মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, একাত্তরের ইতিহাস বিকৃত করে এমনভাবে বোঝানো হচ্ছে যেন মুক্তিযুদ্ধে কিছুই হয়নি, সবকিছু ঘটেছে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে।
নানা পাঁয়তারা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার, বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে
তিনি বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে এই দেশের মানুষ আপোষ করতে পারে না।’
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, ‘আজ চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেয়ার। ’৭১ যেন হয়নি, এই দেশের জন্য আমরা কোনো অবদান রাখিনি। ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তারা সবকিছু করেছে তারা এমন ধারণা দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একাত্তরে হাজার হাজার ভাইকে গুলি করা হত্যা করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। একাত্তরে মা-বোনদের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে। এ কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না। ৯ মাস যুদ্ধ করেছি, পরিবার-পরিজনদের খবর নিতে পারিনি। সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেই ভোলা যাবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একাত্তরে হাজার হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল, লাখো মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, মা-বোনদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল- সেই দিনগুলো কখনো ভোলা যাবে না। আজ সুপরিকল্পিতভাবে একটি মহল সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্মৃত করে তারা নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না।’
বিএনপি মহহাসচিব জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা চলছে, গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। ধর্মীয় অনুভূতি বিক্রি করে তারা এ কাজ করছে। এজন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে হবে। বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি। আমরা হিন্দু-মুসলমান, সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নানা পাঁয়তারা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার, বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন বিলম্বিত মানে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা। আমরা চাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবেন এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে কারাভোগ করেছিলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রক্তে মিশে আছে, যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক নূর করিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমদ খান, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলী সরকারসহ অন্যরা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, একাত্তরের ইতিহাস বিকৃত করে এমনভাবে বোঝানো হচ্ছে যেন মুক্তিযুদ্ধে কিছুই হয়নি, সবকিছু ঘটেছে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে।
নানা পাঁয়তারা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার, বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে
তিনি বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে এই দেশের মানুষ আপোষ করতে পারে না।’
সোমবার, (১০ নভেম্বর ২০২৫) ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, ‘আজ চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেয়ার। ’৭১ যেন হয়নি, এই দেশের জন্য আমরা কোনো অবদান রাখিনি। ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে তারা সবকিছু করেছে তারা এমন ধারণা দিচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একাত্তরে হাজার হাজার ভাইকে গুলি করা হত্যা করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। একাত্তরে মা-বোনদের ওপর অন্যায় অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে। এ কথাগুলো আমরা ভুলতে পারি না। ৯ মাস যুদ্ধ করেছি, পরিবার-পরিজনদের খবর নিতে পারিনি। সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেই ভোলা যাবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একাত্তরে হাজার হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল, লাখো মানুষ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল, মা-বোনদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল- সেই দিনগুলো কখনো ভোলা যাবে না। আজ সুপরিকল্পিতভাবে একটি মহল সেই ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিস্মৃত করে তারা নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না।’
বিএনপি মহহাসচিব জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা চলছে, গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। ধর্মীয় অনুভূতি বিক্রি করে তারা এ কাজ করছে। এজন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে হবে। বিভেদ নয়, ঐক্যই আমাদের শক্তি। আমরা হিন্দু-মুসলমান, সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নানা পাঁয়তারা করে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার, বানচাল করার ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন বিলম্বিত মানে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা। আমরা চাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবেন এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে কারাভোগ করেছিলেন। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রক্তে মিশে আছে, যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক নূর করিম। সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমদ খান, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলী সরকারসহ অন্যরা।