জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ‘সব পর্যায়ে’ কমিয়ে ৯ শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুল্ক ছাড় কমানোর দিকেও ইঙ্গিত দেন। রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে শুল্ক ছাড়ের পরিধি কমানো ছাড়া বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূসক আরোপ করা হয়। এ সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূসক হার ৯ শতাংশে আনার পরিকল্পনা করা হবে। হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।”
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের শর্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এনবিআর। এনবিআর শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানালে আইএমএফ তা ০.৪ শতাংশে নামিয়ে আনে, তবে পূর্ববর্তী ঘাটতি পূরণে বাড়তি ০.২ শতাংশ যোগ করেছে।
শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, “শুল্ক ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বৈষম্য দূর করতে শিগগিরই কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি পণ্যের শুল্কছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, শুল্কছাড়ের কারণে চিনি, ভোজ্যতেল, আলু ও ডিমের মতো পণ্যে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এ বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.০৩ শতাংশ কমেছে।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে অর্থনৈতিক সংকট এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্থবিরতা রাজস্ব আদায়ে প্রভাব ফেলেছে। তবে বাকি ছয় মাসে এই ঘাটতি পূরণ হবে।”
আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ‘সব পর্যায়ে’ কমিয়ে ৯ শতাংশে নামানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুল্ক ছাড় কমানোর দিকেও ইঙ্গিত দেন। রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে শুল্ক ছাড়ের পরিধি কমানো ছাড়া বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূসক আরোপ করা হয়। এ সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূসক হার ৯ শতাংশে আনার পরিকল্পনা করা হবে। হঠাৎ কোনো পরিবর্তন আনা হবে না।”
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের শর্ত অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে কর-জিডিপি অনুপাত ০.৬ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ানোর চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এনবিআর। এনবিআর শর্ত শিথিল করার অনুরোধ জানালে আইএমএফ তা ০.৪ শতাংশে নামিয়ে আনে, তবে পূর্ববর্তী ঘাটতি পূরণে বাড়তি ০.২ শতাংশ যোগ করেছে।
শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, “শুল্ক ছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বৈষম্য দূর করতে শিগগিরই কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় বাতিল করা হবে। ইতোমধ্যে কয়েকটি পণ্যের শুল্কছাড় তুলে নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, শুল্কছাড়ের কারণে চিনি, ভোজ্যতেল, আলু ও ডিমের মতো পণ্যে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এ বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে রাজস্ব আদায় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.০৩ শতাংশ কমেছে।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে অর্থনৈতিক সংকট এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের স্থবিরতা রাজস্ব আদায়ে প্রভাব ফেলেছে। তবে বাকি ছয় মাসে এই ঘাটতি পূরণ হবে।”
আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।