alt

নগর-মহানগর

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নারী ও শিশু সংহতি সমাবেশ

গাজাবাসীর আর্তনাদ-কান্না, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের আর্তনাদ : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি

খালেদ মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নারী ও শিশু সংহতি সমাবেশের আয়োজন করেছে ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশের সদস্য হারুন অর রশীদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গাজাবাসীর যে আর্তনাদ-কান্না, সেটি সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের আর্তনাদ। হিটলার নরপশুর থেকে অধম ছিল। কিন্তু তার অনুশোচনা ছিল। সেজন্য সে আত্মহত্যা করেছে। আজকে পৃথিবীতে নব্য হিটলারের দেখা দিয়েছে। রাশিয়ায় পুতিন, ইরাক ইঙ্গ-মার্কিন হামলায় জর্জ বুশ আর গাজা গণহত্যায় নেতানিয়াহু নব্য হিটলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

তিনি বলেন, ছোট হিটলাদের অনুশোচনা নেই। তারা আর আত্মহত্যা করে না। বরং দর্পের সহিত ঘুরে বেড়ায়। তাদের কোনো বিষন্নতা নেই, আত্মোপলব্ধি নেই। হিটলারের বন্ধু ছিল গোয়েবলস। সে হিটলারের সকল মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রচার করতো। এখনো নব্য গোয়েবলস বিদ্যমান আছে। তারা গাজার সহিংসতাকে যুদ্ধ হিসেবে দেখাতে চাইছে। অথচ এটি কোনো যুদ্ধ নয়, বরং নির্লজ্জ ও বিভৎস গণহত্যা।

“আজকের এ সংহতি সমাবেশ শুধু সমবেদনা নয়, এটি আমাদের পূর্ণ সমর্থন। এটি আমাদেরও যুদ্ধ। এ সংগ্রাম সেসব পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, যেখান থেকে হিটলার জন্ম নেয়। এ যুদ্ধে পরাজয়ের কোনো স্থান নেই। এর পরাজয় মানে সভ্যতার মৃত্যু, মানুষ ও মানবতার মৃত্যু। ”

তিনি আরো বলেন, আমেরিকায় ছাত্ররা আবার রাস্তায় নেমে এসেছে। ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় এইরকম ছাত্র বিপ্লব আমরা দেখেছিলাম। তারপরে ছাত্র বিপ্লব হারিয়ে গেছে। কেন হারিয়ে গেল? হারিয়ে গেল দুই কারণে। তার একটা কারণ হলো, সমাজতন্ত্রীদের পতন হলো, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেল। সমাজতন্ত্রী ছাত্ররা পুজিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ল। আরেকটা কারণ হলো, পুঁজিবাদীরা আরো দক্ষতা অর্জন করল, মানুষকে আরো চেপে ধরল। ফলে প্রতিবাদ করার যে শক্তি সেটি শেষ হয়ে গেছে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী নারী মুক্তি কেন্দ্রের আহ্বায়ক সোনিয়া আকতার, কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষী চক্রবর্তী, নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শিল, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী, শ্রমজীবী নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি সম্পা বসু প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা মিত্রা বলেন, শুধু ফিলিস্তিনে নির্যাতন-নিপীড়ন-গণহত্যা চলছে না, পৃথিবীর নানা দেশে দেশে এরূপ নিপীড়ন চলছে। আমাদের সেসবের জন্যও প্রতিবাদ জানাতে হবে।

মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, যেকোনো যুদ্ধ ও সহিংসতায় নারী ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাজায় ইসরাইলি দখললদার বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ৩৫০০০ এর বেশি নারী-শিশু ও সাধারণ নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছে।

শ্রমজীবী নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী বলেন, আজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বীর জনতার প্রতি আমাদের সমর্থন আছে, থাকবে। শুধু ফিলিস্তিন না, নিপীড়নের বিরুদ্ধে , সারা বিশ্বই আমাদের যুদ্ধক্ষেত্র।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, গাজায় হাসপাতাল-মসজিদ-আশ্রয়কেন্দ্রেও দখলদাররা হামলা চালিয়েছে। ঈদের দিনেও হামলা করতে ছাড়েনি। ৭৫ বছর ধরে জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে সেটি চলমান থাকবে। এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই না।

সমাবেশে সামনের সারিতে শিশুরা ফিলিস্তিনের সংহতির পক্ষে চিত্রাঙ্কন করেন। এছাড়া সংহতি জানিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করা হয়। এসময় ‘ইজরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক এক হও’, ‘সাম্রাজ্যবাদ মানবতার শত্রু’, ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড নিয়ে নারী ও শিশুরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল কাটাবন মোড়, শাহবাগ, টিএসসি প্রদক্ষিণ করে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।

মধ্যরাতে গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১০

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা মওকুফ হওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

ছবি

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

ছবি

তরুণদের নেতৃত্বে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠবে: ইফতেখারুজ্জামান

ছবি

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি, শাহবাগ অবরোধ

ছবি

ফেনীতে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচি

ছবি

স্বতন্ত্র আইসিটি ক্যাডারের দাবি গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের

ছবি

বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের সমাবেশ

ছবি

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধের দাবিতে মশালমিছিল, ৫ অক্টোবর ঢাকায় অবরোধের ঘোষণা

ছবি

ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য শেখ হাসিনাকেও শাস্তি পেতে হবে: সমাবেশে বক্তারা

ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক মাস পূর্তি, আজ ‘শহীদি মার্চ’

ছবি

২৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন ‘সুইডেন আসলাম’

ছবি

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

ছবি

আনসার বাহিনীর আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে হাসপাতালগুলো

ছবি

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া ৪৫ টাকা নির্ধারণের দাবি

গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ ৫ পুলিশ আহত

ছবি

রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি

ছবি

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী আটক

ছবি

আগামীকাল থেকে সীমিত আকারে হাসপাতালের আউটডোর সেবা চালু

ছবি

আলোচিত মামলায় আমির হামজাসহ ছয়জনকে অব্যাহতি, সাকিবের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

ছবি

সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ

ছবি

আওয়ামী লীগ জোটের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গ্রেপ্তার

ছবি

ক্ষমতার পরিবর্তনের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল, ৮৩ জন কর্মকর্তার বদলি

ছবি

রুবেল হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

পুলিশে রদবদলের সুযোগে প্রতারণা, সতর্ক থাকার আহ্বান

ছবি

ব্যাংক হিসাব স্থগিত সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের

ছবি

হাসিনা সরকারের ‘গণহত্যা’র বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দাবি জামায়াতের

ছবি

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যু, অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হলো না জাররাফ প্রিতমের

ছবি

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিপি আবদুল্লাহ আবুর বদলে দায়িত্বে এহসানুল হক সমাজী

ছবি

বন্যাকবলিতদের সহায়তায় সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি ও ক্লাবগুলির ১৫ লাখ টাকার অনুদান

ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন: নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও স্ত্রী কারাগারে

ছবি

হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে আদালতে আনার পর ডিম নিক্ষেপ, রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কোটা আন্দোলনে কলেজ ছাত্র নিহত: ভিডিও প্রমাণসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ঢাকায় আরেক হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতির আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড

ছবি

সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি

tab

নগর-মহানগর

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নারী ও শিশু সংহতি সমাবেশ

গাজাবাসীর আর্তনাদ-কান্না, সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের আর্তনাদ : সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি

খালেদ মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নারী ও শিশু সংহতি সমাবেশের আয়োজন করেছে ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিস্তিনি সংহতি কমিটি বাংলাদেশের সদস্য হারুন অর রশীদের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গাজাবাসীর যে আর্তনাদ-কান্না, সেটি সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের আর্তনাদ। হিটলার নরপশুর থেকে অধম ছিল। কিন্তু তার অনুশোচনা ছিল। সেজন্য সে আত্মহত্যা করেছে। আজকে পৃথিবীতে নব্য হিটলারের দেখা দিয়েছে। রাশিয়ায় পুতিন, ইরাক ইঙ্গ-মার্কিন হামলায় জর্জ বুশ আর গাজা গণহত্যায় নেতানিয়াহু নব্য হিটলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

তিনি বলেন, ছোট হিটলাদের অনুশোচনা নেই। তারা আর আত্মহত্যা করে না। বরং দর্পের সহিত ঘুরে বেড়ায়। তাদের কোনো বিষন্নতা নেই, আত্মোপলব্ধি নেই। হিটলারের বন্ধু ছিল গোয়েবলস। সে হিটলারের সকল মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রচার করতো। এখনো নব্য গোয়েবলস বিদ্যমান আছে। তারা গাজার সহিংসতাকে যুদ্ধ হিসেবে দেখাতে চাইছে। অথচ এটি কোনো যুদ্ধ নয়, বরং নির্লজ্জ ও বিভৎস গণহত্যা।

“আজকের এ সংহতি সমাবেশ শুধু সমবেদনা নয়, এটি আমাদের পূর্ণ সমর্থন। এটি আমাদেরও যুদ্ধ। এ সংগ্রাম সেসব পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, যেখান থেকে হিটলার জন্ম নেয়। এ যুদ্ধে পরাজয়ের কোনো স্থান নেই। এর পরাজয় মানে সভ্যতার মৃত্যু, মানুষ ও মানবতার মৃত্যু। ”

তিনি আরো বলেন, আমেরিকায় ছাত্ররা আবার রাস্তায় নেমে এসেছে। ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় এইরকম ছাত্র বিপ্লব আমরা দেখেছিলাম। তারপরে ছাত্র বিপ্লব হারিয়ে গেছে। কেন হারিয়ে গেল? হারিয়ে গেল দুই কারণে। তার একটা কারণ হলো, সমাজতন্ত্রীদের পতন হলো, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেল। সমাজতন্ত্রী ছাত্ররা পুজিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ল। আরেকটা কারণ হলো, পুঁজিবাদীরা আরো দক্ষতা অর্জন করল, মানুষকে আরো চেপে ধরল। ফলে প্রতিবাদ করার যে শক্তি সেটি শেষ হয়ে গেছে।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী নারী মুক্তি কেন্দ্রের আহ্বায়ক সোনিয়া আকতার, কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষী চক্রবর্তী, নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শিল, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী, শ্রমজীবী নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি সম্পা বসু প্রমুখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা মিত্রা বলেন, শুধু ফিলিস্তিনে নির্যাতন-নিপীড়ন-গণহত্যা চলছে না, পৃথিবীর নানা দেশে দেশে এরূপ নিপীড়ন চলছে। আমাদের সেসবের জন্যও প্রতিবাদ জানাতে হবে।

মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, যেকোনো যুদ্ধ ও সহিংসতায় নারী ও শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাজায় ইসরাইলি দখললদার বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ৩৫০০০ এর বেশি নারী-শিশু ও সাধারণ নাগরিক হত্যার শিকার হয়েছে।

শ্রমজীবী নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী বলেন, আজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ভন্ডামীর মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বীর জনতার প্রতি আমাদের সমর্থন আছে, থাকবে। শুধু ফিলিস্তিন না, নিপীড়নের বিরুদ্ধে , সারা বিশ্বই আমাদের যুদ্ধক্ষেত্র।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, গাজায় হাসপাতাল-মসজিদ-আশ্রয়কেন্দ্রেও দখলদাররা হামলা চালিয়েছে। ঈদের দিনেও হামলা করতে ছাড়েনি। ৭৫ বছর ধরে জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে সেটি চলমান থাকবে। এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াই না।

সমাবেশে সামনের সারিতে শিশুরা ফিলিস্তিনের সংহতির পক্ষে চিত্রাঙ্কন করেন। এছাড়া সংহতি জানিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করা হয়। এসময় ‘ইজরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেক এক হও’, ‘সাম্রাজ্যবাদ মানবতার শত্রু’, ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড নিয়ে নারী ও শিশুরা সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল কাটাবন মোড়, শাহবাগ, টিএসসি প্রদক্ষিণ করে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।

back to top