alt

জাতীয়

চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানো লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চীনা দূত বলেন, “অনেক বাংলাদেশি আমাকে প্রশ্ন করেন যে, চীন কেন বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী। এর দুইটা কারণ। দুই দেশ একই সঙ্গে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে চাই এবং নির্বিঘ্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই। দ্বিতীয়ত. আমরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।”

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়ার পর এফটিএ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদী তিনি।

এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি সহজ হবে এবং দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে বলেও মনে করেন চীনা দূত।

তিনি বলেন, “এর বাইরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগকেও এই্ এফটিএ সহজ করে তুলবে। এসব কারণে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই চীন বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ সম্পন্ন করতে আগ্রহী।”

চীন বিশ্বের ২৯টি অংশীজনের সঙ্গে ২২টি এফটিএ চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির মধ্যে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ দুই ধরনের দেশই আছে।

এসব চুক্তিতে দেশগুলোর লাভবান হওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আফ্রিকার দেশ মরিসাসের সঙ্গে ২০১৯ সালে এফটিএ হয়েছে। পরের বছর চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০২২ সালে চীন কম্বোডিয়ার সঙ্গে এফটিএ করেছিল। পরের বছর চীনে কম্বোডিয়ার রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল।”

চীনে বাংলাদেশের আম, পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতেও কাজ চলছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ওয়ান বলেন, “চীন তার দেশের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও উৎসাহ দিয়ে থাকে।”

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বাইরেও চীন আমাদের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগীদের একজন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।

“চীনের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও দুই দেশের মধ্যে কিছু যৌথ স্বার্থের বিষয় রয়েছে। যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”

চুক্তির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, “২০২৬ সালের এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন হওয়ার পর বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য সুবিধা কিছু নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এই চ্যালেঞ্জ থেকে ব্যবসা বাণিজ্যকে সুরক্ষা দিতে প্রধান বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

“এই মুক্তবাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে চীন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একক দেশ হিসাবে চীনই হচ্ছে আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্র।”

২০১৮ সালের জুনে চীনের বেইজিংয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রগুলো চূড়ান্ত করেছিল। সেই আলোকে কিছু কাজ হলেও এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে অনেক কাজ করতে হবে।

চীনের ১৪০ কোটি মানুষের অনেক বড় একটা বাজার আছে জানিয়ে সচিব বলেন, “যদি আমরা আমাদের কোনো একটা পণ্য নিয়ে যেতে পারি তাহলে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলে ওই দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও আস্থা পাবে। প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে।”

ছবি

থাইল্যান্ডের সঙ্গে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি স্বাক্ষর

ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ

ছবি

বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চায় প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুরে মরে যাচ্ছে মুরগি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খামার

ছবি

আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

একটানা এতদিন এত তাপ দেখেনি বাংলাদেশ

রোববার খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘ভিত্তিহীন’ তথ্য রয়েছে

ছবি

গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে বদ্ধপরিকর ইসি

ছবি

থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে ফিরছে দুই বাংলাদেশির লাশ

ছবি

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন এম ইউ কবীর চৌধুরী

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : মানবাধিকার কমিশন

ছবি

১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী

ছবি

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি

ছবি

যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

গ্যাস সংকটে আগামীর ‘ভরসা’ এলএনজি

ছবি

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর : ‘আমার স্বপ্নও ভেঙে গেছে’

ছবি

এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

ছবি

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ছবি

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ নতুন বিচারক

ছবি

কক্সবাজারে ভোটার হওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা চায় হাই কোর্ট

ছবি

ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তাপপ্রবাহের এলাকা আরও বাড়বে

ছবি

ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই

ছবি

ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির

ছবি

সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা জব্দ করা জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে; ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকের সবাই নিরাপদ

ছবি

পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

পদত্যাগ না করেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন

ছবি

বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত : ইসি সচিব

ছবি

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড , আছে লোড শেডিংও

ছবি

বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই

ছবি

ঢাকা থেকে প্রধান ১৫টি রুটে ট্রেনের ভাড়া যত বাড়ল

ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কাতারের আমির

ছবি

তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়লো আরও ৩ দিন, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

tab

জাতীয়

চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানো লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করতে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চীনা দূত বলেন, “অনেক বাংলাদেশি আমাকে প্রশ্ন করেন যে, চীন কেন বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ করতে আগ্রহী। এর দুইটা কারণ। দুই দেশ একই সঙ্গে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে চাই এবং নির্বিঘ্ন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই। দ্বিতীয়ত. আমরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।”

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হওয়ার পর এফটিএ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদী তিনি।

এই চুক্তি হলে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি সহজ হবে এবং দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনবে বলেও মনে করেন চীনা দূত।

তিনি বলেন, “এর বাইরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগকেও এই্ এফটিএ সহজ করে তুলবে। এসব কারণে আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই চীন বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ সম্পন্ন করতে আগ্রহী।”

চীন বিশ্বের ২৯টি অংশীজনের সঙ্গে ২২টি এফটিএ চুক্তি করেছে। এসব চুক্তির মধ্যে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ দুই ধরনের দেশই আছে।

এসব চুক্তিতে দেশগুলোর লাভবান হওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “আফ্রিকার দেশ মরিসাসের সঙ্গে ২০১৯ সালে এফটিএ হয়েছে। পরের বছর চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০২২ সালে চীন কম্বোডিয়ার সঙ্গে এফটিএ করেছিল। পরের বছর চীনে কম্বোডিয়ার রপ্তানি ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল।”

চীনে বাংলাদেশের আম, পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতেও কাজ চলছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ওয়ান বলেন, “চীন তার দেশের ব্যবসায়ীদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও উৎসাহ দিয়ে থাকে।”

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বাইরেও চীন আমাদের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগীদের একজন। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।

“চীনের সঙ্গে আমাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও দুই দেশের মধ্যে কিছু যৌথ স্বার্থের বিষয় রয়েছে। যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”

চুক্তির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, “২০২৬ সালের এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন হওয়ার পর বাংলাদেশের বিদ্যমান বাণিজ্য সুবিধা কিছু নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এই চ্যালেঞ্জ থেকে ব্যবসা বাণিজ্যকে সুরক্ষা দিতে প্রধান বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

“এই মুক্তবাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে চীন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একক দেশ হিসাবে চীনই হচ্ছে আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী রাষ্ট্র।”

২০১৮ সালের জুনে চীনের বেইজিংয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রগুলো চূড়ান্ত করেছিল। সেই আলোকে কিছু কাজ হলেও এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে অনেক কাজ করতে হবে।

চীনের ১৪০ কোটি মানুষের অনেক বড় একটা বাজার আছে জানিয়ে সচিব বলেন, “যদি আমরা আমাদের কোনো একটা পণ্য নিয়ে যেতে পারি তাহলে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলে ওই দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও আস্থা পাবে। প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে।”

back to top