২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছিল, সেগুলোই বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এখন যে ৯ দফা তুলে ধরেছি, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে কবে? আমরা আর বিশ্বাস করি না, নিরাপদ সড়কের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। যদি মঙ্গলবারের মধ্যে সরকার ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরাই যা করার করবো। ৪র্থ দিনের মতো রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সময় মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এ কথা বলেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ধানমন্ডি-২৭ নম্বর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী। শুধু ধানমন্ডি-২৭ নম্বর নয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর ও নীলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। প্রত্যেক জায়গা থেকেই নিরাপদ সড়ক ও নটর ডেম শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
এ সময় সব ধরনের যানবাহনের কাগজ ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে শিক্ষার্থীরা। কোন গাড়ির কাগজ না থাকলে বা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে সার্জেন্ট ডেকে মামলা দেয়াতে দেখা যায়। পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ পাস নেয়া হচ্ছে কিনা তা চেক করা হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মিরপুর সড়ক অবরোধ করে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অর্ধশত শিক্ষার্থী। প্রথমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও পরে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজসহ আরও বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেয়।
এ সময় তাদের ‘হাফ পাস না নিলে, দেখি গাড়ি কেমনে চলে’, ‘আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘দাবি মোদের একটাই, নিরাপদ সড়ক চাই’- স্লোগান দিতে দেখা গেছে। শত শত শিক্ষার্থীর জোরালো কণ্ঠস্বরে মুখরিত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। এ সময় ধানমন্ডি ও আসাদগেট এলাকার বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শত শত মানুষকে। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত’ আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন আটকিয়ে কাগজপত্র যাচাই করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কোন গাড়ির ঠিকঠাক কাগজ না পেলে ‘প্রশাসন হাই হাই’, ‘এই গাড়ির লাইসেন্স নাই’ প্রভৃতি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে সার্জেন্ট ডেকে গাড়িগুলোতে মামলা দেয়াতে বাধ্য করে তারা। রোববার পুলিশ, বিচারকের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাস ও প্রাইভেটকারে কাগজপত্র না পেয়ে মামলা দেয়ায় শিক্ষার্থীরা।
এরইমধ্যে, শিক্ষার্থীরা সাভার চন্দ্রা থেকে সদরঘাট রুটে চলাচল করা ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসের চালকের লাইসেন্স দেখতে চাইলে, চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি জানান, তিনি বাসের আসল চালক নন। গাড়ির মূল চালক বাসায় গেছেন। বাসের সহকারী গাড়ি চালাচ্ছেন। চালকের আসনে থাকা ব্যক্তিটি মূল চালককে ফোন দেয়ার কথা বলে সুযোগ বুঝে সটকে পড়েন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গাড়ির ভাড়া সংগ্রহকারীকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-০৫০৬) আটকায় শিক্ষার্থীরা। প্রথমে চালক কাগজপত্র না দেয়ায়, শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়া শুরু করে। একপর্যায়ে চালক কাগজপত্র দেখালে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ছেড়ে দেয়। এ সময় হাজী সেলিম গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। কোন কাগজ না থাকায় সুপ্রিমকোর্টের এক বিচারকের গাড়ি আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। গাড়িতে থাকা চালক মো. মুকুল উকিল জানান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর উদ্দিনের গাড়ি এটি। ভুল করে গাড়ির কাগজ নিয়ে বের হতে ভুলে গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএমপির তেজগাঁও জোনের এডিসি রুবায়েত জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা শন্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নেমেছে। গত কয়েকদিনের মতোই তাদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি, আন্দোলনের ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড় অবরোধ করে হাবীবুল্লাহ্ বাহার কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা দেড়টা থেকে তারা সড়কে অবস্থান করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
রিতা নাহার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লিনারের হাতে কীভাবে গাড়ির চাবি তুলে দেয়া হয়। অথচ সেই ক্লিনারের অভিভাবক নাকি নিরাপদ সড়ক গড়বেন। এ জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সিটি কলেজের সামনের সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন। নিউমার্কেট থানার ওসি এসএম কাইয়ুম জানান, স্থানীয় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী নীলক্ষেত থেকে একটি মিছিল নিয়ে সিটি কলেজ পর্যন্ত গিয়েছে। কয়েকদিন যাবত ছাত্ররা যেসব দাবি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেছিল সেই সব দাবি নিয়ে তারা এখন সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর পরিবহন মালিকদের চাপে সরকার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ায়। এর পর থেকেই বাসে অর্ধেক ভাড়া দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বুধবার সড়কে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর সেই আন্দোলন আরও গতি পায়। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার নিহত দৈনিক সংবাদের কর্মী আহসান কবির খান মগবাজার থেকে রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ এর মোটরসাইকেলে করে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে পান্থপথ শাপলা ফার্নিচার দোকানের সামনে পৌঁছলে ডিএনসিসির একটি ময়লা বহনকারী ডাম্পিং ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকা তার বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ময়লার গাড়ির চাকা কবির খানের মাথার উপর দিয়ে উঠে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত চালককে আসামি করে তার স্ত্রী নাদিরা পারভীন কলাবাগান থানায় মামলা করেন।
রোববার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যে নয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছিল, সেগুলোই বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা এখন যে ৯ দফা তুলে ধরেছি, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে কবে? আমরা আর বিশ্বাস করি না, নিরাপদ সড়কের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। যদি মঙ্গলবারের মধ্যে সরকার ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরাই যা করার করবো। ৪র্থ দিনের মতো রোববার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সময় মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা এ কথা বলেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ধানমন্ডি-২৭ নম্বর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী। শুধু ধানমন্ডি-২৭ নম্বর নয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর ও নীলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। প্রত্যেক জায়গা থেকেই নিরাপদ সড়ক ও নটর ডেম শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হওয়ার ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
এ সময় সব ধরনের যানবাহনের কাগজ ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করে শিক্ষার্থীরা। কোন গাড়ির কাগজ না থাকলে বা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে সার্জেন্ট ডেকে মামলা দেয়াতে দেখা যায়। পাশাপাশি বেসরকারি বাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ পাস নেয়া হচ্ছে কিনা তা চেক করা হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মিরপুর সড়ক অবরোধ করে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অর্ধশত শিক্ষার্থী। প্রথমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকলেও পরে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ কলেজসহ আরও বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেয়।
এ সময় তাদের ‘হাফ পাস না নিলে, দেখি গাড়ি কেমনে চলে’, ‘আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘দাবি মোদের একটাই, নিরাপদ সড়ক চাই’- স্লোগান দিতে দেখা গেছে। শত শত শিক্ষার্থীর জোরালো কণ্ঠস্বরে মুখরিত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। এ সময় ধানমন্ডি ও আসাদগেট এলাকার বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে শত শত মানুষকে। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত’ আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন আটকিয়ে কাগজপত্র যাচাই করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। কোন গাড়ির ঠিকঠাক কাগজ না পেলে ‘প্রশাসন হাই হাই’, ‘এই গাড়ির লাইসেন্স নাই’ প্রভৃতি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে সার্জেন্ট ডেকে গাড়িগুলোতে মামলা দেয়াতে বাধ্য করে তারা। রোববার পুলিশ, বিচারকের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাস ও প্রাইভেটকারে কাগজপত্র না পেয়ে মামলা দেয়ায় শিক্ষার্থীরা।
এরইমধ্যে, শিক্ষার্থীরা সাভার চন্দ্রা থেকে সদরঘাট রুটে চলাচল করা ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসের চালকের লাইসেন্স দেখতে চাইলে, চালকের আসনে থাকা ব্যক্তি জানান, তিনি বাসের আসল চালক নন। গাড়ির মূল চালক বাসায় গেছেন। বাসের সহকারী গাড়ি চালাচ্ছেন। চালকের আসনে থাকা ব্যক্তিটি মূল চালককে ফোন দেয়ার কথা বলে সুযোগ বুঝে সটকে পড়েন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গাড়ির ভাড়া সংগ্রহকারীকে আটক করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-০৫০৬) আটকায় শিক্ষার্থীরা। প্রথমে চালক কাগজপত্র না দেয়ায়, শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়া শুরু করে। একপর্যায়ে চালক কাগজপত্র দেখালে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ছেড়ে দেয়। এ সময় হাজী সেলিম গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। কোন কাগজ না থাকায় সুপ্রিমকোর্টের এক বিচারকের গাড়ি আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। গাড়িতে থাকা চালক মো. মুকুল উকিল জানান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর উদ্দিনের গাড়ি এটি। ভুল করে গাড়ির কাগজ নিয়ে বের হতে ভুলে গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিএমপির তেজগাঁও জোনের এডিসি রুবায়েত জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা শন্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নেমেছে। গত কয়েকদিনের মতোই তাদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি, আন্দোলনের ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল ও শান্তিনগর মোড় অবরোধ করে হাবীবুল্লাহ্ বাহার কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা দেড়টা থেকে তারা সড়কে অবস্থান করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
রিতা নাহার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লিনারের হাতে কীভাবে গাড়ির চাবি তুলে দেয়া হয়। অথচ সেই ক্লিনারের অভিভাবক নাকি নিরাপদ সড়ক গড়বেন। এ জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সিটি কলেজের সামনের সড়কে গিয়ে অবস্থান নেন। নিউমার্কেট থানার ওসি এসএম কাইয়ুম জানান, স্থানীয় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী নীলক্ষেত থেকে একটি মিছিল নিয়ে সিটি কলেজ পর্যন্ত গিয়েছে। কয়েকদিন যাবত ছাত্ররা যেসব দাবি নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করেছিল সেই সব দাবি নিয়ে তারা এখন সিটি কলেজের সামনে অবস্থান নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর পরিবহন মালিকদের চাপে সরকার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ায়। এর পর থেকেই বাসে অর্ধেক ভাড়া দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বুধবার সড়কে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর সেই আন্দোলন আরও গতি পায়। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার নিহত দৈনিক সংবাদের কর্মী আহসান কবির খান মগবাজার থেকে রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ এর মোটরসাইকেলে করে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে পান্থপথ শাপলা ফার্নিচার দোকানের সামনে পৌঁছলে ডিএনসিসির একটি ময়লা বহনকারী ডাম্পিং ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকা তার বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ময়লার গাড়ির চাকা কবির খানের মাথার উপর দিয়ে উঠে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত চালককে আসামি করে তার স্ত্রী নাদিরা পারভীন কলাবাগান থানায় মামলা করেন।