কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া গ্রামের আমেনা নামের এক প্রসূতির সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে অসাবধানতা বশত অতিরিক্ত টানা হেঁচড়ার কারণে নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা সদরের জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। আমেনা চৌরাপাড়া গ্রামের সোহেলের স্ত্রী।
সোহেলের ভাই হুমায়ুন জানান, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমেনার প্রসব বেদনা শুরু হলে পার্শ্ববর্তী দরদরিয়া গ্রামে ‘সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে’ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দিলে তারা রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা সদরের জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নরমাল প্রসবের চেষ্টা করা হয়। পরে সকালে একজন গাইনি ডাক্তার আসলেও তিনি সিজার করা যাবে না বলে চলে যান। পরে কর্তব্যরত নার্সরা অনেক টানা হেঁচড়া করে সন্তান প্রসব করালে তার গলা ও নাক মুখে মারাত্মক জখম হয়। নবজাতকটি প্রথমে কান্নাকাটি করলেও তার অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটি অনেক আগেই মারা গেছে বলে তাদের জানান। পরে তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিএমপি সদর থানাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন বাবুল জানান, ওই রোগীকে খুবই খারাপ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। শিশুটির মাথা জরায়ুর মুখ দিয়ে বের হয়ে আসায় অভিজ্ঞ নার্স ও কর্তব্যরত ডাক্তার দিয়ে তার নরমাল প্রসব করানো হয়। পরে শিশুটির শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গাজীপুরে রেফার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোন অভিযোগ পাননি। তার কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের চৌরাপাড়া গ্রামের আমেনা নামের এক প্রসূতির সন্তান প্রসব করাতে গিয়ে অসাবধানতা বশত অতিরিক্ত টানা হেঁচড়ার কারণে নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা সদরের জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। আমেনা চৌরাপাড়া গ্রামের সোহেলের স্ত্রী।
সোহেলের ভাই হুমায়ুন জানান, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমেনার প্রসব বেদনা শুরু হলে পার্শ্ববর্তী দরদরিয়া গ্রামে ‘সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে’ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দিলে তারা রাত সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা সদরের জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নরমাল প্রসবের চেষ্টা করা হয়। পরে সকালে একজন গাইনি ডাক্তার আসলেও তিনি সিজার করা যাবে না বলে চলে যান। পরে কর্তব্যরত নার্সরা অনেক টানা হেঁচড়া করে সন্তান প্রসব করালে তার গলা ও নাক মুখে মারাত্মক জখম হয়। নবজাতকটি প্রথমে কান্নাকাটি করলেও তার অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটি অনেক আগেই মারা গেছে বলে তাদের জানান। পরে তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিএমপি সদর থানাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে জোবায়দা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন বাবুল জানান, ওই রোগীকে খুবই খারাপ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। শিশুটির মাথা জরায়ুর মুখ দিয়ে বের হয়ে আসায় অভিজ্ঞ নার্স ও কর্তব্যরত ডাক্তার দিয়ে তার নরমাল প্রসব করানো হয়। পরে শিশুটির শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গাজীপুরে রেফার করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো কোন অভিযোগ পাননি। তার কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।