মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশু, কিশোর এবং যুবকদের মধ্যে অনলাইন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ভার্চুয়াল গেমের প্রতি আসক্তি লক্ষণীয়। প্রত্যেকটা বিষয়ের ভালো-মন্দ দিক রয়েছে। কোন বিষয় আসক্তির পর্যায়ে গেলে সেটি অবশ্যই সামগ্রিকভাবে ক্ষতিকর। আমাদের দেশে ভার্চুয়াল গেমের প্রতি আসক্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাত্যহিক অন্যান্য কাজে মনোযোগ হারাচ্ছে। ফলে তারা শিক্ষাগত বা ক্যারিয়ারের সুযোগ-সুবিধা এবং কো কারিকুলাম একটিভিটিতে পিছেয়ে পড়ছে।
গেমিং আসক্তির কারণে শিশু, কিশোররা অনিদ্রা, হতাশা, আগ্রাসন এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ার মতো মানসিক জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক সময় ভিডিও গেমে দেখানো চরম সহিংসতা, নৃসংসতার বিষয়গুলো কিছু উৎসুক তরুণকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ফলে প্রতিনিয়ত অনেক হৃদয় বিদারক ও করুণ ঘটনার অবতারণা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। অনেক শিশু, কিশোর আত্মহত্যার পর্যন্ত করছে গেম খেলতে না পারার কারণে।
শিশু কিশোরদের গেমিং আসক্তি এবং নৈতিক অবক্ষয়ের পেছনে কারণ কী? অবশ্যই কোন শিশু জহন্মগতভাবে কোন কিছুর প্রতি আসক্তি নিয়ে আসে না। তাদের আশেপাশের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আসক্ত হয়। তাই ভার্চুয়াল গেম তথা, ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক গেমগুলোর পরিধি সংকুচিত করা এখন সময়ের দাবি।
সচরাচর বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গেম বন্ধ করে ক্ষান্ত হতে চায়। তাদের ধারণা দুই একটি গেম বন্ধ করলেই হয়তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমার দৃষ্টিতে তাদের এই ধররে মানসিকতা আরও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করবে। কারণ শিশু কিশোরদের জন্য বিকল্প সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ গেম বন্ধ করে দিলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আরও চাপ পড়বে। তাই শিশুদের সুস্থ বিনোদোনের ব্যবস্থা জন্য পর্যাপ্ত ও উন্মুক্ত খেলার মাঠের ব্যবস্থা তরা হোক।
আসাদুজ্জামান বুলবুল
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১
বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশু, কিশোর এবং যুবকদের মধ্যে অনলাইন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ভার্চুয়াল গেমের প্রতি আসক্তি লক্ষণীয়। প্রত্যেকটা বিষয়ের ভালো-মন্দ দিক রয়েছে। কোন বিষয় আসক্তির পর্যায়ে গেলে সেটি অবশ্যই সামগ্রিকভাবে ক্ষতিকর। আমাদের দেশে ভার্চুয়াল গেমের প্রতি আসক্তি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাত্যহিক অন্যান্য কাজে মনোযোগ হারাচ্ছে। ফলে তারা শিক্ষাগত বা ক্যারিয়ারের সুযোগ-সুবিধা এবং কো কারিকুলাম একটিভিটিতে পিছেয়ে পড়ছে।
গেমিং আসক্তির কারণে শিশু, কিশোররা অনিদ্রা, হতাশা, আগ্রাসন এবং উদ্বেগের সৃষ্টি হওয়ার মতো মানসিক জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক সময় ভিডিও গেমে দেখানো চরম সহিংসতা, নৃসংসতার বিষয়গুলো কিছু উৎসুক তরুণকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
ফলে প্রতিনিয়ত অনেক হৃদয় বিদারক ও করুণ ঘটনার অবতারণা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। অনেক শিশু, কিশোর আত্মহত্যার পর্যন্ত করছে গেম খেলতে না পারার কারণে।
শিশু কিশোরদের গেমিং আসক্তি এবং নৈতিক অবক্ষয়ের পেছনে কারণ কী? অবশ্যই কোন শিশু জহন্মগতভাবে কোন কিছুর প্রতি আসক্তি নিয়ে আসে না। তাদের আশেপাশের ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি আসক্ত হয়। তাই ভার্চুয়াল গেম তথা, ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক গেমগুলোর পরিধি সংকুচিত করা এখন সময়ের দাবি।
সচরাচর বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গেম বন্ধ করে ক্ষান্ত হতে চায়। তাদের ধারণা দুই একটি গেম বন্ধ করলেই হয়তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমার দৃষ্টিতে তাদের এই ধররে মানসিকতা আরও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করবে। কারণ শিশু কিশোরদের জন্য বিকল্প সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ গেম বন্ধ করে দিলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আরও চাপ পড়বে। তাই শিশুদের সুস্থ বিনোদোনের ব্যবস্থা জন্য পর্যাপ্ত ও উন্মুক্ত খেলার মাঠের ব্যবস্থা তরা হোক।
আসাদুজ্জামান বুলবুল
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়