এমপি স্ত্রীর কানাডায় বাড়ি কেনার খবর
দেশের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িতদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকলে রাষ্ট্র ও দুদককে সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে আবেদনকারীকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র হলফনামা আকারে রাষ্ট্র, দুদক ও আদালতে দেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে আবেদনকারীর। আবেদনকারী দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করবে। সরাসরি পক্ষ হওয়ার দরকার নেই।
নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতীর নামে কানাডায় বাড়ি কেনার খবর নিয়ে সানরাইজ সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রেজাউল চৌধুরীর করা আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশে অর্থ পাচার বিষয়ে তার কাছে ২৮টি কেস এসেছে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চারজন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ডিসেম্বর আদালত দেশের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িত ও পাচার করা অর্থে যারা বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে সময় নির্ধারণ করে দেন।
এরপর চলতি বছরের ৩১ মার্চ পুলিশের বিশেষ শাখার (অভিবাসন) পুলিশ সুপারের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টধারী ব্যক্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩১। এই মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন রেজাউল।
আবেদনকারীর আইনজীবী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার (অভিবাসন) প্রতিবেদনে যারা দেশের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সেই তালিকায় শামীমা সুলতানা জান্নাতীর নাম নেই। অথচ পত্রিকায় আসা প্রতিবেদনে দেখা যায়, জান্নাতীর নামে কানাডায় বাড়িও আছে। সম্পত্তি যে কিনেছেন, সেই দলিলের কপিও আবেদনকারীর কাছে আছে। তারা আদালতকে সহায়তা করতে চান।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যিনি পক্ষভুক্ত হতে এসেছেন, তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকলে তা আদালতে দিতে পারেন।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তদন্ত সংস্থা তদন্ত করছে, সেখানে তথ্য ও কাগজাদি দিতে পারেন। মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার দরকার নেই। এ রকম হলে অনেকেই পক্ষভুক্ত হতে আসবে, এতে জটিলতা দেখা দেবে। তালিকায় নাম বাদ পড়েছে, দ্বৈত নাগরিক হিসেব তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হবে।
এমপি স্ত্রীর কানাডায় বাড়ি কেনার খবর
রোববার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
দেশের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িতদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকলে রাষ্ট্র ও দুদককে সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে আবেদনকারীকে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র হলফনামা আকারে রাষ্ট্র, দুদক ও আদালতে দেওয়ার স্বাধীনতা থাকবে আবেদনকারীর। আবেদনকারী দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করবে। সরাসরি পক্ষ হওয়ার দরকার নেই।
নাটোর-২ আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা সুলতানা জান্নাতীর নামে কানাডায় বাড়ি কেনার খবর নিয়ে সানরাইজ সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রেজাউল চৌধুরীর করা আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশে অর্থ পাচার বিষয়ে তার কাছে ২৮টি কেস এসেছে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চারজন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ডিসেম্বর আদালত দেশের বাইরে অর্থ পাচারে জড়িত ও পাচার করা অর্থে যারা বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে সময় নির্ধারণ করে দেন।
এরপর চলতি বছরের ৩১ মার্চ পুলিশের বিশেষ শাখার (অভিবাসন) পুলিশ সুপারের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টধারী ব্যক্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩১। এই মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন রেজাউল।
আবেদনকারীর আইনজীবী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখার (অভিবাসন) প্রতিবেদনে যারা দেশের বিমানবন্দরগুলো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সেই তালিকায় শামীমা সুলতানা জান্নাতীর নাম নেই। অথচ পত্রিকায় আসা প্রতিবেদনে দেখা যায়, জান্নাতীর নামে কানাডায় বাড়িও আছে। সম্পত্তি যে কিনেছেন, সেই দলিলের কপিও আবেদনকারীর কাছে আছে। তারা আদালতকে সহায়তা করতে চান।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, যিনি পক্ষভুক্ত হতে এসেছেন, তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য থাকলে তা আদালতে দিতে পারেন।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তদন্ত সংস্থা তদন্ত করছে, সেখানে তথ্য ও কাগজাদি দিতে পারেন। মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার দরকার নেই। এ রকম হলে অনেকেই পক্ষভুক্ত হতে আসবে, এতে জটিলতা দেখা দেবে। তালিকায় নাম বাদ পড়েছে, দ্বৈত নাগরিক হিসেব তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হবে।