সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদরের বুক ছিঁড়ে বয়ে যাওয়া শয়তানখালী খালের ওপর নান্দনিক সেতুসহ ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় লক্ষাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এতে এলাকাবাসীসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধনের হুশিয়ারি দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি নান্দনিক সেতু শয়তানখালী খালের ওপর নির্মাণ, থানার সামনে একটি কালভার্টসহ ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণের জন্য ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই বছরের ২৬ মার্চ কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। এবং একই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু ও শেষ না করতে পারার উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ চরম আঁকার ধারণ করে। ঠিকাদারের গাফিলতি, কাজে ধীর ও অনিয়মের অভিযোগ এনে গেল বছরের ২ অক্টোবর মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণ।
ধর্মপাশা বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, শয়তানখালী সেতুটি যথা সময়ে নির্মাণ না দুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, বাজারের মাঝখানে শয়তানখালী খালের ওপর সেতুটি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে এলাকার মানুষদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ না করা হলে মানববন্ধন করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবুল মহসীন মো. মাহবুবের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকাদারের নিযুক্ত ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেতুটি হাতিরঝিলের আদলে তৈরি হচ্ছে। শুরুর দিকে নির্মাণ শ্রমিক (মিস্ত্রি) না পাওয়ায় কাজটি পিছিয়েছে।আগামী দু’এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির ফলে নির্মাণ কাজ অনেকটা পিছিয়েছে। ঠিকাদারকে সতর্ক করে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে কার্যাদেশ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা সদরের বুক ছিঁড়ে বয়ে যাওয়া শয়তানখালী খালের ওপর নান্দনিক সেতুসহ ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় লক্ষাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এতে এলাকাবাসীসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধনের হুশিয়ারি দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি নান্দনিক সেতু শয়তানখালী খালের ওপর নির্মাণ, থানার সামনে একটি কালভার্টসহ ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণের জন্য ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই বছরের ২৬ মার্চ কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। এবং একই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু ও শেষ না করতে পারার উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ চরম আঁকার ধারণ করে। ঠিকাদারের গাফিলতি, কাজে ধীর ও অনিয়মের অভিযোগ এনে গেল বছরের ২ অক্টোবর মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণ।
ধর্মপাশা বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, শয়তানখালী সেতুটি যথা সময়ে নির্মাণ না দুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাজারের আরেক ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, বাজারের মাঝখানে শয়তানখালী খালের ওপর সেতুটি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে এলাকার মানুষদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ না করা হলে মানববন্ধন করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবুল মহসীন মো. মাহবুবের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকাদারের নিযুক্ত ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেতুটি হাতিরঝিলের আদলে তৈরি হচ্ছে। শুরুর দিকে নির্মাণ শ্রমিক (মিস্ত্রি) না পাওয়ায় কাজটি পিছিয়েছে।আগামী দু’এক মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন সংবাদকে বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির ফলে নির্মাণ কাজ অনেকটা পিছিয়েছে। ঠিকাদারকে সতর্ক করে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে কার্যাদেশ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।