ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে রংপুরে পীরগঞ্জের কসবা মাঝিপাড়া গ্রামে অন্তত ৩০টি হিন্দু পরিবারের ৬০টি বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
এ সময় নগদ অর্থ, মালামাল, গরু ছাগলসহ সকল মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
এ ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের খাবার ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার জানান, ফেইসবুকে এক হিন্দু কিশোরের অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ম অবমাননা হয়েছে এরকম খবর ছড়িয়ে পড়ে।। এনিয়ে রোববার বিকেল থেকে উত্তেজনা চলছিল ওই এলাকায়।
থানা পুলিশ সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর মেয়রসহ ওই কিশোরের বাড়িতে অবস্থান নেয় বলে জানান এই পুলিশ কমর্কর্তা। তবে বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষ ঘিরে ফেলে ওই বাড়ি।
রাত ৯ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে করিমপুর-কসবা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালায়।
উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের উত্তর করিমপুরের ওই গ্রামের ৬০টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নারকীয় তান্ডব চালায় ।
তারা দুটি মন্দিরসহ আশপাশের দোকান পাটেও আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সব গুলো বাড়ি-ঘর, দোকানপাট আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত হয়।
আতংকে নারী-পুরুষ অনেকেই আশ্রয় নেন পাশের ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন জায়গায়।
পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রনে সেখানে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে । রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রনে রাতভর সেখানে ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। আটক করা হয়েছে ২০ জনকে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার রায় জানান, ‘এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পীরগঞ্জ থানার ওসি সুরেশ চন্দ্র পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে ওই কিশোরকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঘটনা স্থল থেকে আধা কিলোমিটার দুরে হিন্দু গ্রামে এক দল দুবৃর্ত্ত পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, মালামাল লুট করেছে।
‘ওই গ্রামের মানুষের এ ঘটনার সাথে কোন সংম্পৃক্তি ছিলোনা। আসলে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা ২০জনকে আটক করেছি। অভিযান অব্যাহত আছে,’ বলেন পুলিশ সুপার।
রংপুরের ডিসি আসিব আহসান বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত ঘটনা। দায়িদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল জানান, তিনি সারারাত ঘটনা স্থলে ছিলেন। তার অভিযোগ এলাকার ‘জামায়াত শিবির এবং পাশের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, সাদুল্লাপুরের জামায়াত শিবির পরিকল্পিতভাবে’ এ তান্ডব চালিয়েছে। এখানে ‘বিএনপিরও ইন্ধন আছে’ বলে মনে অভিযোগ তার।’স্থানীয় মুসলমানরা’ এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলোনা বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার কথিত অভিযোগে রংপুরে পীরগঞ্জের কসবা মাঝিপাড়া গ্রামে অন্তত ৩০টি হিন্দু পরিবারের ৬০টি বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।
এ সময় নগদ অর্থ, মালামাল, গরু ছাগলসহ সকল মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
এ ঘটনায় পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের খাবার ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার জানান, ফেইসবুকে এক হিন্দু কিশোরের অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ম অবমাননা হয়েছে এরকম খবর ছড়িয়ে পড়ে।। এনিয়ে রোববার বিকেল থেকে উত্তেজনা চলছিল ওই এলাকায়।
থানা পুলিশ সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর মেয়রসহ ওই কিশোরের বাড়িতে অবস্থান নেয় বলে জানান এই পুলিশ কমর্কর্তা। তবে বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষ ঘিরে ফেলে ওই বাড়ি।
রাত ৯ টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে করিমপুর-কসবা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে হামলা চালায়।
উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের উত্তর করিমপুরের ওই গ্রামের ৬০টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নারকীয় তান্ডব চালায় ।
তারা দুটি মন্দিরসহ আশপাশের দোকান পাটেও আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সব গুলো বাড়ি-ঘর, দোকানপাট আগুনে পুড়ে ভস্মিভুত হয়।
আতংকে নারী-পুরুষ অনেকেই আশ্রয় নেন পাশের ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন জায়গায়।
পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রনে সেখানে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে । রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রনে রাতভর সেখানে ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। আটক করা হয়েছে ২০ জনকে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার রায় জানান, ‘এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পীরগঞ্জ থানার ওসি সুরেশ চন্দ্র পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে ওই কিশোরকে গ্রেফতারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঘটনা স্থল থেকে আধা কিলোমিটার দুরে হিন্দু গ্রামে এক দল দুবৃর্ত্ত পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ও মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, মালামাল লুট করেছে।
‘ওই গ্রামের মানুষের এ ঘটনার সাথে কোন সংম্পৃক্তি ছিলোনা। আসলে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা ২০জনকে আটক করেছি। অভিযান অব্যাহত আছে,’ বলেন পুলিশ সুপার।
রংপুরের ডিসি আসিব আহসান বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত ঘটনা। দায়িদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল জানান, তিনি সারারাত ঘটনা স্থলে ছিলেন। তার অভিযোগ এলাকার ‘জামায়াত শিবির এবং পাশের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি, সাদুল্লাপুরের জামায়াত শিবির পরিকল্পিতভাবে’ এ তান্ডব চালিয়েছে। এখানে ‘বিএনপিরও ইন্ধন আছে’ বলে মনে অভিযোগ তার।’স্থানীয় মুসলমানরা’ এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলোনা বলে দাবি করেন তিনি।