মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
হেমন্তের শেষে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটেছে। শীত প্রকৃতিতে নিয়ে আসে রিক্ততা। চারদিকে গাছপালা হয়ে উঠে ফুল ও পাতাহীন। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিলগুলোতে পানি শুকাতে শুরু হয়। ঠিক তখনই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে অতিথি পাখিরা। এসব পাখিদের আগমন ঘটে সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, এন্টার্কটিকাসহ উওর মেরুর বিভিন্ন দেশ থেকে। যখন এসবাই দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসে তখন দেশগুলোতে খাদ্যভাব দেখা দেয়।
শীতের তীব্রতায় পাখির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। প্রচন্ড শীতে পাখির দেহ থেকে পালক খসে পড়ে। তাই এসব পাখিরা খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কম শীত ও অনুকূল পরিবেশের দেশে অতিথি হয়ে আসে। আর বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশ হওয়ায় প্রতিবছর সাদরে গ্রহণ করে নেয় এসব পাখি। রাজহাঁস, গিরিয়া হাঁস, বালিহাঁস, গ্রাসওয়ার, ভোলাপাখি, বারহেড, খয়রা, খঞ্জনা, জলপিপি, লালশির, নীলশির, বড় সারস পাখি, ছোট সারস পাখিসহ বহু প্রজাতির পাখিদের আগমন ঘটে।
দেশর নানা প্রান্তে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পাখির কিচিরমিচিরে মুখর হয়ে উঠে বাংলার প্রকৃতি। এছাড়া এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও একশ্রেণির অসাধু, লোভী ও বিবেকবর্জিত লোকেরা অতিথি পাখি শিকারের আনন্দে মেতে উঠে। তারা বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করেন পাখি শিকারের জন্য। কেউ কেউ নিজেদের খাওয়ার জন্য আবার কেউ কেউ বিক্রির জন্য এসব পাখি শিকার করে থাকেন। সূদুর মেরু অঞ্চল থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য উড়ে আসে এসব পাখি অথচ সেই পাখিদেরকেই শিকারীদের সামান্য স্বার্থের কাছে জীবন বিসর্জন দিতে হচ্ছে। প্রতিবছরই এভাবেই শিকারীদের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার পাখি প্রাণ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই এসব পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এভাবে যদি ভবিষ্যতেও পাখি নিধন চলতে থাকে তাহলে অচিরেই প্রকৃতি তার সৌন্দর্য হারাবে এবং বহু প্রজাতির পাখিরও বিলুপ্তি ঘটবে। আমাদের উচিত নিজেদের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে শীতের প্রকোপ কমলে এসব অতিথি পাখিদের পুনরায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া। তাদের আশ্রয়কালীন সময়টুকুতে তাদের জন্য খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের উচিত শিকারিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। পাখি নিধনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করি।
খাদিজা আক্তার
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
হেমন্তের শেষে উত্তরের ঠান্ডা হাওয়া বইতে শুরু করলেই বোঝা যায় প্রকৃতিতে শীতের আগমন ঘটেছে। শীত প্রকৃতিতে নিয়ে আসে রিক্ততা। চারদিকে গাছপালা হয়ে উঠে ফুল ও পাতাহীন। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিলগুলোতে পানি শুকাতে শুরু হয়। ঠিক তখনই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে অতিথি পাখিরা। এসব পাখিদের আগমন ঘটে সাইবেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, এন্টার্কটিকাসহ উওর মেরুর বিভিন্ন দেশ থেকে। যখন এসবাই দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং তাপমাত্রা মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসে তখন দেশগুলোতে খাদ্যভাব দেখা দেয়।
শীতের তীব্রতায় পাখির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়। প্রচন্ড শীতে পাখির দেহ থেকে পালক খসে পড়ে। তাই এসব পাখিরা খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কম শীত ও অনুকূল পরিবেশের দেশে অতিথি হয়ে আসে। আর বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশ হওয়ায় প্রতিবছর সাদরে গ্রহণ করে নেয় এসব পাখি। রাজহাঁস, গিরিয়া হাঁস, বালিহাঁস, গ্রাসওয়ার, ভোলাপাখি, বারহেড, খয়রা, খঞ্জনা, জলপিপি, লালশির, নীলশির, বড় সারস পাখি, ছোট সারস পাখিসহ বহু প্রজাতির পাখিদের আগমন ঘটে।
দেশর নানা প্রান্তে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। পাখির কিচিরমিচিরে মুখর হয়ে উঠে বাংলার প্রকৃতি। এছাড়া এসব পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবুও একশ্রেণির অসাধু, লোভী ও বিবেকবর্জিত লোকেরা অতিথি পাখি শিকারের আনন্দে মেতে উঠে। তারা বিভিন্ন ফাঁদ তৈরি করেন পাখি শিকারের জন্য। কেউ কেউ নিজেদের খাওয়ার জন্য আবার কেউ কেউ বিক্রির জন্য এসব পাখি শিকার করে থাকেন। সূদুর মেরু অঞ্চল থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য উড়ে আসে এসব পাখি অথচ সেই পাখিদেরকেই শিকারীদের সামান্য স্বার্থের কাছে জীবন বিসর্জন দিতে হচ্ছে। প্রতিবছরই এভাবেই শিকারীদের ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার পাখি প্রাণ হারাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়তই এসব পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এভাবে যদি ভবিষ্যতেও পাখি নিধন চলতে থাকে তাহলে অচিরেই প্রকৃতি তার সৌন্দর্য হারাবে এবং বহু প্রজাতির পাখিরও বিলুপ্তি ঘটবে। আমাদের উচিত নিজেদের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে শীতের প্রকোপ কমলে এসব অতিথি পাখিদের পুনরায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া। তাদের আশ্রয়কালীন সময়টুকুতে তাদের জন্য খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। প্রশাসনের উচিত শিকারিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। পাখি নিধনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এ বিষয়ে প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করি।
খাদিজা আক্তার