এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৯জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ২০টি বাড়ীঘর এবং লুটপাট করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৩ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে।
আহতরা হলো; শীতল মিয়া (৩০), বজলু মিয়া (৫২), মো: মনিরুজ্জান (৪৫), আবদুর রহমান (১৮), খোকা মিয়া (২৮), আরিফুল (১৯), রমজান (২৫), মোজাম্মেল (১৮), আল-মাফুজ (১৮), আমজাদ (২০), অজ্ঞাত আরো ৫/৬জন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দীপুর সাথে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আসাদ উল্লাহ’র দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ধরে উভয় পক্ষে একাধিকবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আসাদ উল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কামরুজ্জামান কামরুলের পক্ষে এবং ইউপি চেয়ারম্যান বাখরনগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দীপু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসাদুল্লাহর বেশ কয়েকজন সমর্থক এলাকাছাড়া হয়। এলাকা ছাড়া থাকার পর বুধবার রাতে মুরাদনগর গ্রামে আসাদুল্লাহর সমর্থকরা নিজ নিজ বাড়ী ঘরে উঠে। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় ছিটাগুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছে এবং বাড়ী-ঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি এড.আসাদ উল্লাহ বলেন, ভোর রাত ৫টার দিকে চেয়ারম্যান সমর্থকরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থখদের উপর হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছেন। ওই সময় তারা আমাদের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু বলেন, নির্বাচন ও গ্রামের মানুষের উপর হামলা করার মামলাকে কেন্দ্র করে আসাদের বেশকিছু লোক গ্রামছাড়া। তারা আজকে ভোরে ভারাটে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের নিয়ে গ্রামে আসে। এসে তারা নির্বিচারে আমার সমর্থকদের উপর গুলি চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের ৯ জন গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
সদর হাসপাতালে আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: মাহামুদুল বাশার কমল জানিয়েছেন, আলোকবারীর ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে গুলাগুলির খবর আমরা পাইনি এবং এ ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৯জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ২০টি বাড়ীঘর এবং লুটপাট করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৩ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে।
আহতরা হলো; শীতল মিয়া (৩০), বজলু মিয়া (৫২), মো: মনিরুজ্জান (৪৫), আবদুর রহমান (১৮), খোকা মিয়া (২৮), আরিফুল (১৯), রমজান (২৫), মোজাম্মেল (১৮), আল-মাফুজ (১৮), আমজাদ (২০), অজ্ঞাত আরো ৫/৬জন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দীপুর সাথে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আসাদ উল্লাহ’র দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দ্বন্দ্বের জের ধরে উভয় পক্ষে একাধিকবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আসাদ উল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কামরুজ্জামান কামরুলের পক্ষে এবং ইউপি চেয়ারম্যান বাখরনগর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দীপু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসাদুল্লাহর বেশ কয়েকজন সমর্থক এলাকাছাড়া হয়। এলাকা ছাড়া থাকার পর বুধবার রাতে মুরাদনগর গ্রামে আসাদুল্লাহর সমর্থকরা নিজ নিজ বাড়ী ঘরে উঠে। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় ছিটাগুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্ততঃ ২০ জন আহত হয়েছে এবং বাড়ী-ঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি এড.আসাদ উল্লাহ বলেন, ভোর রাত ৫টার দিকে চেয়ারম্যান সমর্থকরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িসহ আমার সমর্থখদের উপর হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছেন। ওই সময় তারা আমাদের ২০টি বাড়ি ভাংচুর করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু বলেন, নির্বাচন ও গ্রামের মানুষের উপর হামলা করার মামলাকে কেন্দ্র করে আসাদের বেশকিছু লোক গ্রামছাড়া। তারা আজকে ভোরে ভারাটে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারীদের নিয়ে গ্রামে আসে। এসে তারা নির্বিচারে আমার সমর্থকদের উপর গুলি চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের ৯ জন গুলিবিদ্ধ সহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
সদর হাসপাতালে আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: মাহামুদুল বাশার কমল জানিয়েছেন, আলোকবারীর ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে গুলাগুলির খবর আমরা পাইনি এবং এ ঘটনায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।