alt

জবিতে প্রজেক্ট শেষেও স্হাপনা না সরিয়ে ক্লাসরুম দখলে রাখার অভিযোগ

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ক্লাসরুমে তৈরি করক স্হাপনা না সরিয়ে রুম দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের হাবিবুন নাহার নামের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় ওই কক্ষের স্হাপনা সরিয়ে বিভাগে সংরক্ষণ করার। কিন্তু এ শিক্ষক স্হাপনা সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি জানালেও নতুন জায়গার দাবি করছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালে বিভাগের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুন নাহার একটি প্রজেক্টের কারণে বিভাগের একটি ক্লাসরুমের ভেতর গ্লাস দিয়ে একাংশে একটি স্থাপনা গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এ প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও স্থাপনা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেননি এই শিক্ষক। ক্লাসরুমের ভেতর আরেকটি কক্ষ তৈরির কারণে ক্লাসটির আয়তন কমে আসে। বর্তমানে সেখানে ওয়াইল্ড লাইফের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। তবে ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তুলনায় রুমটি অনেক ছোট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্টে ক্লাস করতে হয়। আলো, বাতাস নেই বললেই চলে রুমটিতে।

এদিকে গত দুই সপ্তাহ আগে বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে বিভাগের ২৩ জন শিক্ষকের সিদ্ধান্ত ক্রমে ওই শিক্ষককে জানানো হয় রুমটির স্থাপনা সরিয়ে ফেলে বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু ওই নারী অধ্যাপক এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। তিনি জানান স্হাপনা সরিয়ে ফেললেও নতুন কোনো জায়গায় তাঁকে রুম বানিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেও অভিযোগ দেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে শিক্ষক হাবিবুব নাহার বলেন, স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু আরেকটি জায়গায় আমাকে রুম বানিয়ে দিতে হবে। যে প্রজেক্টের জন্য রুমটি বানিয়েছিলাম সে প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ কিন্তু নতুন আবার কোনো প্রজেক্ট আসলে তো রুম বানাতে হবে নতুন করে। তাই এই স্হাপনা ভাঙ্গা উচিত হবে না। আসলে রুমটি তো বানানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাজ করার জন্য, এখানে লাভবান তো শিক্ষার্থীরাই, আমি না। বর্তমানেও কয়েকজন শিক্ষার্থী কাজ করে এই রুমে।

উপাচার্যকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষক হাবিবুন নাহার বলেন, আমি উপাচার্যকে জানিয়েছি আমার প্রজেক্ট রুমটি যাতে ভাঙ্গা না হয়, নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হয়। তখন উপাচার্য বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ্ আল মাসুদ সংবাদকে বলেন, বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলে ২৩ জন শিক্ষক মতামত দেয় রুমটিতে যে স্হাপনা রয়েছে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার। চেয়ারম্যান হিসেবে বিভাগের সবার সর্বসম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটিই তো মানতে হবে আমার। শিক্ষক হাবিবুন নাহারও ওই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি সরাসরি রুম ছাড়বেন না সেটিও বলেনি, একধরনের অপারগতা প্রকাশ করেছেন আরকি। তাঁকে আমি বলেছি রুমের স্হাপনা গুলো বিভাগে সংরক্ষণ রাখবো পরবর্তীতে কোনো সুযোগ হলে অন্য জায়গায় আরেকটি কক্ষ করে দিবো। কারণ আমাদের তো জায়গার সমস্যা রয়েছে।

চেয়ারম্যান মাসুদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষকের কাছেও অভিযোগ দিয়েছে ওখানে ক্লাস করতে কষ্ট হয়। এখন ওয়াইল্ড লাইফের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওই রুমের তুলনায় বেশি হওয়ায় বসতেও কষ্ট হয়।

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল ঘোষণা

ছবি

রাকসু: উৎসবের হাওয়া,অভিনব কায়দায় নির্বাচনী প্রচারণা

ছবি

রাকসু: ভোটের আগে উপাচার্যের ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক

ছবি

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শিবির ও ছাত্রদলের ভিন্ন ভিন্ন দাবি

ছবি

ফের পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবি, অন্যথায় ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মসূচি

ছবি

‘কাকতাড়ুয়া দহন’ কর্মসূচি দিয়ে সড়ক ছাড়লেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা

ছবি

জকসু: ২৭ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন

ছবি

রাকসু: হাতে ভোট গোণা ও ৫ দাবি ছাত্রদলের, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটের সিদ্ধান্ত

ছবি

সাজেকে চাঁন্দের গাড়ি খাদে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

ছবি

জগন্নাথ: নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে ৪ জনের অনশনে ৩ জন অসুস্থ

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়ন নেওয়ার সময় বাড়ল এক দিন

ছবি

গাজীপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের রেলপথ অবরোধ, বিক্ষোভ

ছবি

রাকসু: ১৭ কেন্দ্রে ভোট, নিরাপত্তায় থাকবে দুই হাজার পুলিশ

ছবি

জকসুসহ ৩ দাবিতে বাগছাস ও ছাত্র অধিকারের অনশন

ছবি

ডাকসু নির্বাচন: ভোট হাতে গণনার আবেদন উমামা ফাতেমার

ছবি

এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের

ছবি

নারায়ণগঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি, প্রো-ভিসির আশ্বাস

ছবি

রাকসু: চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা, ভিপি পদে ১৮

ছবি

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ১৬ অভিযোগ: নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ছবি

রাকসু: তিন সাবেক সমন্বয়কের ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল, শিবিরের ‘ছায়ার’ গুঞ্জন

ছবি

জাকসু: ভোট গণনায় অসঙ্গতি, বৈধ ভোটের চেয়ে বেশী ভোটের হিসাব, বিজয়ী ঘোষণা করে পরে বাতিল

ছবি

রাকসু: নির্বাচনী প্রচারণায় মানতে হবে যেসব নিয়ম

ছবি

রাকসু: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৯ জন হল সংসদে নির্বাচিত

ছবি

ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু নির্বাচনে ঘোষিত নয়টি প্যানেল

ছবি

চাকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু, প্রথম দিনেই সংগ্রহ ২৮টি

ছবি

রাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একাংশের প্যানেল, তবে নেই ভিপি, জিএস, এজিএস

ছবি

ডাকসুর প্রথম সভায় সিনেটের জন্য ৫ প্রতিনিধি মনোনীত

ছবি

৩৫ বছর পর চাকসু: মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

ছবি

রাকসুর নীতিমালা সংশোধন, লটারিতে নির্ধারিত হবে ব্যালট নম্বর

জাকসু নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায়নি: নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল

ছবি

রাকসু: আচরণবিধি ‘লঙ্ঘন’ করে চলছে প্রচার-প্রচারণা

ছবি

অব্যবস্থাপনায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জাকসুতেও অধিকাংশ শিবির, তবে ভিপি স্বতন্ত্র সাবেক ছাত্রলীগ

ছবি

৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি, শিবিরের প্রার্থী জিএসে বিজয়ী

tab

জবিতে প্রজেক্ট শেষেও স্হাপনা না সরিয়ে ক্লাসরুম দখলে রাখার অভিযোগ

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ক্লাসরুমে তৈরি করক স্হাপনা না সরিয়ে রুম দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণীবিদ্যা বিভাগের হাবিবুন নাহার নামের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় ওই কক্ষের স্হাপনা সরিয়ে বিভাগে সংরক্ষণ করার। কিন্তু এ শিক্ষক স্হাপনা সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি জানালেও নতুন জায়গার দাবি করছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালে বিভাগের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে সহযোগী অধ্যাপক ড. হাবিবুন নাহার একটি প্রজেক্টের কারণে বিভাগের একটি ক্লাসরুমের ভেতর গ্লাস দিয়ে একাংশে একটি স্থাপনা গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে এ প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও স্থাপনা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেননি এই শিক্ষক। ক্লাসরুমের ভেতর আরেকটি কক্ষ তৈরির কারণে ক্লাসটির আয়তন কমে আসে। বর্তমানে সেখানে ওয়াইল্ড লাইফের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হয়। তবে ওই ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তুলনায় রুমটি অনেক ছোট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্টে ক্লাস করতে হয়। আলো, বাতাস নেই বললেই চলে রুমটিতে।

এদিকে গত দুই সপ্তাহ আগে বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সে বৈঠকে বিভাগের ২৩ জন শিক্ষকের সিদ্ধান্ত ক্রমে ওই শিক্ষককে জানানো হয় রুমটির স্থাপনা সরিয়ে ফেলে বিভাগে সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু ওই নারী অধ্যাপক এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। তিনি জানান স্হাপনা সরিয়ে ফেললেও নতুন কোনো জায়গায় তাঁকে রুম বানিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছেও অভিযোগ দেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে শিক্ষক হাবিবুব নাহার বলেন, স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু আরেকটি জায়গায় আমাকে রুম বানিয়ে দিতে হবে। যে প্রজেক্টের জন্য রুমটি বানিয়েছিলাম সে প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ কিন্তু নতুন আবার কোনো প্রজেক্ট আসলে তো রুম বানাতে হবে নতুন করে। তাই এই স্হাপনা ভাঙ্গা উচিত হবে না। আসলে রুমটি তো বানানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের কাজ করার জন্য, এখানে লাভবান তো শিক্ষার্থীরাই, আমি না। বর্তমানেও কয়েকজন শিক্ষার্থী কাজ করে এই রুমে।

উপাচার্যকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়ে শিক্ষক হাবিবুন নাহার বলেন, আমি উপাচার্যকে জানিয়েছি আমার প্রজেক্ট রুমটি যাতে ভাঙ্গা না হয়, নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হয়। তখন উপাচার্য বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ্ আল মাসুদ সংবাদকে বলেন, বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলে ২৩ জন শিক্ষক মতামত দেয় রুমটিতে যে স্হাপনা রয়েছে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার। চেয়ারম্যান হিসেবে বিভাগের সবার সর্বসম্মতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটিই তো মানতে হবে আমার। শিক্ষক হাবিবুন নাহারও ওই মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি সরাসরি রুম ছাড়বেন না সেটিও বলেনি, একধরনের অপারগতা প্রকাশ করেছেন আরকি। তাঁকে আমি বলেছি রুমের স্হাপনা গুলো বিভাগে সংরক্ষণ রাখবো পরবর্তীতে কোনো সুযোগ হলে অন্য জায়গায় আরেকটি কক্ষ করে দিবো। কারণ আমাদের তো জায়গার সমস্যা রয়েছে।

চেয়ারম্যান মাসুদ আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষকের কাছেও অভিযোগ দিয়েছে ওখানে ক্লাস করতে কষ্ট হয়। এখন ওয়াইল্ড লাইফের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওই রুমের তুলনায় বেশি হওয়ায় বসতেও কষ্ট হয়।

back to top