টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতার কেন্দ্রে যারা অবস্থান করেন, তাদেরই এ ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে- অবস্থান, পেশা ও পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ন্যায়চবিচার নিশ্চিত করা জরুরি।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার, (০৮ নভেম্বর ২০২৫) সাভারের সিসিডিবি হোপ সেন্টারে আয়োজিত ফাইনালে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। রানারআপ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ফোরাম। প্রতিযোগিতার সেরা বিতার্কিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিম আহসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিফতাহুল জান্নাত রিফাত ফাইনালের সেরা বিতার্কিক হয়েছেন। সারাদেশের ৩২টি বিতর্ক দল এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
ইফতে খারুজ্জামান বলেন, ‘বিতার্কিকরা দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা। বিতর্কের মূল্যবোধ আর দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ একইসূত্রে গাঁথা। একজন প্রকৃত বিতার্কিক কখনোই দুর্নীতি করতে পারেন না। বিতর্কের মাধ্যমে আমরা পরস্পর আলোকিত হই। আমাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতার চর্চা শানিত হয়।
পারস্পারিক সহমর্মিতাবোধ তৈরি হয়, যা দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ দুদকের একক দায়িত্ব নয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জাতীয় সংসদ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারব?্যবস্থা ও প্রশাসন, বিশেষ করে আমলাতন্ত্রে দুর্নীতিবিরোধী চর্চা প্রতিষ্ঠা না হলে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে এ সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ও ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি, জনগণকে সোচ্চার হতে হবে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যত নেতৃত্ব দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে সোচ্চার ভূমিকা পালনের উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তারাই দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে, নব্বইয়ে সর্বোপরি চব্বিশের পরিবর্তনে তরুণ প্রজন্ম যদি এত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন তারা কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হবে? তরুণ প্রজন্মই আমাদের অনুপ্রেরণা।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘কার্যকর দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতার কেন্দ্রে যারা অবস্থান করেন, তাদেরই এ ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসলে- অবস্থান, পেশা ও পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ন্যায়চবিচার নিশ্চিত করা জরুরি।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার, (০৮ নভেম্বর ২০২৫) সাভারের সিসিডিবি হোপ সেন্টারে আয়োজিত ফাইনালে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। রানারআপ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ফোরাম। প্রতিযোগিতার সেরা বিতার্কিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিম আহসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিফতাহুল জান্নাত রিফাত ফাইনালের সেরা বিতার্কিক হয়েছেন। সারাদেশের ৩২টি বিতর্ক দল এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
ইফতে খারুজ্জামান বলেন, ‘বিতার্কিকরা দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা। বিতর্কের মূল্যবোধ আর দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধ একইসূত্রে গাঁথা। একজন প্রকৃত বিতার্কিক কখনোই দুর্নীতি করতে পারেন না। বিতর্কের মাধ্যমে আমরা পরস্পর আলোকিত হই। আমাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতার চর্চা শানিত হয়।
পারস্পারিক সহমর্মিতাবোধ তৈরি হয়, যা দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’
তিনি বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ দুদকের একক দায়িত্ব নয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জাতীয় সংসদ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারব?্যবস্থা ও প্রশাসন, বিশেষ করে আমলাতন্ত্রে দুর্নীতিবিরোধী চর্চা প্রতিষ্ঠা না হলে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। দুর্নীতি প্রতিরোধে এ সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ও ভূমিকা পালন করতে হবে। সর্বোপরি, জনগণকে সোচ্চার হতে হবে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। ভবিষ্যত নেতৃত্ব দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে সোচ্চার ভূমিকা পালনের উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তারাই দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে, নব্বইয়ে সর্বোপরি চব্বিশের পরিবর্তনে তরুণ প্রজন্ম যদি এত বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন তারা কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হবে? তরুণ প্রজন্মই আমাদের অনুপ্রেরণা।’