লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
আকতার হোসেন- এটিএম আজহারুল ইসলাম
রংপুরের দুটি আসনে এনসিপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন ও জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মতো হাই ভোল্টেজ, ভিভিআইপি প্রার্থীর জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা ভোটে জয়ী হবার জন্য নেতাকর্মীদের প্রাণান্ত চেষ্টা এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। দিনরাত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের চলছে বিরামহীন প্রচারণা।
দুই প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি এটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা যাতে জয়ী হন সেজন্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করাসহ সবধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখনও নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা হয়নি কিন্তু দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে চলছে দুই প্রার্থীর বিরামহীন প্রচারণা। সুযোগ পেলেই ঢাকা থেকে ছুটে আসছেন তারা। অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণায়।
জানা গেছে, রংপুর ২ আসন হচ্ছে তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে। এই আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দ- প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক থাকার পর মুক্তি পেয়েই চলে আসেন তার জন্মস্থান রংপুরের বদরগঞ্জে। তিনি এসেই ঘোষণা দেন আসন্ন নির্বাচনে রংপুর ২ আসনে প্রার্থী হবেন তিনি। এরপর রংপুর জেলা স্কুল মাঠে জামায়াতের স্মরণকালের বিশাল জনসভায় দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে রংপুর-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর দুমাস ধরে জামায়াত প্রার্থী হিসেবে বিরামহীনভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনও ভ্যানে কখনও মোটরসাইকেলে চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকায়। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচিত হলে অবহেলিত রংপুর-২ আসনের উন্নয়ন এবং দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চান। তার একটাই ধ্যান-জ্ঞান, মানুুষের সেবা করা।
এদিকে জামায়াতের নারী নেতাকর্মীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, ভোট চাইছেন। চলছে সভা সমাবেশ, উঠোন বৈঠক, মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল শোভাযাত্রাসহ সব ধরনের প্রচারণা।
জামায়াতের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়ের নেতা আফতাব উদ্দিন জানান, এটিএম আজহার যাতে জয়ী হন সেজন্য আমরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছি। এমনিতেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। তারপরও প্রেস্টিজের ব্যাপার। একই কথা বলেন, বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের নেতা আসলাম মিয়া সহ অনেকেই।
জামায়াত প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম জানান, তিনি কারাগারে আটক থাকাকালীন এলাকার মানুষ তার জন্য রোজা রেখেছে, দোয়া করেছে, আশা করছেন বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তিনি।
রংপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার বলেছেন, জনগণ তার পক্ষে আছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের পরও ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তিনি।
অন্যদিকে রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা এই দুই উপজেলা নিয়ে রংপুর-৪ আসন। এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে দলের সদস্য সচিব আকতার হোসেন ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহে আসছেন তার নির্বাচনী এলাকায়, দুই উপজেলার সব এলাকায় ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, ভোট চাইছেন। নির্বাচিত হলে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন তথা অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত রংপুরের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন ভোটারদের কাছ থেকে, বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা মুখিয়ে আছেন, তার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছেন তারা। এছাড়াও সব স্তরের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত তিনি। আশা করছেন, বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তিনি।
রংপুর-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসা। তিনি জানান, রংপুর-৪ আসনের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে দেখা করেন নাই। সকলেই তাকে সমর্থন দিয়েছেন, তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবার আশা প্রকাশ করেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আযম খান তিনিও জানিয়েছেন, জনগণ তাকে এবার বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
সবমিলিয়ে রংপুরের ২টি আসনে জামায়াতের এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আকতার হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা এবং নির্বাচনী উত্তাপ এখন প্রদান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
আকতার হোসেন- এটিএম আজহারুল ইসলাম
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
রংপুরের দুটি আসনে এনসিপির সদস্য সচিব আকতার হোসেন ও জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মতো হাই ভোল্টেজ, ভিভিআইপি প্রার্থীর জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা ভোটে জয়ী হবার জন্য নেতাকর্মীদের প্রাণান্ত চেষ্টা এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। দিনরাত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের চলছে বিরামহীন প্রচারণা।
দুই প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি এটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা যাতে জয়ী হন সেজন্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করাসহ সবধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখনও নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা হয়নি কিন্তু দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে চলছে দুই প্রার্থীর বিরামহীন প্রচারণা। সুযোগ পেলেই ঢাকা থেকে ছুটে আসছেন তারা। অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণায়।
জানা গেছে, রংপুর ২ আসন হচ্ছে তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে। এই আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দ- প্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক থাকার পর মুক্তি পেয়েই চলে আসেন তার জন্মস্থান রংপুরের বদরগঞ্জে। তিনি এসেই ঘোষণা দেন আসন্ন নির্বাচনে রংপুর ২ আসনে প্রার্থী হবেন তিনি। এরপর রংপুর জেলা স্কুল মাঠে জামায়াতের স্মরণকালের বিশাল জনসভায় দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে রংপুর-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর দুমাস ধরে জামায়াত প্রার্থী হিসেবে বিরামহীনভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কখনও ভ্যানে কখনও মোটরসাইকেলে চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকায়। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচিত হলে অবহেলিত রংপুর-২ আসনের উন্নয়ন এবং দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চান। তার একটাই ধ্যান-জ্ঞান, মানুুষের সেবা করা।
এদিকে জামায়াতের নারী নেতাকর্মীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, ভোট চাইছেন। চলছে সভা সমাবেশ, উঠোন বৈঠক, মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল শোভাযাত্রাসহ সব ধরনের প্রচারণা।
জামায়াতের তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়ের নেতা আফতাব উদ্দিন জানান, এটিএম আজহার যাতে জয়ী হন সেজন্য আমরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছি। এমনিতেও তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। তারপরও প্রেস্টিজের ব্যাপার। একই কথা বলেন, বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের নেতা আসলাম মিয়া সহ অনেকেই।
জামায়াত প্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম জানান, তিনি কারাগারে আটক থাকাকালীন এলাকার মানুষ তার জন্য রোজা রেখেছে, দোয়া করেছে, আশা করছেন বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তিনি।
রংপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার বলেছেন, জনগণ তার পক্ষে আছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের পরও ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। এবারও বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তিনি।
অন্যদিকে রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা এই দুই উপজেলা নিয়ে রংপুর-৪ আসন। এই আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে দলের সদস্য সচিব আকতার হোসেন ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি সপ্তাহে আসছেন তার নির্বাচনী এলাকায়, দুই উপজেলার সব এলাকায় ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, ভোট চাইছেন। নির্বাচিত হলে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন তথা অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত রংপুরের উন্নয়নে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন ভোটারদের কাছ থেকে, বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা মুখিয়ে আছেন, তার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছেন তারা। এছাড়াও সব স্তরের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত তিনি। আশা করছেন, বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তিনি।
রংপুর-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসা। তিনি জানান, রংপুর-৪ আসনের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে দেখা করেন নাই। সকলেই তাকে সমর্থন দিয়েছেন, তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবার আশা প্রকাশ করেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আযম খান তিনিও জানিয়েছেন, জনগণ তাকে এবার বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
সবমিলিয়ে রংপুরের ২টি আসনে জামায়াতের এটিএম আজহারুল ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আকতার হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা এবং নির্বাচনী উত্তাপ এখন প্রদান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।