কিশোরগঞ্জে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে মানুষ দিশেহারা। শাকসবজি, মাছ-মাংস আর ডিম থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামে তো উত্তাপ আছেই। মুরগির ডিমের দাম ৩০ টাকা থেকে এ লাফে উঠে গিয়েছিল ৪০ টাকা হালিতে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর উঠে গেল এক লাফে ৫০ টাকা হালিতে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা ডিম খাওয়া ছেড়েছেন ৪০ টাকা হালি হওয়ার পর থেকেই। আর এখন মধ্যম আয়ের মানুষেরা গোটা ডিমের জায়গায় খাচ্ছেন অর্ধেক। ফলে ডিমের বিক্রিও নেমে এসেছে অর্ধেকে।
শহরের অন্যতম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নিয়ামত স্টোরের মালিক মো. শাহীন জানালেন, ডিমের দাম ৫০ টাকা হালি হওয়ার পর অনেকেই তাকে বলেছেন যে, তারা এখন আস্ত ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। একটি ডিম অর্ধেক করে দু’জনে খাচ্ছেন। যার ফলে তার দোকানে ডিম বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বুধবার থেকে হালিতে ২ টাকা কমে ৪৮ টাকা হালি হয়েছে। প্রতিটি দোকানের চিত্রই অনুরূপ।
কাঁচা বাজারে গিয়েও দেখা গেছে প্রতিটি শাকসবজির দামই অন্তত ৫০ ভাগ বেড়েছে। কিছুদিন আগেও বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সও ৪০ টাক থেকে ৬০ টাকায় উঠেছে। করলা ৭০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকায় উঠেছে। ভোক্তারা প্রশ্ন করছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি হাটি ডিমে পরিবহন খরচ কি ১০ টাকা বেড়ে গেল! এক কেজি সবজির পরিবহন খরচ কি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে গেল! এখন কিছু সরকারী চাকুরিজীবীও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখছেন, এভাবে চলতে থাকলে তারও বা কি করে চলবেন! ভোক্তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট ২০২২
কিশোরগঞ্জে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে মানুষ দিশেহারা। শাকসবজি, মাছ-মাংস আর ডিম থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি খাদ্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামে তো উত্তাপ আছেই। মুরগির ডিমের দাম ৩০ টাকা থেকে এ লাফে উঠে গিয়েছিল ৪০ টাকা হালিতে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর উঠে গেল এক লাফে ৫০ টাকা হালিতে। নিম্ন আয়ের মানুষেরা ডিম খাওয়া ছেড়েছেন ৪০ টাকা হালি হওয়ার পর থেকেই। আর এখন মধ্যম আয়ের মানুষেরা গোটা ডিমের জায়গায় খাচ্ছেন অর্ধেক। ফলে ডিমের বিক্রিও নেমে এসেছে অর্ধেকে।
শহরের অন্যতম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর নিয়ামত স্টোরের মালিক মো. শাহীন জানালেন, ডিমের দাম ৫০ টাকা হালি হওয়ার পর অনেকেই তাকে বলেছেন যে, তারা এখন আস্ত ডিম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। একটি ডিম অর্ধেক করে দু’জনে খাচ্ছেন। যার ফলে তার দোকানে ডিম বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বুধবার থেকে হালিতে ২ টাকা কমে ৪৮ টাকা হালি হয়েছে। প্রতিটি দোকানের চিত্রই অনুরূপ।
কাঁচা বাজারে গিয়েও দেখা গেছে প্রতিটি শাকসবজির দামই অন্তত ৫০ ভাগ বেড়েছে। কিছুদিন আগেও বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সও ৪০ টাক থেকে ৬০ টাকায় উঠেছে। করলা ৭০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকায় উঠেছে। ভোক্তারা প্রশ্ন করছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে প্রতি হাটি ডিমে পরিবহন খরচ কি ১০ টাকা বেড়ে গেল! এক কেজি সবজির পরিবহন খরচ কি ২০ টাকা ৩০ টাকা বেড়ে গেল! এখন কিছু সরকারী চাকুরিজীবীও দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখছেন, এভাবে চলতে থাকলে তারও বা কি করে চলবেন! ভোক্তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।