শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিকার চেয়ে এবার আচার্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন।
অভিযোগকারী ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গভবনে আবেদনটি জমা দিয়ে আসেন। আবেদনে তিনি ‘যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের’ বিচার চেয়েছেন। আবেদন গ্রহণের অনুলিপি পেয়েছে সংবাদে।
আবেদনে এই শিক্ষার্থী বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচার ‘এখনো পাননি’। ‘উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন।’ অভিযুক্ত শিক্ষকেরা তাকে ‘বহিষ্কারের হুমকি’ দেন। অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে তাকে ‘বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন’ করেন। ‘তারা মৃত্যুহুমকি দিয়ে যাচ্ছেন’। তাকে ‘আত্মহত্যায় পথে ঠেলে দিচ্ছেন’। তাই তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
ওই ছাত্রী তার আবেদনে আরও বলেন, ‘সবশেষ আশা-ভরসা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন’ করেছেন। বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। তাকে ফেল করানো বিষয়গুলো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে তার ‘জীবন পুনরুদ্ধারের’ আরজি জানাচ্ছেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানিসহ নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানে অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলেন।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। এ অবস্থায় তিনি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান।
বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রতিকার চেয়ে এবার আচার্য অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছেন।
অভিযোগকারী ছাত্রী গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গভবনে আবেদনটি জমা দিয়ে আসেন। আবেদনে তিনি ‘যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের’ বিচার চেয়েছেন। আবেদন গ্রহণের অনুলিপি পেয়েছে সংবাদে।
আবেদনে এই শিক্ষার্থী বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বিচার ‘এখনো পাননি’। ‘উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন।’ অভিযুক্ত শিক্ষকেরা তাকে ‘বহিষ্কারের হুমকি’ দেন। অন্য শিক্ষার্থীদের থেকে তাকে ‘বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন’ করেন। ‘তারা মৃত্যুহুমকি দিয়ে যাচ্ছেন’। তাকে ‘আত্মহত্যায় পথে ঠেলে দিচ্ছেন’। তাই তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
ওই ছাত্রী তার আবেদনে আরও বলেন, ‘সবশেষ আশা-ভরসা নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন’ করেছেন। বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। তাকে ফেল করানো বিষয়গুলো বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে তার ‘জীবন পুনরুদ্ধারের’ আরজি জানাচ্ছেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানিসহ নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার হন। সেখানে অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলেন।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। এ অবস্থায় তিনি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান।