alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার পরিণতি

সিরাজ প্রামাণিক

: শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

জনৈকা রেখা (ছদ্মনাম) যাত্রবাড়ী থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে এজাহার দায়ের করেন যে, চলার পথে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত তিন-চার মাস ধরে আসামি রিপন মিয়া প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরপর বিলাসী জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং পূর্বের স্বামীকে তালাক দিতে আসামি উদ্বুদ্ধ করে। একপর্যায়ে তালাক দিতে বাধ্যও করে। এরপর আসামি কাজির মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রি না করিয়ে একটি ভুয়া হলফনামার মাধ্যমে স্ত্রী বানিয়ে আসামি ভাড়া বাসায় নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর বাসা থেকে বের হয়ে আসামির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

মামলাটি হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায়। এ ধারায় বলা হয়েছে- যদি কোন পুরুষ বিবাহবন্ধন ব্যতীত ষোলো বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে, অথবা ষোলো বৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে।

ধর্ষণের সংজ্ঞা দেখেই বুঝতে পারছেন, উল্লিখিত মামলার বাদী সাবালিকা, স্বেচ্ছায় ফ্ল্যাটে গেছে, কনডিশন ছিল বিয়ে করবে। এতে বড়জোর প্রতারণা হতে পারে কিন্তু এ মামলায় ধর্ষণের কোন উপাদান না থাকাটাই স্বাভাবিক। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি বিচারিক আদালতে গেলে আসামিপক্ষ চার্জ গঠনের দিনে অব্যাহতি চেয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি ২৬৫(গ) ধারার বিধানমতে আবেদন দাখিল করেন। আসামির আইনজীবী অব্যাহতির আবেদনে এবং আদালতে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, মামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। আসামিকে অযথা হয়রানি করার মানসে অত্র মিথ্যা ঘটনার সাথে জড়িত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বর্ণিত ধারায় দরখাস্তকারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মতো কোন উপাদান অত্র মামলায় নেই। এজাহারে উল্লেখিত কথিত ঘটনার তারিখ ও সময় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

আইন অনুযায়ী কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে বিয়ের কথা দিয়ে কিংবা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটি লঙ্ঘন করলে সেটা হবে বিবাহ চুক্তির লঙ্ঘন, মোটেই ধর্ষণ নয়। এজাহারের বর্ণনামতে, ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনে ‘ফ্রড’ এর সংজ্ঞার সাথে ভিকটিমের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তবে মোটেই ধর্ষণের কোন উপাদান নেই। ১৬ বছরের অধিক কোনো বয়সের মেয়েকে যদি কোনো পুরুষ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌনকর্ম করে তা হলে তা ধর্ষণের নামান্তর হবে না, সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতের। (৫১ ডিএলআর, পেজ ১২৯)। যৌনকর্মের সময় যদি ভিকটিম কোনরূপ বাধা না দেয় অথবা বাধা দেওয়ার চেষ্টা না করে অথবা কোনো চিৎকার না দেয় তাহলে ধর্ষণ হয়েছে বলে মনে করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যৌনকর্মে ভিকটিমের সম্মতি আছে বলে ধরে নিতে হবে, সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতের (৫৭ ডিএলআর, পেজ ৫৯১)। এ মামলায় সমর্থনযোগ্য সাক্ষীর কোনো উপস্থিতি নেই। এ মামলায় ডিএনএ পরীক্ষায় পুরুষের বীর্যের কোন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

আরেকটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়, কোন স্ত্রীলোকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌন সংগম করা হলে, সেক্ষেত্রে উক্ত স্ত্রীলোকের দেহের বা শরীরের কোন না কোন অংশে বা জায়গায় জখম বা আঘাতের চিহ্ন থাকবে এবং এটা মেডিকেল রিপোর্ট দ্বারা সমর্থিত হবে। কারণ ধর্ষণের সময় ভিকটিম সম্ভ্রম রক্ষার জন্য একটু হলেও ধস্তাধস্তি করেন; কিন্তু ধর্ষণের এ মামলায় ভিকটিমের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই এবং ভিকটিমের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না (১৮ ডিএলআর ৯১)।

এছাড়া ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট না থাকায় প্রসিকিউশন কেস সন্দেহজনক হবে (বিএলডি ৩১৪); এ মামলায় ভিকটিম একাধিকবার আসামির সঙ্গে স্বেচ্ছায় ইচ্ছাকৃত অংশীদার হিসেবে যৌন সহবাস করেছে। মামলাটি বিলম্বে হয়েছে। আসামি এ পর্যায়ে অব্যাহতি পেতে হকদার (১২ এমএলআর, পৃষ্ঠা-৪০৯)।

অভিযোগকারিণীর বৈবাহিক অবস্থা এবং যৌন সম্পর্কের ইতিহাসকে তার ‘চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য’ বিবেচনায় যৌন কার্যকলাপে অভ্যস্ত, একজন হালকা নৈতিক চরিত্রের অধিকারিণী বিধায় আসামি অব্যাহতি পেতে হকদার। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরপেক্ষ কোন ব্যক্তিকে অত্র মামলায় সাক্ষী করতে পারেন নাই। অত্র মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট সাক্ষীরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় যে জবানবন্দি প্রদান করেছেন, তাতে সাক্ষীরা দরখাস্তকারী আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি।

আদালত তখন অব্যাহতি আবেদন, আইনজীবীর বাচনিক প্রকাশ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও মামলার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারার বিধান মতে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের আদেশ দেয়।

[লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট]

এইচএসসি ফল: সংখ্যার খেল না কি শিক্ষার বাস্তব চিত্র?

বিনা ভোট, নিশি ভোট, ডামি ভোটের পরে এবার নাকি গণভোট!

কমরেড ইলা মিত্রের শততম জন্মজয়ন্তী

কত মৃত্যু হলে জাগবে বিবেক?

বৈষম্যের বিবিধ মুখ

মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি আইনি সহায়তা

গাজা : এখন শান্তি রক্ষা করবে কে?

দোসর, বাই ডিফল্ট!

জমি কেনা দাগে দাগে কিন্তু ভোগদখল একদাগে

রাষ্ট্র কি শুধু শিক্ষকদের বেলায় এসে দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে?

শতরঞ্জ কি খিলাড়ী

শিক্ষক থাকে রাজপথে, আর পুলিশ ছাড়ে থানা

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা : স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবিষ্যৎ কী?

ছবি

শ্লীলতা, অশ্লীলতার রাজনৈতিক সংস্কৃতি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারী

অটোমেশন ও দেশের যুব কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ

দুর্যোগে ভয় নয়, প্রস্তুতিই শক্তি

বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন

ছবি

‘আল্লাহ তুই দেহিস’: এ কোন ঘৃণার আগুন, ছড়িয়ে গেল সবখানে!

চেকের মামলায় আসামী যেসব ডিফেন্স নিয়ে খালাস পেতে পারেন

খেলনাশিল্প: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

ছবি

প্রান্তিক মানুষের হৃদয়ে ফিরে আসা কালো মেঘ

গীর্জায় হামলার নেপথ্যে কী?

সংঘের শতবর্ষের রাজনৈতিক তাৎপর্য

দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি রাজনৈতিক-সংস্কৃতির অংশ

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

বাংলার সংস্কৃতি : উৎস, বিবর্তন ও বর্তমান সমাজ-মনন

রম্যগদ্য: শিক্ষা সহজ, বিদ্যা কঠিন

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় জনগণের ভূমিকা উপেক্ষিত

শ্রমজীবী মানুষের শোভন কর্মসংস্থান

মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বাস্তবতা

প্রবারণার আলোয় আলোকিত হোক মানবজাতি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে ওয়াশিংটনের শেষ সুযোগ?

পাহাড় থেকে সমতল: আদিবাসী নারীর নিরাপত্তা

সোশ্যাল মিডিয়ার ‘লাইক’ সংস্কৃতি: আসক্তি নাকি নতুন যোগাযোগ?

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

একটি মিথ্যা ধর্ষণ মামলার পরিণতি

সিরাজ প্রামাণিক

শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

জনৈকা রেখা (ছদ্মনাম) যাত্রবাড়ী থানায় হাজির হয়ে এই মর্মে এজাহার দায়ের করেন যে, চলার পথে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত তিন-চার মাস ধরে আসামি রিপন মিয়া প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরপর বিলাসী জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং পূর্বের স্বামীকে তালাক দিতে আসামি উদ্বুদ্ধ করে। একপর্যায়ে তালাক দিতে বাধ্যও করে। এরপর আসামি কাজির মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রি না করিয়ে একটি ভুয়া হলফনামার মাধ্যমে স্ত্রী বানিয়ে আসামি ভাড়া বাসায় নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এরপর বাসা থেকে বের হয়ে আসামির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।

মামলাটি হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯(১) ধারায়। এ ধারায় বলা হয়েছে- যদি কোন পুরুষ বিবাহবন্ধন ব্যতীত ষোলো বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ব্যতিরেকে বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে, অথবা ষোলো বৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে।

ধর্ষণের সংজ্ঞা দেখেই বুঝতে পারছেন, উল্লিখিত মামলার বাদী সাবালিকা, স্বেচ্ছায় ফ্ল্যাটে গেছে, কনডিশন ছিল বিয়ে করবে। এতে বড়জোর প্রতারণা হতে পারে কিন্তু এ মামলায় ধর্ষণের কোন উপাদান না থাকাটাই স্বাভাবিক। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলাটি বিচারিক আদালতে গেলে আসামিপক্ষ চার্জ গঠনের দিনে অব্যাহতি চেয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি ২৬৫(গ) ধারার বিধানমতে আবেদন দাখিল করেন। আসামির আইনজীবী অব্যাহতির আবেদনে এবং আদালতে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, মামলার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। আসামিকে অযথা হয়রানি করার মানসে অত্র মিথ্যা ঘটনার সাথে জড়িত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বর্ণিত ধারায় দরখাস্তকারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মতো কোন উপাদান অত্র মামলায় নেই। এজাহারে উল্লেখিত কথিত ঘটনার তারিখ ও সময় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।

আইন অনুযায়ী কোন পুরুষ কোন নারীর সাথে বিয়ের কথা দিয়ে কিংবা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটি লঙ্ঘন করলে সেটা হবে বিবাহ চুক্তির লঙ্ঘন, মোটেই ধর্ষণ নয়। এজাহারের বর্ণনামতে, ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনে ‘ফ্রড’ এর সংজ্ঞার সাথে ভিকটিমের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তবে মোটেই ধর্ষণের কোন উপাদান নেই। ১৬ বছরের অধিক কোনো বয়সের মেয়েকে যদি কোনো পুরুষ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌনকর্ম করে তা হলে তা ধর্ষণের নামান্তর হবে না, সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতের। (৫১ ডিএলআর, পেজ ১২৯)। যৌনকর্মের সময় যদি ভিকটিম কোনরূপ বাধা না দেয় অথবা বাধা দেওয়ার চেষ্টা না করে অথবা কোনো চিৎকার না দেয় তাহলে ধর্ষণ হয়েছে বলে মনে করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যৌনকর্মে ভিকটিমের সম্মতি আছে বলে ধরে নিতে হবে, সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতের (৫৭ ডিএলআর, পেজ ৫৯১)। এ মামলায় সমর্থনযোগ্য সাক্ষীর কোনো উপস্থিতি নেই। এ মামলায় ডিএনএ পরীক্ষায় পুরুষের বীর্যের কোন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

আরেকটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়, কোন স্ত্রীলোকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌন সংগম করা হলে, সেক্ষেত্রে উক্ত স্ত্রীলোকের দেহের বা শরীরের কোন না কোন অংশে বা জায়গায় জখম বা আঘাতের চিহ্ন থাকবে এবং এটা মেডিকেল রিপোর্ট দ্বারা সমর্থিত হবে। কারণ ধর্ষণের সময় ভিকটিম সম্ভ্রম রক্ষার জন্য একটু হলেও ধস্তাধস্তি করেন; কিন্তু ধর্ষণের এ মামলায় ভিকটিমের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই এবং ভিকটিমের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না (১৮ ডিএলআর ৯১)।

এছাড়া ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট না থাকায় প্রসিকিউশন কেস সন্দেহজনক হবে (বিএলডি ৩১৪); এ মামলায় ভিকটিম একাধিকবার আসামির সঙ্গে স্বেচ্ছায় ইচ্ছাকৃত অংশীদার হিসেবে যৌন সহবাস করেছে। মামলাটি বিলম্বে হয়েছে। আসামি এ পর্যায়ে অব্যাহতি পেতে হকদার (১২ এমএলআর, পৃষ্ঠা-৪০৯)।

অভিযোগকারিণীর বৈবাহিক অবস্থা এবং যৌন সম্পর্কের ইতিহাসকে তার ‘চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য’ বিবেচনায় যৌন কার্যকলাপে অভ্যস্ত, একজন হালকা নৈতিক চরিত্রের অধিকারিণী বিধায় আসামি অব্যাহতি পেতে হকদার। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিরপেক্ষ কোন ব্যক্তিকে অত্র মামলায় সাক্ষী করতে পারেন নাই। অত্র মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট সাক্ষীরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় যে জবানবন্দি প্রদান করেছেন, তাতে সাক্ষীরা দরখাস্তকারী আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি।

আদালত তখন অব্যাহতি আবেদন, আইনজীবীর বাচনিক প্রকাশ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও মামলার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(গ) ধারার বিধান মতে মিথ্যা ধর্ষণ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দানের আদেশ দেয়।

[লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট]

back to top