ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, উদ্ভাবন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষক, স্টেকহোল্ডারস্, সিটি কর্পোরেশন, এনজিও, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ ২৮মে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘৮ম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পথে টেকসই নগরায়ন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং আরবান আইএনজিও ফোরাম বাংলাদেশ- এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘৮ম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। হেবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর জেমস্ স্যামুয়েল-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ওয়ান, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার রায়হান মাহমুদ কাদেরী, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগ্রাওয়াল এবং ব্রাক-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী।
ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এর কারণে দরিদ্র দেশগুলোসহ আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকা বিশেষ করে নদীগুলো ও জলাধার প্রতিনিয়ত আমারা নানাভাবে দূষণ করছি। এরফলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন মহামারি রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। ঢাকা মহানগরীকে পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এর জলাধার ও নদীগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে, পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন করতে হবে, জীববৈচিত্রগুলো সংরক্ষণে এবং বায়ুদূষণ রোধে সকলকে সচেতন হতে হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই প্রধানত দায়ী। এজন্য তাদেরকেই দায়ভার নিতে হবে এবং দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের পরিবেশ দূষণের জন্য আমরা নিজেরাও অনেকটা দায়ী।
ঢাকা মহানগরী বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরীর একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা নানাভাবে এই মহানগরীর পরিবেশ দূষণ করছি। সুনাগরিক হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, উদ্ভাবন ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। টেকসই উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষক, স্টেকহোল্ডারস্, সিটি কর্পোরেশন, এনজিও, সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ ২৮মে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ‘৮ম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পথে টেকসই নগরায়ন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগ এবং আরবান আইএনজিও ফোরাম বাংলাদেশ- এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘৮ম আরবান ডায়ালগ-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। হেবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর জেমস্ স্যামুয়েল-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ওয়ান, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার রায়হান মাহমুদ কাদেরী, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড, বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগ্রাওয়াল এবং ব্রাক-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. লিয়াকত আলী।
ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। এর কারণে দরিদ্র দেশগুলোসহ আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকা বিশেষ করে নদীগুলো ও জলাধার প্রতিনিয়ত আমারা নানাভাবে দূষণ করছি। এরফলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ বিভিন্ন মহামারি রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। ঢাকা মহানগরীকে পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে এর জলাধার ও নদীগুলোর প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে, পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়ন করতে হবে, জীববৈচিত্রগুলো সংরক্ষণে এবং বায়ুদূষণ রোধে সকলকে সচেতন হতে হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই প্রধানত দায়ী। এজন্য তাদেরকেই দায়ভার নিতে হবে এবং দরিদ্র দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের পরিবেশ দূষণের জন্য আমরা নিজেরাও অনেকটা দায়ী।
ঢাকা মহানগরী বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরীর একটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা নানাভাবে এই মহানগরীর পরিবেশ দূষণ করছি। সুনাগরিক হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।