মুনতাকা হক
২০১০ সালে শুরু হওয়া লন্ডন বাংলা বইমেলা এ বছর এক যুগে পা রাখলো। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় লন্ডনে বাংলা বইমেলা শুরু হয়। যুক্তরাজ্যস্থ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে এবং বইমেলা কমিটির অনুরোধে প্রবাসী লেখকদের সম্মানিত করার জন্য বাংলা একাডেমি ২০১১ সালে প্রবর্তন করে বাংলা একাডেমি প্রবাসী লেখক পুরস্কার, যার নাম পরিবর্তন করে ২০১৫ সাল থেকে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার। বৈশ্বিক সংকটের কারণে ২০২০ সালে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালি। করোনা সংকটের নিরসন না হওয়ায় গতবারের মতো এবারো বর্ণাঢ্য ভার্চুয়ালি আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হলো ১২তম লন্ডন বাংলা বইমেলা। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এবারের লন্ডন বাংলা বইমেলা। দুই দিনব্যাপি ভার্চুয়ালি এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী। ২৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া লেখক-পাঠক-প্রকাশকের পারস্পরিক মতবিনিময়ের লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত লন্ডন বাংলা বইমেলার সমাপ্তি হয় ২৬ সেপ্টেম্বর। বইমেলার সমাপনী বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা বইমেলা ২০২১-এর সমন্বয়ক যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক সালেহা চৌধুরী। দুই দিনব্যাপি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
এবারের মেলায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। লন্ডন বাংলা ১২তম বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয় এগারোটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭টি প্রকাশনা সংস্থা। এ ছাড়াও বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর প্রকাশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
১২তম লন্ডন বাংলা বইমেলায় ‘কবিতা ও গানে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী, শিল্পী সাজেদ আকবর, শ্যামল চৌধুরী, কবি মিনার মনসুর, কবি শিহাব শাহরিয়ার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কবি শাম্স আল মমিন, সংযুক্ত আবর আমিরাত থেকে কবি জামাল হোসেন, ভারত থেকে বাচিক শিল্পী মধুমিতা বসু এবং যুক্তরাজ্য থেকে সঙ্গীত শিল্পী ফজলুর বারী বাবু, বাচিক শিল্পী সুমনা ভট্টাচার্য এবং তানজিনা নূর-ই-সিদ্দিকী, সাদিয়া আফরোজ চৌধুরী।
এছাড়াও মেলার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা প্রকাশনা শিল্প দেশে-বিদেশে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এবং বই মেলার ২য় দিনে Bengali heritage at home & Across the Diaspora শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এ পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দুই দিন ব্যাপী বইমেলার প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, বিশেষ অতিথি পূর্ব লন্ডনের বৃটিশ বাঙালি এম.পি আপসানা বেগম, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলর ডেপুটি স্বীকার কাউন্সিলর জেনিস রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা বইমেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ইউ কে’র সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
বই মেলায় লন্ডনে বসবাসরত শিল্পী এস. এম. আসাদুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর চিত্রকর্ম দিয়ে বইমেলায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মেলাতে ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণে শিশু কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর উপর ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিনের আকর্ষণ ছিল শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’। মেলার আয়োজকরা আগামী বছর থেকে মঞ্চে বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বইমেলা মানেই লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সম্পর্ককে দৃঢ় করা। তাদের সম্মিলিত আবেগকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসা। শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত লন্ডন বাংলা বইমেলা ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং সাহিত্যের অপার ভাণ্ডারের দুয়ার খুলে দেবে বলে এ বিশ্বাস লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের।
মুনতাকা হক
মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
২০১০ সালে শুরু হওয়া লন্ডন বাংলা বইমেলা এ বছর এক যুগে পা রাখলো। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমির সহযোগিতায় লন্ডনে বাংলা বইমেলা শুরু হয়। যুক্তরাজ্যস্থ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে এবং বইমেলা কমিটির অনুরোধে প্রবাসী লেখকদের সম্মানিত করার জন্য বাংলা একাডেমি ২০১১ সালে প্রবর্তন করে বাংলা একাডেমি প্রবাসী লেখক পুরস্কার, যার নাম পরিবর্তন করে ২০১৫ সাল থেকে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার। বৈশ্বিক সংকটের কারণে ২০২০ সালে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালি। করোনা সংকটের নিরসন না হওয়ায় গতবারের মতো এবারো বর্ণাঢ্য ভার্চুয়ালি আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হলো ১২তম লন্ডন বাংলা বইমেলা। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এবারের লন্ডন বাংলা বইমেলা। দুই দিনব্যাপি ভার্চুয়ালি এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী। ২৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া লেখক-পাঠক-প্রকাশকের পারস্পরিক মতবিনিময়ের লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত লন্ডন বাংলা বইমেলার সমাপ্তি হয় ২৬ সেপ্টেম্বর। বইমেলার সমাপনী বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা বইমেলা ২০২১-এর সমন্বয়ক যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক সালেহা চৌধুরী। দুই দিনব্যাপি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
এবারের মেলায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। লন্ডন বাংলা ১২তম বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেয় এগারোটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭টি প্রকাশনা সংস্থা। এ ছাড়াও বাংলাদেশ হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর প্রকাশনা নিয়ে অংশগ্রহণ করে।
১২তম লন্ডন বাংলা বইমেলায় ‘কবিতা ও গানে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি কামাল চৌধুরী, শিল্পী সাজেদ আকবর, শ্যামল চৌধুরী, কবি মিনার মনসুর, কবি শিহাব শাহরিয়ার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কবি শাম্স আল মমিন, সংযুক্ত আবর আমিরাত থেকে কবি জামাল হোসেন, ভারত থেকে বাচিক শিল্পী মধুমিতা বসু এবং যুক্তরাজ্য থেকে সঙ্গীত শিল্পী ফজলুর বারী বাবু, বাচিক শিল্পী সুমনা ভট্টাচার্য এবং তানজিনা নূর-ই-সিদ্দিকী, সাদিয়া আফরোজ চৌধুরী।
এছাড়াও মেলার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলা প্রকাশনা শিল্প দেশে-বিদেশে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এবং বই মেলার ২য় দিনে Bengali heritage at home & Across the Diaspora শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এ পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দুই দিন ব্যাপী বইমেলার প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, বিশেষ অতিথি পূর্ব লন্ডনের বৃটিশ বাঙালি এম.পি আপসানা বেগম, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলর ডেপুটি স্বীকার কাউন্সিলর জেনিস রহমান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা বইমেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ইউ কে’র সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
বই মেলায় লন্ডনে বসবাসরত শিল্পী এস. এম. আসাদুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর চিত্রকর্ম দিয়ে বইমেলায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মেলাতে ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অংশগ্রহণে শিশু কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর উপর ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিনের আকর্ষণ ছিল শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’। মেলার আয়োজকরা আগামী বছর থেকে মঞ্চে বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বইমেলা মানেই লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সম্পর্ককে দৃঢ় করা। তাদের সম্মিলিত আবেগকে পরস্পরের কাছে নিয়ে আসা। শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত লন্ডন বাংলা বইমেলা ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং সাহিত্যের অপার ভাণ্ডারের দুয়ার খুলে দেবে বলে এ বিশ্বাস লেখক-পাঠক-প্রকাশকদের।