এবং পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা দিলে কৃষি আরও লাভজনক হবে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নও টেকসই হবে।
কাজী মাধুর্য রহমান
শিক্ষার্থী,লোকপ্রশাসন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।আমাদের দেশের গ্রামগুলোর বেশিরভাগ মানুষ আজও কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবন চালায়। কেউ চাষাবাদ করে, কেউ মাছ ধরে, কেউ গবাদিপশু পালন করে আবার কেউ কৃষিপণ্য কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত থাকে। তাই কৃষিকে বলা যায় গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড।
কৃষির মাধ্যমে গ্রামে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। জমি প্রস্তুত করা, বীজ বোনা, ফসলের যত্ন নেওয়া, ফসল কাটা-এই প্রতিটি ধাপে বহু মানুষের কাজ জোটে। শুধু তাই নয়, ফসল কাটার পর তা সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাত করার কাজেও অনেক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এসব কাজ ঘিরেই গ্রামে হাট-বাজার গড়ে ওঠে এবং ছোট ছোট ব্যবসার সৃষ্টি হয়, যা পুরো গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখে।
কৃষি গ্রামবাসীর খাদ্য চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্রামের মানুষ নিজের এলাকায় উৎপাদিত ধান, শাকসবজি, মাছ, দুধ ও মাংসের মাধ্যমে দৈনন্দিন খাদ্য জোগাড় করতে পারে। এতে শহরের ওপর নির্ভরতা কমে এবং খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। একই সঙ্গে গ্রামের মানুষ তুলনামূলক কম খরচে পুষ্টিকর খাবার পায়।
কৃষি থেকে পাওয়া আয় গ্রামীণ পরিবারের জীবনমান উন্নত করতেও সাহায্য করে। কৃষকেরা ফসল বিক্রি করে যে আয় পায়, তা দিয়ে সন্তানের পড়ালেখা, চিকিৎসা, ঘরবাড়ি মেরামতসহ নানা প্রয়োজন মেটায়। ধীরে ধীরে গ্রামের মানুষের সচেতনতা বাড়ে এবং সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন আসে।
সবশেষে বলা যায়, কৃষি ছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি অচল। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, আধুনিক চাষপদ্ধতির প্রসার এবং পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা দিলে কৃষি আরও লাভজনক হবে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নও টেকসই হবে।
কাজী মাধুর্য রহমান
শিক্ষার্থী,লোকপ্রশাসন বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়