তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরকে দায়ী করার এক দিন পরই পাকিস্তান এ কথা বলল। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দুই দেশের মধ্যকার আলোচনার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন। পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাবুলের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে এর আগে এক আফগান কর্মকর্তা বলেন, যৌথ আলোচনা চলার মধ্যেও সীমান্তে পাকিস্তানি ও আফগান বাহিনীর সংঘর্ষে চার আফগান নাগরিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আলোচনায় মধ্যস্থতা করায় তুরস্ক ও কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আতাউল্লাহ তারার। তিনি উল্লেখ করেন, আফগান তালেবান ২০২১ সালের দোহা শান্তিচুক্তি অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসবাদ’ রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারার বলেছেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না, যা আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক। আর আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক আবদুল হক ওয়াসিক দেশটির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইসলামাবাদ আফগান নাগরিকদের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে যাবে। তবে একই সঙ্গে নিজস্ব নাগরিক ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোল্ডাক শহরের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান আলি মোহাম্মদ হাকমালের অভিযোগ, পাকিস্তানই আগে গুলি চালিয়েছে। তাঁর দাবি, ইস্তাম্বুলে দুপক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলার কারণে আফগান বাহিনী এর জবাব দেয়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি দাবি করেছেন, আফগানিস্তানই গুলি চালানো শুরু করেছে। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটি চলমান সংলাপের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা আফগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একইরকম আচরণ আশা করছে। মন্ত্রণালয়টির কর্তৃপক্ষের দাবি, দুপক্ষের যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)-এর মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক।
আর আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক আবদুল হক ওয়াসিক দেশটির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মুজাহিদ আরও বলেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ থামানোর লক্ষ্যে পাকিস্তান তাদের দাবিগুলো মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জমা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা দাবিগুলোর বিষয়ে আফগান তালেবান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক এক করে আলোচনা করছেন।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবানের (টিটিপি) মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময় হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তান তালেবানের অনেক নেতা ও যোদ্ধা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও টানাপোড়েনের মধ্যে ফেলেছে। গত সপ্তাহের আলোচনা শেষে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখতে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দিতে একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাই–বাছাই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া সংঘর্ষে আফগানিস্তান সীমান্তে এ পর্যন্ত ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, সংঘর্ষে তাদের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন, তবে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য তারা উল্লেখ করেনি।
এদিকে, তুরস্কে চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেই আবারো সংঘাতে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলের দিকে এই সংঘাতে আফগানিস্তানে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের জেলা স্পিন বোলদাকের জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ওই ঘটনায় ৪ জন নারী এবং একজন পুরুষসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলমান আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেই সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরকে দায়ী করার এক দিন পরই পাকিস্তান এ কথা বলল। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দুই দেশের মধ্যকার আলোচনার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন। পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাবুলের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে এর আগে এক আফগান কর্মকর্তা বলেন, যৌথ আলোচনা চলার মধ্যেও সীমান্তে পাকিস্তানি ও আফগান বাহিনীর সংঘর্ষে চার আফগান নাগরিক নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আলোচনায় মধ্যস্থতা করায় তুরস্ক ও কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আতাউল্লাহ তারার। তিনি উল্লেখ করেন, আফগান তালেবান ২০২১ সালের দোহা শান্তিচুক্তি অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসবাদ’ রোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারার বলেছেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের এমন কোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না, যা আফগান জনগণ বা প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক। আর আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক আবদুল হক ওয়াসিক দেশটির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইসলামাবাদ আফগান নাগরিকদের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে যাবে। তবে একই সঙ্গে নিজস্ব নাগরিক ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষায় সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। কান্দাহার প্রদেশের স্পিন বোল্ডাক শহরের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান আলি মোহাম্মদ হাকমালের অভিযোগ, পাকিস্তানই আগে গুলি চালিয়েছে। তাঁর দাবি, ইস্তাম্বুলে দুপক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা চলার কারণে আফগান বাহিনী এর জবাব দেয়নি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি দাবি করেছেন, আফগানিস্তানই গুলি চালানো শুরু করেছে। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটি চলমান সংলাপের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা আফগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একইরকম আচরণ আশা করছে। মন্ত্রণালয়টির কর্তৃপক্ষের দাবি, দুপক্ষের যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর আছে।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)-এর মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির আন্দরাবি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিক।
আর আফগান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক আবদুল হক ওয়াসিক দেশটির প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মুজাহিদ আরও বলেন, সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ থামানোর লক্ষ্যে পাকিস্তান তাদের দাবিগুলো মধ্যস্থতাকারীদের কাছে জমা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা দাবিগুলোর বিষয়ে আফগান তালেবান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক এক করে আলোচনা করছেন।
ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবানের (টিটিপি) মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে আফগানিস্তান। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময় হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০২১ সালে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তান তালেবানের অনেক নেতা ও যোদ্ধা আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও টানাপোড়েনের মধ্যে ফেলেছে। গত সপ্তাহের আলোচনা শেষে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখতে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দিতে একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাই–বাছাই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া সংঘর্ষে আফগানিস্তান সীমান্তে এ পর্যন্ত ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, সংঘর্ষে তাদের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন, তবে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য তারা উল্লেখ করেনি।
এদিকে, তুরস্কে চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেই আবারো সংঘাতে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলের দিকে এই সংঘাতে আফগানিস্তানে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের জেলা স্পিন বোলদাকের জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ওই ঘটনায় ৪ জন নারী এবং একজন পুরুষসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।