ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ভর্তুকি প্রকল্পকে তাত্ত্বিকভাবে ভালো হলেও বিগত সরকারের সময় এ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, বর্তমান সরকার এসব অনিয়ম চিহ্নিত করে সংশোধনের কাজ করছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিতরণের কার্ড প্রকল্পে ৫৬-৫৭ লাখ বৈধ কার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে, আর বাকি কার্ডগুলো বাতিল করা হয়েছে। পুরনো কার্ডের পরিবর্তে নতুন স্মার্ট কার্ড চালু করা হয়েছে এবং কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে তদারকি করা হবে।
টিসিবির বার্ষিক বাজেট ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “মাত্র ১৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এত বিশাল বাজেট হাস্যকর।”
বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়মের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে তথ্যের অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, অর্থ পাচারের শ্বেতপত্র অনুযায়ী, বিগত বছরগুলোতে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেড় বছরের জাতীয় আয়ের সমান।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, একজন বড় আমদানিকারক দেশ ছেড়ে যাওয়ায় সরবরাহে কিছু ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে বাজারে তার প্রভাব তেমনভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী রমজানে খেজুর, ছোলা, তেলসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। বিশেষ করে ডিমের দাম কমাতে প্রাণিখাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের তথ্য বিভ্রান্তি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং বলেন, মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও অনেক পণ্যের দাম কমেছে, যা প্রচারে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর ভর্তুকি প্রকল্পকে তাত্ত্বিকভাবে ভালো হলেও বিগত সরকারের সময় এ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, বর্তমান সরকার এসব অনিয়ম চিহ্নিত করে সংশোধনের কাজ করছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিতরণের কার্ড প্রকল্পে ৫৬-৫৭ লাখ বৈধ কার্ড চিহ্নিত করা হয়েছে, আর বাকি কার্ডগুলো বাতিল করা হয়েছে। পুরনো কার্ডের পরিবর্তে নতুন স্মার্ট কার্ড চালু করা হয়েছে এবং কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে তদারকি করা হবে।
টিসিবির বার্ষিক বাজেট ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “মাত্র ১৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এত বিশাল বাজেট হাস্যকর।”
বিগত সরকারের সময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়মের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে তথ্যের অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, অর্থ পাচারের শ্বেতপত্র অনুযায়ী, বিগত বছরগুলোতে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেড় বছরের জাতীয় আয়ের সমান।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, একজন বড় আমদানিকারক দেশ ছেড়ে যাওয়ায় সরবরাহে কিছু ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে বাজারে তার প্রভাব তেমনভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী রমজানে খেজুর, ছোলা, তেলসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। বিশেষ করে ডিমের দাম কমাতে প্রাণিখাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের তথ্য বিভ্রান্তি নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং বলেন, মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও অনেক পণ্যের দাম কমেছে, যা প্রচারে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না।