ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাসের ৫ দশমিক ২৯ বিঘা জমিসহ প্লট-ফ্ল্যাট-গাড়ি জব্দ এবং ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের শুক্রবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, জব্দ সম্পদগুলোর মধ্যে বরিশালের উত্তর হায়াতসার মৌজায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ৬৬ শতাংশ নাল জমি এবং এর ওপর স্থাপনা নির্মাণে বিনিয়োগের ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বরিশালের বাবুগঞ্জে ৬ লাখ টাকার ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি ও ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমি। রহমতপুরে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ জমি, ২৩ লাখ টাকার ১০ শতাংশ জমি। প্লট-ফ্ল্যাটের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কল্যাণপুরে ১ হাজার ১৮৭ বর্গফুটের ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, ৮৮ লাখ টাকার ২ হাজার ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ধানমন্ডিতে ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪৫ টাকা মূল্যের জমিসহ পুরাতন ইমারতের অংশ। দক্ষিণ কল্যাণপুরের ১১ তলার টাওয়ার ও একটি ফ্ল্যাট, পূর্বাচলের নিউ টাউনের ৩ কাঠার প্লট, ধানমন্ডিতে ৪ হাজার ২১৮ বর্গফুটের একতলা ভবন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৫৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়িসহ একটি সঞ্চয়পত্র ও ৮টি ব্যাংক ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদনে বলেন, হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। নিজ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ টাকা জমা ও ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৩ টাকা উত্তোলন করেছেন।
তিনি সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করতে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, হারুন-অর-রশিদ তার সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে সেটি হলে তা রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ। সেজন্য স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হারুন অর রশিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলতি বছরের ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাসের ৫ দশমিক ২৯ বিঘা জমিসহ প্লট-ফ্ল্যাট-গাড়ি জব্দ এবং ৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের শুক্রবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, জব্দ সম্পদগুলোর মধ্যে বরিশালের উত্তর হায়াতসার মৌজায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ৬৬ শতাংশ নাল জমি এবং এর ওপর স্থাপনা নির্মাণে বিনিয়োগের ১৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। বরিশালের বাবুগঞ্জে ৬ লাখ টাকার ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি ও ৪ লাখ ২০ হাজার টাকার ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমি। রহমতপুরে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ জমি, ২৩ লাখ টাকার ১০ শতাংশ জমি। প্লট-ফ্ল্যাটের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কল্যাণপুরে ১ হাজার ১৮৭ বর্গফুটের ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৫৬৩ হাজার টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, ৮৮ লাখ টাকার ২ হাজার ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ধানমন্ডিতে ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৪৫ টাকা মূল্যের জমিসহ পুরাতন ইমারতের অংশ। দক্ষিণ কল্যাণপুরের ১১ তলার টাওয়ার ও একটি ফ্ল্যাট, পূর্বাচলের নিউ টাউনের ৩ কাঠার প্লট, ধানমন্ডিতে ৪ হাজার ২১৮ বর্গফুটের একতলা ভবন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৫৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়িসহ একটি সঞ্চয়পত্র ও ৮টি ব্যাংক ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদনে বলেন, হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। নিজ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ৪২৬ টাকা জমা ও ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৩ টাকা উত্তোলন করেছেন।
তিনি সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ করেছেন। দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে পাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করতে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, হারুন-অর-রশিদ তার সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে সেটি হলে তা রাষ্ট্রের ক্ষতির কারণ। সেজন্য স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করে রিসিভার নিয়োগ করা একান্ত প্রয়োজন। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর হারুন অর রশিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলতি বছরের ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।