alt

নগর-মহানগর

৫ বছর পড়ে আছে ৩৮ কোটির সিজেএম ভবন

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ : শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কে ৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন। ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনটি এখনও অলস অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে, নতুন ভবন প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও আইনজীবীদের বাধার মুখে এখনো পুরনো ভবনেই পরিচালিত হচ্ছে আদালতের বিচার কার্যক্রম। স্থানীয় সংসদ সদস্য ভবনটি মেডিকেল কলেজ করার প্রস্তাবনা রাখলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ।

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সদরে চীফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের পাশে ৬ তলা বিশিষ্ট জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয় জেলা গণপূর্ত বিভাগ। ৩৮ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭ বছর বছর পর ২০১৯ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করে গণপূর্ত। তবে আইনজীবীদের বাধাঁর মুখে এখনো ভবনটি হস্তান্তর করতে পারেনি দপ্তারটি।

সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু আইনজীবীদের অনিহার কারণে হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবনটি এখানো আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। হস্তান্তর না হওয়ায় বছর বছর ভবনটির নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে আমাদের।

আইনজীবীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকা থেকে নবনির্মিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের দূরত্ব দুই কিলোমিটার। দুই আদালতের মধ্যকার এই দূরত্বের কারণে বিচারক, অপরাধী, মামলার নথিপত্রের নিরাপত্তার জড়িত। এই সাথে বিচারক, অপরাধী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে। এছাড়া শহরের মধ্যে সিজেএম ভবন হলে শহরের যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, দেশের সব জেলাতেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কম্পাউন্ড পাশাপাশি থাকে। ব্যতিক্রম শুধু নারায়ণগঞ্জে। এতদূরত্বে ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ কথা শোনেনি।

আইনজীবীরা বলছেন, অনেক সময় একই আসামির দুই আদালতে হাজিরা থাকে। সেক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীদের দুই কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত করে একবার জজ কোর্ট, আরেকবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থিত হতে হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন মন্তব্য করে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, ২০০৯ সালে আইনজীবী সমিতির এসব বিষয় তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে। আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য বিচারপতিরা নারায়ণগঞ্জে একাধিকবার এসেছে এবং নবনির্মিত ভবন পরির্দশন করে গেছেন। তারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সময়ের সঙ্গে ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, সরকার এতই ধনী যে শত কোটি টাকা নষ্ট হলেও কিছু যায় আসে না। আইনমন্ত্রী বারবার নারায়ণগঞ্জে এসেছেন, সম্পূর্ণ বিষয় দেখে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিন্তু সামান্য একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ভবনটি আইনমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণে ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমি আইনমন্ত্রীকে দায়ী মনে করি। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তাহলে কেন প্রতিশ্রুতি দেন। হয় ভবনটিতে বিকল্প কিছু করুন। না পারলে আদালতের কার্যক্রম শুরু করুক। আর যদি সেটাও না হয় তাহলে জজ আদালতের পাশে নতুন করে জুডিশিয়াল ভবন নির্মাণ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, অব্যবহৃত ভবনটিতে কেউ হাসপাতাল করতে বলছে, কেউ প্রশাসনিক ভবন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তই আমরা পাচ্ছি না। শত শত কোটি কোটি টাকার ভবন শুধু শুধুই নষ্ট হচ্ছে। ভবনটি ফেলে না রেখে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানান তিনি।

বিভিন্ন সময় অব্যবহৃত সিজেএম ভবনটিতে হার্ট ইনস্টিটিউ অথবা মেডিকেল কলেজ কারার প্রস্তাবনা রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় সংসদেও কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু এখনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

গণপূর্ত বিভাগের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, সংসদ সদস্য যে প্রস্তাবনা রেখেছেন সেটা করা সম্ভব। এছাড়া জেলায় ২৩টি সরকারি দপ্তরের অফিস রয়েছে যাদের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। সেসব সরকারি কার্যালয়গুলো অব্যবহৃত ভবনে স্থানান্তর করার জন্য বিষয়েও আমরা ভাবছি। জুডিসিয়াল ভবনে যদি সরকারি অফিসগুলো স্থানান্তর করা যায়, তাহলে একই ভবনে অনেক পাওয়া সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সংবাদকে বলেন, অব্যবহৃত ভবনটির বিষয়ে আমরা ভাবছি। ভবনটি ব্যবহারের বিষয়ে বিকল্প কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।

মধ্যরাতে গুলশানে এক্সিম ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেপ্তার ১০

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাজা মওকুফ হওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

ছবি

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

ছবি

তরুণদের নেতৃত্বে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠবে: ইফতেখারুজ্জামান

ছবি

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি, শাহবাগ অবরোধ

ছবি

ফেনীতে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচি

ছবি

স্বতন্ত্র আইসিটি ক্যাডারের দাবি গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের

ছবি

বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের সমাবেশ

ছবি

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধের দাবিতে মশালমিছিল, ৫ অক্টোবর ঢাকায় অবরোধের ঘোষণা

ছবি

ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখার জন্য শেখ হাসিনাকেও শাস্তি পেতে হবে: সমাবেশে বক্তারা

ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এক মাস পূর্তি, আজ ‘শহীদি মার্চ’

ছবি

২৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন ‘সুইডেন আসলাম’

ছবি

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

ছবি

আনসার বাহিনীর আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে দুই সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরছে হাসপাতালগুলো

ছবি

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া ৪৫ টাকা নির্ধারণের দাবি

গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ ৫ পুলিশ আহত

ছবি

রাজধানীতে ৩ ঘণ্টায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি

ছবি

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী আটক

ছবি

আগামীকাল থেকে সীমিত আকারে হাসপাতালের আউটডোর সেবা চালু

ছবি

আলোচিত মামলায় আমির হামজাসহ ছয়জনকে অব্যাহতি, সাকিবের বিরুদ্ধে বিচার শুরু

ছবি

সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ

ছবি

আওয়ামী লীগ জোটের নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গ্রেপ্তার

ছবি

ক্ষমতার পরিবর্তনের পর পুলিশ বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল, ৮৩ জন কর্মকর্তার বদলি

ছবি

রুবেল হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

পুলিশে রদবদলের সুযোগে প্রতারণা, সতর্ক থাকার আহ্বান

ছবি

ব্যাংক হিসাব স্থগিত সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের

ছবি

হাসিনা সরকারের ‘গণহত্যা’র বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দাবি জামায়াতের

ছবি

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যু, অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হলো না জাররাফ প্রিতমের

ছবি

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পিপি আবদুল্লাহ আবুর বদলে দায়িত্বে এহসানুল হক সমাজী

ছবি

বন্যাকবলিতদের সহায়তায় সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতি ও ক্লাবগুলির ১৫ লাখ টাকার অনুদান

ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন: নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও স্ত্রী কারাগারে

ছবি

হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে আদালতে আনার পর ডিম নিক্ষেপ, রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

কোটা আন্দোলনে কলেজ ছাত্র নিহত: ভিডিও প্রমাণসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

ঢাকায় আরেক হত্যা মামলায় সাংবাদিক দম্পতির আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড

ছবি

সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি

tab

নগর-মহানগর

৫ বছর পড়ে আছে ৩৮ কোটির সিজেএম ভবন

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কে ৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন। ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনটি এখনও অলস অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে, নতুন ভবন প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও আইনজীবীদের বাধার মুখে এখনো পুরনো ভবনেই পরিচালিত হচ্ছে আদালতের বিচার কার্যক্রম। স্থানীয় সংসদ সদস্য ভবনটি মেডিকেল কলেজ করার প্রস্তাবনা রাখলেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ফলে বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পরে থেকে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ।

নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের বাংলাদেশের ৬৪ জেলা সদরে চীফ জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের পাশে ৬ তলা বিশিষ্ট জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণের কাজ হাতে নেয় জেলা গণপূর্ত বিভাগ। ৩৮ কোটি ৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৭ বছর বছর পর ২০১৯ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করে গণপূর্ত। তবে আইনজীবীদের বাধাঁর মুখে এখনো ভবনটি হস্তান্তর করতে পারেনি দপ্তারটি।

সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু আইনজীবীদের অনিহার কারণে হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবনটি এখানো আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। হস্তান্তর না হওয়ায় বছর বছর ভবনটির নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে আমাদের।

আইনজীবীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকা থেকে নবনির্মিত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের দূরত্ব দুই কিলোমিটার। দুই আদালতের মধ্যকার এই দূরত্বের কারণে বিচারক, অপরাধী, মামলার নথিপত্রের নিরাপত্তার জড়িত। এই সাথে বিচারক, অপরাধী ও আইনজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়ও রয়েছে। এছাড়া শহরের মধ্যে সিজেএম ভবন হলে শহরের যানজট পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, দেশের সব জেলাতেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কম্পাউন্ড পাশাপাশি থাকে। ব্যতিক্রম শুধু নারায়ণগঞ্জে। এতদূরত্বে ভবন নির্মাণ না করার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার আপত্তি জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ কথা শোনেনি।

আইনজীবীরা বলছেন, অনেক সময় একই আসামির দুই আদালতে হাজিরা থাকে। সেক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীদের দুই কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত করে একবার জজ কোর্ট, আরেকবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে উপস্থিত হতে হবে। এতে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন মন্তব্য করে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, ২০০৯ সালে আইনজীবী সমিতির এসব বিষয় তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে। আইনমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, অন্যান্য বিচারপতিরা নারায়ণগঞ্জে একাধিকবার এসেছে এবং নবনির্মিত ভবন পরির্দশন করে গেছেন। তারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছে কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সময়ের সঙ্গে ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, সরকার এতই ধনী যে শত কোটি টাকা নষ্ট হলেও কিছু যায় আসে না। আইনমন্ত্রী বারবার নারায়ণগঞ্জে এসেছেন, সম্পূর্ণ বিষয় দেখে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিন্তু সামান্য একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ভবনটি আইনমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণে ভবনটি পরিত্যাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য আমি আইনমন্ত্রীকে দায়ী মনে করি। সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তাহলে কেন প্রতিশ্রুতি দেন। হয় ভবনটিতে বিকল্প কিছু করুন। না পারলে আদালতের কার্যক্রম শুরু করুক। আর যদি সেটাও না হয় তাহলে জজ আদালতের পাশে নতুন করে জুডিশিয়াল ভবন নির্মাণ করা হোক।

তিনি আরও বলেন, অব্যবহৃত ভবনটিতে কেউ হাসপাতাল করতে বলছে, কেউ প্রশাসনিক ভবন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তই আমরা পাচ্ছি না। শত শত কোটি কোটি টাকার ভবন শুধু শুধুই নষ্ট হচ্ছে। ভবনটি ফেলে না রেখে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানান তিনি।

বিভিন্ন সময় অব্যবহৃত সিজেএম ভবনটিতে হার্ট ইনস্টিটিউ অথবা মেডিকেল কলেজ কারার প্রস্তাবনা রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় সংসদেও কথা বলেছেন তিনি। কিন্তু এখনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

গণপূর্ত বিভাগের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, সংসদ সদস্য যে প্রস্তাবনা রেখেছেন সেটা করা সম্ভব। এছাড়া জেলায় ২৩টি সরকারি দপ্তরের অফিস রয়েছে যাদের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। সেসব সরকারি কার্যালয়গুলো অব্যবহৃত ভবনে স্থানান্তর করার জন্য বিষয়েও আমরা ভাবছি। জুডিসিয়াল ভবনে যদি সরকারি অফিসগুলো স্থানান্তর করা যায়, তাহলে একই ভবনে অনেক পাওয়া সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাহমুদুল হক সংবাদকে বলেন, অব্যবহৃত ভবনটির বিষয়ে আমরা ভাবছি। ভবনটি ব্যবহারের বিষয়ে বিকল্প কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।

back to top