ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই সনদ নিয়ে ‘চলমান অনিশ্চয়তা’ নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর স্পষ্ট, শক্তিশালী অবস্থান থাকতে হবে।
শনিবার,(০৮ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার একটি হোটেলে ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ট্রেস কনসালট্যান্সি নামের একটি সংস্থা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘এ ধরনের বিতর্ক কিন্তু পৃথিবীর অনেক জায়গায় ১০-১৫ বছর ধরে চলে। দ্বিমত থাকবে, তারপর ঐকমত্য হবে। দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সরকার তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে একটা সিদ্ধান্ত দেবে।’
‘নির্বাচন ঠিক সময়ে, একদম ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে’ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘পুরো দেশে নির্বাচনী জোয়ার এসেছে, জনগণ একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার পাবে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সবার একটা স্পষ্ট শক্তিশালী অবস্থান থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনা এখন হয়েছে, আবার নির্বাচনের পরও হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, সুশাসন চায় এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ চায়। ভবিষ্যতে যারা সরকার গঠন করবে, তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে কিছু কিছু থিঙ্কট্যাঙ্ক বলতে চান যে কৃষকের সঙ্গে কথা হয়নি, নারীদের সঙ্গে কথা হয়নি, শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়নি। আশ্চর্য লাগে, কথাগুলো কেমনে ওনারা বলেন। তাহলে কী যারা রাজনৈতিক দল, যাদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করলো, তারা কি কৃষক, নারী, শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে না?’ তিনি বলেন, ‘এই থিঙ্কট্যাঙ্কগুলো নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এসব কথা বলে।’
আয়োজক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য দেনÑ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সংলাপ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদ নিয়ে ‘চলমান অনিশ্চয়তা’ নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর স্পষ্ট, শক্তিশালী অবস্থান থাকতে হবে।
শনিবার,(০৮ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার একটি হোটেলে ‘প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। ট্রেস কনসালট্যান্সি নামের একটি সংস্থা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ‘এ ধরনের বিতর্ক কিন্তু পৃথিবীর অনেক জায়গায় ১০-১৫ বছর ধরে চলে। দ্বিমত থাকবে, তারপর ঐকমত্য হবে। দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সরকার তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে একটা সিদ্ধান্ত দেবে।’
‘নির্বাচন ঠিক সময়ে, একদম ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে’ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘পুরো দেশে নির্বাচনী জোয়ার এসেছে, জনগণ একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার পাবে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সবার একটা স্পষ্ট শক্তিশালী অবস্থান থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনা এখন হয়েছে, আবার নির্বাচনের পরও হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, সুশাসন চায় এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ চায়। ভবিষ্যতে যারা সরকার গঠন করবে, তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে কিছু কিছু থিঙ্কট্যাঙ্ক বলতে চান যে কৃষকের সঙ্গে কথা হয়নি, নারীদের সঙ্গে কথা হয়নি, শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়নি। আশ্চর্য লাগে, কথাগুলো কেমনে ওনারা বলেন। তাহলে কী যারা রাজনৈতিক দল, যাদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করলো, তারা কি কৃষক, নারী, শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে না?’ তিনি বলেন, ‘এই থিঙ্কট্যাঙ্কগুলো নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এসব কথা বলে।’
আয়োজক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য দেনÑ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সংলাপ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খান।