alt

জাতীয়

গ্যাস-বিদ্যুতে কেন ভর্তুকি দেব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করি তা উৎপাদন করতে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ১২ টাকা। আর সেখানে আমরা নিচ্ছি ৬ টাকা। তাতে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের দাম ১৫০ শতাংশ বেড়েছে, এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস, বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি খরচ যা হয় সেটা সবাই দেয়। কত ভর্তুকি দেওয়া যায়? আর এই ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেব? ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিডার চেয়ারম্যান, সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমারা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত করতে চেয়েছিলাম। অত্যন্ত সফলভাবে সেটা আমরা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই, তার সঙ্গে সঙ্গে চাই যে, আমাদের দেশের যুব সমাজ নিজেরাই বিনিয়োগকারী হবে। আমাদের যুব সমাজের জন্য স্টার্টআপ প্রোগ্রাম করে দিয়েছি। সেজন্য আলাদা বাজেটও আছে। কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি কোম্পানি করতে পারে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। যাতে করে আমাদের নিজেদের ছেলেমেয়েরা উঠে আসতে পারে।

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ৪৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম। ২০০৯ সালে এসে দেখলাম সেটা কমে ৩০০০ মেগাওয়াটের দিকে নেমে গেছে। আমি জানি না কোনো দেশ পেছনের দিকে যায় কি না। আজকে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেব, আমরা পৌঁছে দিয়েছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেটা আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। প্রতিটি ছোট কোম্পানি যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছিলাম, যাতে নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরা ব্যবহার করে, আবার অন্যদের দিতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে, বিনিয়োগ আসে সেই চেষ্টা আমরা করি।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মৎস্য ভবনের একটি ফ্লোরে একটি অফিস ছিল। আমরা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই। বিদেশিরা আসবে, দেখবে, বিনিয়োগ করবে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আলাদা একটি ভবন করে দেব। সেখানে যারা কাজ করবেন তারা যেন মনের শান্তিতে কাজ করতে পারেন।

করোনা যাতে মোকাবিলা করতে পারি সেজন্য বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেওয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পারে। বাঙালি পারে। একটা চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে। এ সেতু তৈরিতে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। আমি বলেছিলাম নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করব, করেছি। এক্ষেত্রে জনগণ আমাকে সমর্থন করেছিল।

ছবি

বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চায় প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুরে মরে যাচ্ছে মুরগি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খামার

ছবি

আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

একটানা এতদিন এত তাপ দেখেনি বাংলাদেশ

রোববার খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘ভিত্তিহীন’ তথ্য রয়েছে

ছবি

গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বদ্ধপরিকর ইসি

ছবি

থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ

ছবি

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন এম ইউ কবীর চৌধুরী

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মানবাধিকার কমিশন

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এর যৌথ অংশগ্রহণে টিএল-২০২৪ উদ্বোধন

ছবি

শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ--স্পীকার

tab

জাতীয়

গ্যাস-বিদ্যুতে কেন ভর্তুকি দেব, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করি তা উৎপাদন করতে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ১২ টাকা। আর সেখানে আমরা নিচ্ছি ৬ টাকা। তাতে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বিদ্যুতের দাম ১৫০ শতাংশ বেড়েছে, এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা সেই পর্যায়ে যাইনি। গ্যাস, বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি খরচ যা হয় সেটা সবাই দেয়। কত ভর্তুকি দেওয়া যায়? আর এই ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেব? ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা কৃষিতে, খাদ্য উৎপাদনে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিডার চেয়ারম্যান, সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমারা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত করতে চেয়েছিলাম। অত্যন্ত সফলভাবে সেটা আমরা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই, তার সঙ্গে সঙ্গে চাই যে, আমাদের দেশের যুব সমাজ নিজেরাই বিনিয়োগকারী হবে। আমাদের যুব সমাজের জন্য স্টার্টআপ প্রোগ্রাম করে দিয়েছি। সেজন্য আলাদা বাজেটও আছে। কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এক ব্যক্তি কোম্পানি করতে পারে সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। যাতে করে আমাদের নিজেদের ছেলেমেয়েরা উঠে আসতে পারে।

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ৪৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিলাম। ২০০৯ সালে এসে দেখলাম সেটা কমে ৩০০০ মেগাওয়াটের দিকে নেমে গেছে। আমি জানি না কোনো দেশ পেছনের দিকে যায় কি না। আজকে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের প্রত্যক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেব, আমরা পৌঁছে দিয়েছি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জেনারেটরের ওপর যে ট্যাক্স ছিল, সেটা আমরা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। প্রতিটি ছোট কোম্পানি যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে সে ব্যবস্থাও করেছিলাম, যাতে নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরা ব্যবহার করে, আবার অন্যদের দিতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে ভালোভাবে চলে, বিনিয়োগ আসে সেই চেষ্টা আমরা করি।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মৎস্য ভবনের একটি ফ্লোরে একটি অফিস ছিল। আমরা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই। বিদেশিরা আসবে, দেখবে, বিনিয়োগ করবে। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আলাদা একটি ভবন করে দেব। সেখানে যারা কাজ করবেন তারা যেন মনের শান্তিতে কাজ করতে পারেন।

করোনা যাতে মোকাবিলা করতে পারি সেজন্য বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পকারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেওয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পারে। বাঙালি পারে। একটা চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে। এ সেতু তৈরিতে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। আমি বলেছিলাম নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করব, করেছি। এক্ষেত্রে জনগণ আমাকে সমর্থন করেছিল।

back to top