জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের মৃত্যুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার শান্ত চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে স্বাক্ষরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি অভিযোগপত্র দেয় শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা জানান, অংকন বিশ্বাস জবির আইন বিভাগের ছাত্র শাকিল আহমেদের দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। অবশেষে শাকিল আহমেদের নিজ গৃহে অবস্থান কালে অংকন ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। টানা ১৫ দিন লাইফ সাপোর্টে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে অংকন মৃত্যুবরণ করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অংকনের সহপাঠীরা চেষ্টা চালিয়েছি অংকনের প্রশ্নবিদ্ধ এ মৃত্যুর রহস্য জানার। এ যাত্রায় ইংরেজি বিভাগও আমাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু অংকনের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের সহায়তা করেনি বিধায় আজও অংকন ন্যায় বিচার পায়নি।
আরও বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অংকনের সহপাঠীরা চাই অংকনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং অংকনের সাথে ঘটা অন্যায়ে জড়িতরা যথাযথ বিচার পাক। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনি ও আপনার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন একটি অনন্য নজির স্থাপন করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তাই আপনার কাছে আমরা সেই দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের বিশ্বাস আপনার হাত ধরে এবার অংকন বিশ্বাস ন্যায়বিচার পাবে।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, আমরা চাই অংকনের মৃত্যুর সুষ্ঠু একটা তদন্ত হোক। সে লক্ষ্যে অনলাইনে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ও সরাসরি প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়েছি আমরা।
ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের লিজা কবির সুইটি বলেন, অংকনের মৃত্যু যে আত্মহত্যা, তার কোনো প্রমাণ নেই। আমরা জানতে চাই অংকনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। সেজন্যেই আমরা উপাচার্যের কাছে একটা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি যেন তদন্ত হয়।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা সহপাঠী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে আত্মহত্যা কনে। অবন্তিকার মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই আন্দোলনের মধ্যেই ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফারজানা মীম যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সামনে আসে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের মৃত্যুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার শান্ত চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে স্বাক্ষরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি অভিযোগপত্র দেয় শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা জানান, অংকন বিশ্বাস জবির আইন বিভাগের ছাত্র শাকিল আহমেদের দ্বারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল। অবশেষে শাকিল আহমেদের নিজ গৃহে অবস্থান কালে অংকন ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। টানা ১৫ দিন লাইফ সাপোর্টে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে অংকন মৃত্যুবরণ করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অংকনের সহপাঠীরা চেষ্টা চালিয়েছি অংকনের প্রশ্নবিদ্ধ এ মৃত্যুর রহস্য জানার। এ যাত্রায় ইংরেজি বিভাগও আমাদের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু অংকনের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের সহায়তা করেনি বিধায় আজও অংকন ন্যায় বিচার পায়নি।
আরও বলা হয়, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী এবং অংকনের সহপাঠীরা চাই অংকনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং অংকনের সাথে ঘটা অন্যায়ে জড়িতরা যথাযথ বিচার পাক। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনি ও আপনার নেতৃত্বাধীন প্রশাসন একটি অনন্য নজির স্থাপন করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তাই আপনার কাছে আমরা সেই দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের বিশ্বাস আপনার হাত ধরে এবার অংকন বিশ্বাস ন্যায়বিচার পাবে।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, আমরা চাই অংকনের মৃত্যুর সুষ্ঠু একটা তদন্ত হোক। সে লক্ষ্যে অনলাইনে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ও সরাসরি প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নিয়েছি আমরা।
ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের লিজা কবির সুইটি বলেন, অংকনের মৃত্যু যে আত্মহত্যা, তার কোনো প্রমাণ নেই। আমরা জানতে চাই অংকনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। সেজন্যেই আমরা উপাচার্যের কাছে একটা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি যেন তদন্ত হয়।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা সহপাঠী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে আত্মহত্যা কনে। অবন্তিকার মৃত্যুর পর বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই আন্দোলনের মধ্যেই ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফারজানা মীম যৌন নিপীড়নের অভিযোগ সামনে আসে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।