গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমনের হার ৫৫.৩৫ শতাংশ
মাদারীপুরসহ ৭ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হলেও সাধারণ মানুষ মানছে না এই লকডাউন। মাদারীপুর জেলার অধিকাংশ এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাটবাজারে মানুষের সমাগম দেখা গেছে।এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে মাদারীপুরে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণের হার ৫৫.৩৫ শতাংশ।
মাদারীপুরে জেলা ৫টি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ইজিবাইক, রিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে অন্যান্য ট্রাক চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা। মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা তিন চাকার বিভিন্ন পরিবহনের ঢাকাসহ তাদের নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে ও মালবাহী পিকাআপেও যাত্রী নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। জেলা থেকে অটো, অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলে যাত্রীরা শিবচর-বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছেন। যাত্রীদের দাবী ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ভাড়া গুণে তাদের যেতে হচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকাাগামী যাত্রী মাহবুব হোসেন বলেন, ভাই অনেক টাকা খরচ করে যাচ্ছি ঢাকা। জরুরি কাজে। সরকারের যদি লকডাউন দেওয়ার প্রয়োজনই হয়, তাহলে অফিস আদালতও বন্ধ রাখা উচিত। যাতে জরুরি কাজ যেন কারো না পড়ে। সরকার তো সেটা করে না। শুধু আমাদের ভোগান্তি বাড়ায়।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাথে মাদারীপুর জেলার কালকিনি, মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। কোটালীপাড়ার সাথে মাদারীপুর জেলার মানুষের অবাধে চলাচল এবং সম্প্রতি কোটালীপাড়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা করোনা) পাওয়া গেছে। এতে মাদারীপুরে রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। তাই ডেলটা করোনা ঝুঁকি এড়ানো ও মাদারীপুরের করেনা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরো জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছ।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় এর হার ৫৫.৩৫ শতাংশ। এদের মধ্যে রাজৈর উপজেলায় ২৪জন এবং সদর ৬ এবং শিবচরে ১জন আক্রান্ত হয়েছে। মাদারীপুর জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়ে ৩১ জনে।
গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমনের হার ৫৫.৩৫ শতাংশ
শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
মাদারীপুরসহ ৭ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হলেও সাধারণ মানুষ মানছে না এই লকডাউন। মাদারীপুর জেলার অধিকাংশ এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাটবাজারে মানুষের সমাগম দেখা গেছে।এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে মাদারীপুরে গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণের হার ৫৫.৩৫ শতাংশ।
মাদারীপুরে জেলা ৫টি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ইজিবাইক, রিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে অন্যান্য ট্রাক চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা। মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা তিন চাকার বিভিন্ন পরিবহনের ঢাকাসহ তাদের নিজ গন্তব্যে যাচ্ছে। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে ও মালবাহী পিকাআপেও যাত্রী নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। জেলা থেকে অটো, অটোভ্যান ও মোটরসাইকেলে যাত্রীরা শিবচর-বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছেন। যাত্রীদের দাবী ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ভাড়া গুণে তাদের যেতে হচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকাাগামী যাত্রী মাহবুব হোসেন বলেন, ভাই অনেক টাকা খরচ করে যাচ্ছি ঢাকা। জরুরি কাজে। সরকারের যদি লকডাউন দেওয়ার প্রয়োজনই হয়, তাহলে অফিস আদালতও বন্ধ রাখা উচিত। যাতে জরুরি কাজ যেন কারো না পড়ে। সরকার তো সেটা করে না। শুধু আমাদের ভোগান্তি বাড়ায়।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাথে মাদারীপুর জেলার কালকিনি, মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। কোটালীপাড়ার সাথে মাদারীপুর জেলার মানুষের অবাধে চলাচল এবং সম্প্রতি কোটালীপাড়ায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ডেলটা করোনা) পাওয়া গেছে। এতে মাদারীপুরে রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। তাই ডেলটা করোনা ঝুঁকি এড়ানো ও মাদারীপুরের করেনা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরো জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছ।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় এর হার ৫৫.৩৫ শতাংশ। এদের মধ্যে রাজৈর উপজেলায় ২৪জন এবং সদর ৬ এবং শিবচরে ১জন আক্রান্ত হয়েছে। মাদারীপুর জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়ে ৩১ জনে।