পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শরীয়তপুর-ঢাকা পথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) বাস চলাচলে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন শরীয়তপুরের বাসমালিকেরা। এ শর্ত অনুযায়ী, বিআরটিসির বাস জেলা সদরের কোনো যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। আর এ পথে সর্বোচ্চ ছয়টি বাস চালাতে পারবে বিআরটিসি।
গতকাল সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। যদিও বেসরকারি মালিকানাধীন যে দুটি কোম্পানির বাস এখন শরীয়তপুর থেকে যাত্রী পরিবহন করছে, তাদের সড়কে চলাচলের কোনো অনুমতি বা রুট পারমিট নেই।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পরের দিন থেকেই শরীয়তপুর-ঢাকা বাস চলাচল করেছে। দীর্ঘ ১৮ বছর পর এ পথে বাস চলাচল করায় যাত্রীরা স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। ওই দিন তারা বিআরটিসির নয়টি বাস পৌর টার্মিনালে আটকে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবহন মালিকেরা বলছেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ ব্যবহার করে শরীয়তপুর-ঢাকা পথে বাস চলাচল করত। ফেরির বিড়ম্বনার কারণে ২০০৪ সালে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পদ্মা সেতু ২৫ জুন চালু হবে—এমন ঘোষণার পর পরিবহন ব্যবসায়ীরা অন্তত ২৫০টি নতুন বাস প্রস্তুত করেন। গত রোববার থেকে শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের মালিকানাধীন শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস ও পদ্মা ট্রাভেলস কোম্পানির পদ্মা শরীয়তপুর পরিবহনের ৩০টি বাস চলাচল শুরু করে। কিন্তু এই দুই বাস কোম্পানির ঢাকা-শরীয়তপুর পথে বাস চালানোর পারমিট নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিআরটিসির ১০টি বাস ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুর আসে। শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাসগুলো পৌরবাস টার্মিনালে আটকে দেন। এ কারণে দুই দিন যাবৎ ওই বাসগুলো সড়কে চলছে না।
বিআরটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শুকদেব ঢালীবলেন, শরীয়তপুরের চারটি উপজেলার যাত্রী পরিবহনে বিআরটিসির বাসগুলোর রুট পারমিট করা হয়েছে। রোববার সকালে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে ঢাকা-শরীয়তপুর পথে ১০টি বাস চালানো শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসমালিক গ্রুপ অযৌক্তিকভাবে সেই বাসগুলো আটকে দেয়। পরে বিষয়টি বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসককে জানান। এরপর জেলা প্রশাসক সব পক্ষকে নিয়ে সভা করেছেন। সেখানে শর্ত দেওয়া হয়েছে বিআরটিসির বাস চালানো যাবে ছয়টি। আর তাতে জেলা সদরের যাত্রী ওঠানো যাবে না। তাঁরা এই শর্ত মেনে নিয়েছেন।
শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের ১৮টি বাস ঢাকা-শরীয়তপুর পথে চলছে। ওই বাসগুলোর রুট পারমিট ও তাদের কোম্পানির কোনো অনুমোদন নেই।
এ বিষয়ে মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, তাঁদের সব কটি গাড়ি নতুন। এর সব কাগজপত্র হাতে পাননি। তাই রুট পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেননি। যাত্রীদের চাপে এ অবস্থায় বাস চালাতে হচ্ছে। ঢাকায় গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানাও গুনতে হচ্ছে।
বিআরটিসি ও অন্যান্য বাস চলাচলে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাসমালিকেরা লোকসান দিয়ে পরিবহন খাত টিকিয়ে রেখেছে। এখন সুসময় এসেছে। তাই অন্য বাস কোম্পানিকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস চালাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে শরীয়তপুর-ঢাকা পথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) বাস চলাচলে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন শরীয়তপুরের বাসমালিকেরা। এ শর্ত অনুযায়ী, বিআরটিসির বাস জেলা সদরের কোনো যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। আর এ পথে সর্বোচ্চ ছয়টি বাস চালাতে পারবে বিআরটিসি।
গতকাল সোমবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। যদিও বেসরকারি মালিকানাধীন যে দুটি কোম্পানির বাস এখন শরীয়তপুর থেকে যাত্রী পরিবহন করছে, তাদের সড়কে চলাচলের কোনো অনুমতি বা রুট পারমিট নেই।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করার পরের দিন থেকেই শরীয়তপুর-ঢাকা বাস চলাচল করেছে। দীর্ঘ ১৮ বছর পর এ পথে বাস চলাচল করায় যাত্রীরা স্বস্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে বিআরটিসি বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। ওই দিন তারা বিআরটিসির নয়টি বাস পৌর টার্মিনালে আটকে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবহন মালিকেরা বলছেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ ব্যবহার করে শরীয়তপুর-ঢাকা পথে বাস চলাচল করত। ফেরির বিড়ম্বনার কারণে ২০০৪ সালে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পদ্মা সেতু ২৫ জুন চালু হবে—এমন ঘোষণার পর পরিবহন ব্যবসায়ীরা অন্তত ২৫০টি নতুন বাস প্রস্তুত করেন। গত রোববার থেকে শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের মালিকানাধীন শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস ও পদ্মা ট্রাভেলস কোম্পানির পদ্মা শরীয়তপুর পরিবহনের ৩০টি বাস চলাচল শুরু করে। কিন্তু এই দুই বাস কোম্পানির ঢাকা-শরীয়তপুর পথে বাস চালানোর পারমিট নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিআরটিসির ১০টি বাস ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুর আসে। শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাসগুলো পৌরবাস টার্মিনালে আটকে দেন। এ কারণে দুই দিন যাবৎ ওই বাসগুলো সড়কে চলছে না।
বিআরটিসির উপমহাব্যবস্থাপক শুকদেব ঢালীবলেন, শরীয়তপুরের চারটি উপজেলার যাত্রী পরিবহনে বিআরটিসির বাসগুলোর রুট পারমিট করা হয়েছে। রোববার সকালে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে ঢাকা-শরীয়তপুর পথে ১০টি বাস চালানো শুরু হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসমালিক গ্রুপ অযৌক্তিকভাবে সেই বাসগুলো আটকে দেয়। পরে বিষয়টি বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শরীয়তপুর জেলা প্রশাসককে জানান। এরপর জেলা প্রশাসক সব পক্ষকে নিয়ে সভা করেছেন। সেখানে শর্ত দেওয়া হয়েছে বিআরটিসির বাস চালানো যাবে ছয়টি। আর তাতে জেলা সদরের যাত্রী ওঠানো যাবে না। তাঁরা এই শর্ত মেনে নিয়েছেন।
শরীয়তপুর আন্তজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের ১৮টি বাস ঢাকা-শরীয়তপুর পথে চলছে। ওই বাসগুলোর রুট পারমিট ও তাদের কোম্পানির কোনো অনুমোদন নেই।
এ বিষয়ে মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদার বলেন, তাঁদের সব কটি গাড়ি নতুন। এর সব কাগজপত্র হাতে পাননি। তাই রুট পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেননি। যাত্রীদের চাপে এ অবস্থায় বাস চালাতে হচ্ছে। ঢাকায় গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানাও গুনতে হচ্ছে।
বিআরটিসি ও অন্যান্য বাস চলাচলে বাধা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাসমালিকেরা লোকসান দিয়ে পরিবহন খাত টিকিয়ে রেখেছে। এখন সুসময় এসেছে। তাই অন্য বাস কোম্পানিকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস চালাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’