সুলতানপুর হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সুলতানপুর হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২১ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অডিটে প্রমাণিত হওয়ার পরেও সে অধ্যক্ষ বহাল তবিয়তে রয়েছে। সুলতানপুর হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি সূত্র জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন এ কলেজে ২০-১২-২০০৯ সনে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন সময় অনিয়ম করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অডিট টিম গঠন করা হয়। অডিট টিম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অডিট করে কমিটির নিকট ২১ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৬ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্ট পেয়ে কমিটি তাকে শোকজ করেন।
শোকজের জবাব দেন। শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে কমিটি তাকে এই অর্থ প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপরও দীর্ঘদিন আত্মসাতকৃত টাকা জমা না দেয়ায় গভর্নিং বডির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে ২৯-১১-২০১৭ইং তারিখের সভায় ২নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বরখাস্ত করেন। এ বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন গভর্নিং বডির নিকট পুনর্বিবেচনার কোন আবেদন না করে হাইকোর্ট রিট করেন। (রিট পিটিশান নং ১৩৬১৯/২০১৭, তারিখ ১০-৩-২০১৭)। হাইকোর্টে রিট শুনানির পর হাইকোর্ট ব্যাপারটি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড এর আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটিতে প্রেরণ করেন। বোর্ডের আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির ২১-১-২০২১ তারিখের সভায় হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেনের বরখাস্তের ব্যাপারে গভর্ণিং বডি ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোন কারন দর্শানো নোটিশ ব্যাতিরেকে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন।
কিন্তু সরকারের আইন মোতাবেক তিনি তখন গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন না। তাই গভর্নিং বডির এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর পরিপন্থী এবং গভর্নিং বডিকে তাকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন। কিন্তু গভর্নিং বডি তাকে পুনর্বাহলের পূর্বেই সে কলেজের অফিস দখল করে বসে থাকেন এবং প্রতিদিন সকাল ৮টায় কলেজে এসে ৯টায় কলেজ ত্যাগ করেন। এ দিকে কলেজের টাকা ফেরত দেয়ার দাবীতে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা কলেজে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ করে আসছেন এবং এ ব্যাপারে কলেজ আঙ্গিনাসহ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: জসিম উদ্দিন জানান, গভর্নিং বডি তাঁকে কলেজের আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিতে বলেছেন। তিনি তা ফেরত দেননি। গভর্নিং বডি তাকে পুনর্বহাল করবে কিনা তা তিনি জানে না।
সুলতানপুর হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সুলতানপুর হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২১ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অডিটে প্রমাণিত হওয়ার পরেও সে অধ্যক্ষ বহাল তবিয়তে রয়েছে। সুলতানপুর হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি সূত্র জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন এ কলেজে ২০-১২-২০০৯ সনে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন সময় অনিয়ম করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অডিট টিম গঠন করা হয়। অডিট টিম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অডিট করে কমিটির নিকট ২১ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৬ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্ট পেয়ে কমিটি তাকে শোকজ করেন।
শোকজের জবাব দেন। শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে কমিটি তাকে এই অর্থ প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপরও দীর্ঘদিন আত্মসাতকৃত টাকা জমা না দেয়ায় গভর্নিং বডির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহর সভাপতিত্বে ২৯-১১-২০১৭ইং তারিখের সভায় ২নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বরখাস্ত করেন। এ বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন গভর্নিং বডির নিকট পুনর্বিবেচনার কোন আবেদন না করে হাইকোর্ট রিট করেন। (রিট পিটিশান নং ১৩৬১৯/২০১৭, তারিখ ১০-৩-২০১৭)। হাইকোর্টে রিট শুনানির পর হাইকোর্ট ব্যাপারটি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড এর আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটিতে প্রেরণ করেন। বোর্ডের আপীল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির ২১-১-২০২১ তারিখের সভায় হানিফ ভূঁঞা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেনের বরখাস্তের ব্যাপারে গভর্ণিং বডি ও অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোন কারন দর্শানো নোটিশ ব্যাতিরেকে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন।
কিন্তু সরকারের আইন মোতাবেক তিনি তখন গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন না। তাই গভর্নিং বডির এ সিদ্ধান্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর পরিপন্থী এবং গভর্নিং বডিকে তাকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন। কিন্তু গভর্নিং বডি তাকে পুনর্বাহলের পূর্বেই সে কলেজের অফিস দখল করে বসে থাকেন এবং প্রতিদিন সকাল ৮টায় কলেজে এসে ৯টায় কলেজ ত্যাগ করেন। এ দিকে কলেজের টাকা ফেরত দেয়ার দাবীতে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা কলেজে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ করে আসছেন এবং এ ব্যাপারে কলেজ আঙ্গিনাসহ এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: জসিম উদ্দিন জানান, গভর্নিং বডি তাঁকে কলেজের আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত দিতে বলেছেন। তিনি তা ফেরত দেননি। গভর্নিং বডি তাকে পুনর্বহাল করবে কিনা তা তিনি জানে না।